আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম।কারো মনে যদি চিন্তা আসে আল্লাহ সবাইকে পাঠাইছে পরীক্ষা করার জন্য। আল্লাহ হয়তো পরিক্ষা করতেছে।আর মারা গেলে হয়ত সবাইকে মাফ করে জাহান্নামে না দিয়ে জান্নাত দিয়ে দিতে পারে।মানে আল্লাহ তহ ক্ষমাশীল।এসব চিন্তা বা ওয়াসওয়াসা  বার বার আসার পর মাকে বা অন্য কাউকে বললে কি কোন সমস্যা হবে?  পরে আবার  এসব চিন্তা  চলে গেলে ??  মাও বলে  আল্লাহ চাইল সব সম্ভব। ইসলামকে অস্বীকার বা অবিশ্বাস করার নিয়তে না এমনিতে এসবের কারণে কি ঈমান চলে যাবে?এগুলো কি ওয়াসওয়াসা?

1 Answer

0 votes
by (698,190 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) ইরশাদ করেন:
يَا عِبَادِيْ! إِنَّكُمْ تُخْطِئُوْنَ بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَأَنَا أَغْفِرُ الذُّنُوْبَ جَمِيْعًا فَاسْتَغْفِرُوْنِيْ أَغْفِرْ لَكُمْ
‘‘(আল্লাহ্ তা’আলা নিজ বান্দাহ্দেরকে বলেন) হে আমার বান্দাহ্রা! তোমরা সবাই রাতদিন গুনাহ্ করছো। আর আমিই সকল গুনাহ্ ক্ষমাকারী। অতএব তোমরা আমার নিকট ক্ষমা চাও। আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেবো’’। (মুসলিম, হাদীস ২৫৭৭)

সাফওয়ান ইবনু মুহরিয থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক লোক ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে প্রশ্ন করলেন, নাজওয়া (আল্লাহ ও বান্দার গোপন কথা) সম্পর্কে আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কিভাবে শুনেছেন? তিনি বললেন, আমি তাকে বলতে শুনেছি,“কিয়ামতের দিনে মুমিন ব্যক্তিকে তার প্রভুর নিকটবর্তী করা হবে। তারপর আল্লাহ তা’আলা তার উপর পর্দা ঢেলে দিবেন এবং তার পাপের ব্যাপারে তার থেকে জবানবন্দি নিবেন। তিনি প্রশ্ন করবেন, তুমি তোমার পাপ সম্বন্ধে জান কি? সে বলবে, হে রব! আমি জানি। এরপর তিনি বলবেন, তোমার এ পাপ দুনিয়ায় আমি লুক্কায়িত রেখেছিলাম। আজ তোমার এ পাপগুলোকে আমি মাফ করে দিলাম। এরপর তার নেকীর ’আমলনামা তার কাছে দেয়া হবে। এরপর কাফির ও মুনাফিক লোকদেরকে উপস্থিত সকল মানুষের সম্মুখে ডেকে বলা হবে, এরাই তারা যারা আল্লাহ তা’আলার উপর মিথ্যারোপ করেছে”।(বুখারী-মুসলিম)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহ চাইলে সবাইকে মাফ করে দিতে পারেন। এটা অসম্ভব কিছু নয়। তবে আল্লাহ সাধারণত সবাইকে ক্ষমা করবেন না। বরং যার প্রতি সদয় হবেন কেবল তাকেই ক্ষমা করবেন। আল্লাহর ক্ষমার আশায় ইবাদত পরিহার করে বসে থাকা কখনো উচিত হবে না। বরং নিজ ঈমান আমলের হেফাজত অবশ্যই করতে হবে। আপনার মনের চিন্তাভাবনার দরুণ গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...