আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1 view
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ,

(উস্তাদ একটু দয়া ও কষ্ট করে সম্পূর্ণ লেখাটা পরবেন আমার অনেক প্রয়োজন)
আমি আইওএম এরই ছাত্র, আমার এখন জীবন খুবই কষ্টকর হয়ে উঠছে কি করব কিছু বুঝে উঠতে পারছিনা। সর্বপ্রথম আমি আমার ইসলামিক জীবনের কথা বলি,  প্রায় ২ বছর আগে হেদায়াত পাই আমি কিন্তু ২০২৪ সালের রমজানের কয়েক মাস আগের থেকে কড়া ভাবে ইসলাম মেইন্টেইন করি, সকল ফরজ সালাত জামায়াতে, কোনো সুন্নাহ নামাজ নেই, স্কুল থেকে শুরু করে কোচিং এও পাঞ্জাবি এবং দিলে সুকুন ছিল আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল ছিল অশেষ। কিন্তু তারপরই জিবনের কাল মূহুর্ত শুরু, হূট করে একদিন মসজিদে যোহর সালাতে আল্লাহ ও তার নবীকে নিয়ে খারাপ চিন্তা আসে তারপর এড়িয়ে যাই কয়েকদিন পর আবার আসলে আমি চিন্তিত হয়ে পড়ি আমার ইমান নিয়ে। উল্লেক্ষ যে আমি অনেক মেধাবী ও ধৈর্যশীল ও মনযোগী ছিলাম। আস্তে আস্তে আমার ইবাদতে আর মন বসত না, তারপর পড়ালেখা আর করতে পারতাম না ভাল লাগতো না। কিছু দিন পর জানতে পারলাম আমার ওয়াসওয়াসা হয়েছে, অনেক ট্রাই করলাম কিছু আমল ট্রাই করলাম কিন্তু রেগুলার হতে পারলাম না। আস্তে আস্তে ফজরের সালাত মিস হতে শুরু করল, জামায়াতের নামাজ মিস দিলে সে অন্তরে ব্যাথা তা আর অনুভব করলাম না, সোশাল মিডিয়ায় বেপর্দা মহিলাদের দেখলেও আর খারাপ লাগতো না। তারপর থেকে তো ইবাদতের উপর মন গেলো কিন্তু অন্তরে সবসময় অস্থিরতা, পড়ালেখা দুর্বল আরও নানা সমস্যা। তারপর আমি ট্রাই করি ঠিক হওয়ার, রুকাইয়াহ সেন্টারে গেলাম কিন্তু ১ দিন করার পর আর পারলাম না কারণ পরে বলছি। এখন আমার মাথায় নানা নাস্তিক দের যুক্তি মাথায় আসে আমি এটা দূরই করতে পারি না যতই চাই হয় না এই আসে মনে করেন আল্লাহ এইভাবে বানালেন কেন, তিনি আছেন কি না নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক। আমার খুবই খারাপ লাগে কিন্তু খালি ভয় কাজ করে যেয়ে আমার ইমান আছে কিনা, নাকি সব ই ধান্ডা আসলেই ইমান নেই আমার বা আমি আল্লাহকে বিশ্বাবা করি না, নাউযুবিল্লাহ। এখন আর বেশি ইবাদত করতে গেলেও ভালো লাগেনা, বিরক্ত লাগে অন্যদিকে আগে ১০-২০ মিনিট আগে যেতাম মসজিদে গিয়ে ২ রাকাত সুন্নত পরে বসতাম আর এখন মসজিদে না গেলেও আগের মত সেই রাগ আর খারাপ লাগাটা লাগে না, আগে ডেইলি তাহাজ্জুদ পড়তাম এখন তো ফজরে উঠতেই হিম শিম।


এখন জাতীয় জীবনের কথা বলি, আমি একজন ইসলামি ছাত্র শিবিরের কর্মী, আমি জয়েন করি না জেনে শুনেই ২০২৪ এর শেষের দিকে। কিন্তু তারপর দেখি অনেক আলেমদের মতবিরোধ, আবার তাদের বিরুদ্ধেও মতবিরোধ। এখন আমার সব সময় ভয় কাজ করে কারণ এখানে অন্য ছেলেদের দাওয়াত দেওয়া বাধ্যতামূলক, দৈনিক আমলের রিপোর্ট দেখাতে হয়। এখন এটার জন্য আমি যখন পরিবর্তন হতে চাই তাও পারি না কারণ মনে হয় আমি তো এমনেই হয়তো গুনাহের সাথে লিপ্ত সেই ৭৩ দলের মধ্যে সেই ১ টি দলে হয়তো আমি নেই। কোনো ভাবেই পারছিনা। এই সংগঠন সে ছাড়ব তাও পারব না কারণ আমি দায়িত্বশীল এলাকার সাথে যত ভাই আছে শিবিরের সবাই আমার খুব আপন আর সবাই নামাজে আসে মসজিদে প্রায়ই দেখা হবে ছাড়ার পর তাহলে খারাপ লাগবে। আবার যখন আলেমদের মত নিতে চাই তাদের বিরুদ্ধে তখন আবার আলেমের কথাও ভালো লাগে না কারণ বেশি মতবিরোধ এই মওদূদি রহ. নিয়েই করেন।

এখন ব্যক্তি জীবন, আমার আব্বু আমাকে ছোট বেলা থেকেই প্রেশার এ রাখে। আমার আব্বুর ইনকাম হারাম, ইসলাম মানতে মাঝে মধ্যে বাধা দেয়। তারপর আবার খুব খুটা দেয় মাঝে মধ্যে মারও দেয়। স্কুলের পড়া লেখা খুব কড়া ভাবে দেখে। এখন আমি যে এত কষ্টের মধ্যে রেস্ট নিব তারও আমার সুযোগ নেই। আমার স্কুল সকালে শুরু হয় ৫ ঘন্টা পর দুপুরে শুরু হয়, খেয়ে দেয়ে আবার বিকালে ৩ ঘন্টা কোচিং বাসায় এসে আবার স্কুলের পড়া। আবার আমার পরীক্ষা চলতাছে পড়ে কূল পাই না। এখন উস্তাদ আমার বয়স মাত্র ১৪ বছর ক্লাস ৮ এ পড়ি আবার বৃত্তি পরীক্ষা আছে। আব্বু সবসময় মেন্টাল প্রেশারে রাখে, আমার বড় ভাইও আমাকে বেশি স্নেহ করে না। আমি যে বাইরে কিছু খাব হারাম টাকার জন্য আমি পারি না, বাসায় ৩ বেলা খেয়ে আমার চলে যায় কিন্তু পুরোপুরি হয় না কারণ আমি খুবই খুবই চিকন আমার বন্ধুরা যেখানে ৫০-৬০ কেজি আমি ৪০-৪২ কেজি। তারপর আমার শরীরে আরও কিছু রোগ আছে যেমন, মাথায় খুশকি, দাত বেশি বেকিয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে উস্তাদ আমি আর সহ্য করতে পারছিনা আমি এখন কি করব আমার এখন পাগল প্রায় অবস্থা।

Please log in or register to answer this question.

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...