আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
علمت أن هناك فريق من العلماء يذهب الي وجوب إنكار المنكر بعد انتهاء فعله فهل هذا صحيح ؟ يعني مثلا شخص مشغل اغاني ثم اطفأها هل يجب أن أنصحه بعدما أطفأها ام مستحب ، وماذا عن شخص سب مرة واحد ولن يكررها مرة أخري (علي الاقل في هذا الموقف) فهل لا يجب علي الإنكار لأن المنكر زال اساسا ام يجب لزواج اثره؟ وان أخرت الإنكار لمصلحة فهل يكون الإنكار واجبا علي الفور عند تواجد المصلحة ويسقط إن أخرته قليلا ام يكون واجبا الي الأبد (اي الي أن أنصح هذا الشخص) ام لا يكون واجبا اصلا ؟

أرجو أن تكون الإجابة مفصلة لأن معظم مواقع الفتاوي لا تفصل في الإجابة وهذه مسألة مهمة

1 Answer

0 votes
ago by (658,410 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

কুরআন ও হাদীসে মন্দ কাজকে নিষেধ করা (نهى عن المنكر) মুসলমানের দায়িত্ব হিসেবে বর্ণিত হয়েছে।

তবে এর শর্ত আছে:
যখন গুনাহটি চলমান থাকে।
যখন উপদেশ দিলে উপকার হবে বলে আশা করা যায়।
যখন উপদেশ দিলে বড় ধরনের ক্ষতি বা ফিতনা হওয়ার আশঙ্কা না থাকে।

যদি কেউ গুনাহ করছিল, তারপর তা ছেড়ে দিয়েছে (যেমন: গান বাজাচ্ছিল, পরে বন্ধ করেছে) —
তখন নিষেধ করা ফরজ নয়, কারণ গুনাহের কাজ তো আর চলছে না।

তবে, শিক্ষা ও নসিহতের উদ্দেশ্যে নরমভাবে মনে করানো মুস্তাহাব (সওয়াবের কাজ)।

যেমন, বন্ধ হওয়ার পর বলা যায়: “আলহামদুলিল্লাহ, আপনি বন্ধ করেছেন, আসলে এসব থেকে বিরত থাকা ভালো”।

গুনাহ চলমান অবস্থায়: সম্ভব হলে থামানো ফরজ কিফায়া।
নরমভাবে উপদেশ দেয়া অন্তত ওয়াজিব।

গুনাহ শেষ হয়ে গেলে:
আর নিষেধ করা ফরজ নয়।
মনে করানো বা উপদেশ দেয়া মুস্তাহাব (সওয়াবের কাজ)।

উদাহরণঃ

কেউ গান বাজাচ্ছিল → তখন তাকে বলা “ভাই, দয়া করে বন্ধ করুন”— ওয়াজিব (যদি শারীরিক ক্ষতির আশঙ্কা না থাকে)।

সে নিজেই বন্ধ করেছে → তখন আর আপনাকে বলা ওয়াজিব নয়।

তবে নরমভাবে মনে করানো → মুস্তাহাব, এতে তার তাওবা মজবুত হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কারো মন্দ কাজ বন্ধ হয়ে গেলে, তাকে পরে উপদেশ দেয়া ফরজ নয়, বরং মুস্তাহাব।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

 وَلْتَكُنْ مِّنكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ ۚ وَأُو۟لَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُفْلِحُونَ

“তোমাদের মধ্যে একটি দল থাকুক যারা মানুষকে কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে, সৎ কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে। এরাই সফলকাম।”
(আল-ইমরান ৩:১০৪)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
রাসূল ﷺ বলেছেন:

مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ، وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ

“তোমাদের মধ্যে যে কেউ কোনো মন্দ কাজ দেখে, সে যেন হাত দিয়ে তা পরিবর্তন করে। যদি না পারে, তবে জিহ্বা দিয়ে; যদি তাও না পারে, তবে অন্তরে ঘৃণা করবে। আর এটাই ঈমানের দুর্বলতম স্তর।”
(সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪৯)

লক্ষ্য করুন: হাদীসে বলা হয়েছে “যে মন্দ দেখে” — অর্থাৎ মন্দ কাজ যখন চোখের সামনে চলমান, তখন সেটি পরিবর্তন করা ওয়াজিব।
যদি কাজ শেষ হয়ে যায়, তখন “পরিবর্তন করা”র কিছু আর থাকে না। তখন সর্বোচ্চ মুস্তাহাব উপদেশ হতে পারে।

রাসূল ﷺ বলেছেন:

إِنَّ الدِّينَ النَّصِيحَةُ … لِلَّهِ، وَلِكِتَابِهِ، وَلِرَسُولِهِ، وَلأَئِمَّةِ الْمُسْلِمِينَ، وَعَامَّتِهِمْ

“ধর্ম হলো নসীহত (সৎ পরামর্শ)। … আল্লাহর জন্য, তাঁর কিতাবের জন্য, রাসূলের জন্য, মুসলিম শাসকদের জন্য এবং সাধারণ মুসলিমদের জন্য।”
(সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৮৫৫)
(কিছু তথ্য সংগৃহীত।)

ইমাম নববী (رحمه الله) বলেছেন (শরহ মুসলিম):

"النهي عن المنكر فرض كفاية إذا كان المنكر باقياً، أما إذا انقضى فليس بواجب"

“যদি মন্দ কাজ চলমান থাকে তবে তা নিষেধ করা ফরজে কিফায়া। কিন্তু যদি শেষ হয়ে যায়, তবে তা ফরজ নয়।”


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

No related questions found

...