ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/102850/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
মদ বিক্রয় করা, অর্থের বিনিময়ে বহন
করা অথবা এ ক্ষেত্রে কোন প্রকার সহযোগিতা করা হারাম।
হাদীস শরীফে এসেছে,
وَعَنْ جَابِرٍ أَنَّه
سَمِعَ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ يَقُولُ عَامَ الْفَتْحِ وَهُوَ بِمَكَّةَ : «إِنَّ
اللّٰهَ وَرَسُوْلَه حَرَّمَ بَيْعَ الْخَمْرِ وَالْمَيْتَةِ وَالْخِنْزِيرِ
وَالْأَصْنَامِ». فَقِيلَ : يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ! أَرَأَيْتَ شُحُومَ
الْمَيْتَةِ؟ فَإِنَّه تُطْلٰى بِهَا السُّفُنُ وَيُدْهَنُ بِهَا الْجُلُودُ
وَيَسْتَصْبِحُ بِهَا النَّاسُ؟ فَقَالَ : «لَا هُوَ حَرَامٌ». ثُمَّ قَالَ عِنْدَ
ذٰلِكَ : «قَاتَلَ اللّٰهُ الْيَهُودَ إِنَّ اللّٰهَ لَمَّا حَرَّمَ شُحُومَهَا
أَجْمَلُوهُ ثُمَّ بَاعُوهُ فَأَكَلُوا ثَمَنَه». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
জাবির রা. হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন মক্কা বিজয়ের বৎসর, সেখানে অবস্থানকালে আল্লাহ ও তাঁর রসূল মদ বিক্রি, মৃতজীব বিক্রি, শূকর বিক্রি, কোনো প্রকার মূর্তি বিক্রি হারাম করে দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! মৃত
জীবের চর্বি নৌকায় (বিভিন্ন চামড়াজাত দ্রব্যে) লাগানো হয় এবং লোকেরা তা দিয়ে বাতি জ্বালিয়ে
থাকে, তা বিক্রি করা সম্পর্কে আপনার সিদ্ধান্ত কি? উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তা-ও বিক্রি করা যাবে না, এটাও হারাম। অতঃপর এর সাথে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ কথাও বললেন, আল্লাহ তা‘আলা ইয়াহূদী জাতিকে ধ্বংস করুন। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা
তাদের জন্য যখন (হালাল যাবাহকৃত জীবেরও) চর্বি হারাম করলেন, তখন তারা (অবাধ্য হয়ে কৌশল অবলম্বন করে) তা গলিয়ে বিক্রি করতে
লাগলো ও এর মূল্য ভোগ করতে থাকলো। সহীহ : বুখারী ২২৩৬, মুসলিম ১৫৮১, আবূ দাঊদ ৩৪৮৬, নাসায়ী ৪২৫৬, তিরমিযী ১২৯৭, ইবনু মাজাহ ২১৬৭, আহমাদ ১৪৪৯৫, ইরওয়া ১২৯০।
,
যে কোন বিষয়ের ‘হারাম হওয়া’ সাব্যস্ত হলে সে বিষয়ে সহযোগিতা
করাও হারাম। যেমন- কোন রেস্টুরেন্টে মদ, মৃতজন্তু, বন্য গাধার গোশত ইত্যাদি পরিবেশন করার কাজ করা।
সৌদি আরবের ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী
কমিটিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যে সকল হোটেলে শূকরের গোশত, মদ পরিবেশন করা হয় সে হোটেলে চাকুরি করা জায়েয কি না? তারা উত্তরে বলেছেন, এ সকল হোটেলে কাজ করা
হারাম। সেখানে কাজ করে যা উপার্জন করা সেটাও হারাম। কেননা এটা অবৈধ বা হারাম কাজে সহযোগিতা।
হারাম কাজে সহযোগিতা করা আল্লাহ নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, “মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে পরস্পরের সহযোগিতা করো না।”[সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ২]
তাই আমরা আপনাকে উপদেশ দিচ্ছি- আপনি
এ জাতীয় হোটেলে চাকুরি করা পরিহার করুন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যা হারাম ও অবৈধ বলে
ঘোষণা করেছেন তা করতে কাউকে সাহায্য সহযোগিতা করবেন না। [ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির
ফতোয়াসমগ্র (১৩/৪৯)]
,
অমুসলিম দেশের রেস্তোরাঁয় কাজ করা
যাবে। যারা যেকোনো রেস্তোরাঁয় সেফ বা ওয়েটার হিসাবে কাজ করে তাদের উপার্জন হালাল হবে।
তবে এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো মদ
বা হারাম কোনো খাবার পরিবেশন এর কাজ করাও হারাম।
তাই হারাম খাবার পরিবেশনের কাজ বেশি হলে তার বেশির ভাগ ইনকাম
হারাম হওয়ায় সেই চাকুরী জায়েজ নেই। অমুসলিমদের সামনে হারাম খাদ্য পরিবেশন করা যাবেনা।
মদও পরিবেশন করা যাবেনা, অন্য হারাম খাদ্যও পরিবেশন করা যাবেনা।
,
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
,
প্রশ্নের বিবরণ মতে দাঁড়ি না রাখার জন্য গোনাহ হবে। তবে
আপনার স্বামীর জন্য উক্ত চাকরি ও চাকরির বেতন হালাল হবে।
অনেক জায়গায় দাঁড়ি রেখেও চাকরী করা যায়। সেসব চাকরী করা
উত্তম ও ভালো হবে।
দাঁড়ি রাখা সম্পর্কে জানুন - https://ifatwa.info/23005/