ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) ইরশাদ করেন:
يَا عِبَادِيْ! إِنَّكُمْ تُخْطِئُوْنَ بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَأَنَا أَغْفِرُ الذُّنُوْبَ جَمِيْعًا فَاسْتَغْفِرُوْنِيْ أَغْفِرْ لَكُمْ
‘‘(আল্লাহ্ তা’আলা নিজ বান্দাহ্দেরকে বলেন) হে আমার বান্দাহ্রা! তোমরা সবাই রাতদিন গুনাহ্ করছো। আর আমিই সকল গুনাহ্ ক্ষমাকারী। অতএব তোমরা আমার নিকট ক্ষমা চাও। আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেবো’’। (মুসলিম, হাদীস ২৫৭৭)
সাফওয়ান ইবনু মুহরিয থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক লোক ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে প্রশ্ন করলেন, নাজওয়া (আল্লাহ ও বান্দার গোপন কথা) সম্পর্কে আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কিভাবে শুনেছেন? তিনি বললেন, আমি তাকে বলতে শুনেছি,“কিয়ামতের দিনে মুমিন ব্যক্তিকে তার প্রভুর নিকটবর্তী করা হবে। তারপর আল্লাহ তা’আলা তার উপর পর্দা ঢেলে দিবেন এবং তার পাপের ব্যাপারে তার থেকে জবানবন্দি নিবেন। তিনি প্রশ্ন করবেন, তুমি তোমার পাপ সম্বন্ধে জান কি? সে বলবে, হে রব! আমি জানি। এরপর তিনি বলবেন, তোমার এ পাপ দুনিয়ায় আমি লুক্কায়িত রেখেছিলাম। আজ তোমার এ পাপগুলোকে আমি মাফ করে দিলাম। এরপর তার নেকীর ’আমলনামা তার কাছে দেয়া হবে। এরপর কাফির ও মুনাফিক লোকদেরকে উপস্থিত সকল মানুষের সম্মুখে ডেকে বলা হবে, এরাই তারা যারা আল্লাহ তা’আলার উপর মিথ্যারোপ করেছে”।(বুখারী-মুসলিম)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহ চাইলে সবাইকে মাফ করে দিতে পারেন। এটা অসম্ভব কিছু নয়। তবে আল্লাহ সাধারণত সবাইকে ক্ষমা করবেন না। বরং যার প্রতি সদয় হবেন কেবল তাকেই ক্ষমা করবেন। আল্লাহর ক্ষমার আশায় ইবাদত পরিহার করে বসে থাকা কখনো উচিত হবে না। বরং নিজ ঈমান আমলের হেফাজত অবশ্যই করতে হবে। আপনার মনের চিন্তাভাবনার দরুণ গোনাহ হবে না।