আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
597 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (20 points)
কোনো মেয়ে বা ছেলে একে অপরকে মেসেঞ্জারে "আমি আল্লাহ্ কে সাক্ষী রেখে তোমাকে/নাম ধরে স্বামী, একই ভাবে ছেলে যদি বলে আমি আল্লাহ্ কে সাক্ষী রেখে তোমাকে/নাম ধরে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করলাম। কবুল, মেয়েও বলল, কবুল"


এভাবে বললে কি বিয়ে হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
https://www.ifatwa.info/2679 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
শরীয়তে যেসব ক্ষেত্রে লেনদেন বৈধ হওয়ার জন্য সাক্ষ্যকে শর্ত করা হয়েছে,সেক্ষেত্রে সাক্ষীগণের একসাথে সবার শোনা শর্ত।কিন্তু এখানে সাক্ষীদয়ের শ্রবণ পাওয়া যাচ্ছে না,বিধায় সর্বসম্মতিক্রমে বিবাহ সংগঠিত হবে না।
আল্লামা হাসক্বফী রা বলেনঃ 
(وَ) شُرِطَ (حُضُورُ) شَاهِدَيْنِ(حُرَّيْنِ) أَوْ حُرٌّ وَحُرَّتَيْن (مُكَلَّفَيْنِ سَامِعَيْنِ قَوْلَهُمَا مَعًا)
 দুজন স্বাধীন পুরুষ অথবা একজন স্বাধীন পুরুষ ও দুজন স্বাধীন মহিলা সাক্ষী হিসেবে  উপস্থিত থাকতে হবে,যারা শরীয়তের বিধি-বিধান পালনে দায়বদ্ধ থাকবে,এবং একসাথে উভয় (স্বামী-স্ত্রী) র ইজাব-কবুল শ্রবণ করবে।(আদ্দুরুল মুখতার-৩/২২)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে....
(ومنها) سماع الشاهدين كلامهما معا هكذا في فتح القدير فلا ينعقد بشهادة نائمين إذا لم يسمعا كلام العاقدين، 
দুনু সাক্ষীকে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের ইজাব-কবুল শুনতে হবে,(ফাতহুল ক্বাদীর)সুতরাং না শুনার ধরুণ ঘুমন্ত ব্যক্তির সাক্ষ্য দ্বারা বিবাহ সংগঠিত হবে না।(১/২৬৮;)

যেমন ইবনে আবেদীন শামী রাহ এ সম্পর্কে বলেনঃ 
(قَوْلُهُ: وَشُرِطَ حُضُورُ شَاهِدَيْنِ) أَيْ يَشْهَدَانِ عَلَى الْعَقْدِ، أَمَّا الشَّهَادَةُ عَلَى التَّوْكِيلِ بِالنِّكَاحِ فَلَيْسَتْ بِشَرْطٍ لِصِحَّتِهِ كَمَا قَدَّمْنَاهُ عَنْ الْبَحْرِ،
দুজন সাক্ষী মজলিসে উপস্থিত থাকা শর্ত।
অর্থাৎ যারা মজলিসে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে সরাসরি প্রত্যক্ষ করবে।বিবাহের উকিল নিযুক্ত করণের সময় সাক্ষী উপস্থিত থাকা শর্ত নয়।(রদ্দুল মুহতার-৩/২১;)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইজাব এবং কবুলের সময় দু'জন সাক্ষী মজলিসে  উপস্থিত থেকে সরাসরি পাত্র-পাত্রীর ইজাব কবুল শুনতে হবে।নতুবা বিয়ে হবে না।
একজন শুনেছেন,অন্যজন শুনেননি,তাই বিয়ে সংগঠিত হবে না।

সুতরাং যেহেতু এখানে উভয়ের মজলিস এক নয়, এবং সাক্ষীদ্বয়ও উপস্থিত নয়,তাই বিয়ে হবে না। তবে যদি তাদের কোনো একজন কে অন্যজনকে মেসেজ এই বলে পাঠায় যে, তুমি আমাকে কোথাও বিয়ে দাও অর্থাৎ মেসেজ দ্বারা কেউ একজন অন্যজনকে বিয়ের উকিল নিযুক্ত করে ,আর ঐ উকিল দুই জন স্বাক্ষীকে উপস্থিত করে বলে, যে তোমরা দুই জন সাক্ষী থাকো, আমি অমুক কে বিয়ে করলাম,তাহলে বিয়ে হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...