আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
25 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম,  আমার প্রতি নিয়ত নামাজে সন্দেহ বেড়েই চলতেছে এমন কোন ওয়াক্ত নেই যে ওয়াক্তে সাহু সিজদা ছাড়া নামাজ আদায় করতে পারছি। আমি চেষ্টা করি মনোযোগ  দিয়ে পড়ার কিন্তুু মনোযোগ তো পুরা দরে রাখা যায় না তাই যদি অন্য মনস্ক হই পরে আবার সেখান থেকে পিরে আসি নামাজে মন দিই তখনই মনে হয় রাকাত নিয়ে সন্দেহ, সিজদা ২ টা না একটা দিলাম তাও সন্দেহ,  সুবহানা রব্বিয়াল আজিম পড়লাম, নাকি সুবহানা রব্বিয়াল আলা পড়লাম, মানে প্রতিটা জিনিসেই সন্দেহ
১/ আমি বেশ কয়দিন সন্দেহ থেকে বাচার জন্য নামাজে সব কিছু হিসাব করে মনে রেখে নামাজ পড়ি তাও দেখলাম সন্দেহ। আমার কাছে মনে হচ্ছে এটি অহেতুক সন্দেহ কারন আমি দেখলাম আমার হিসাব সঠিক সব সময় আমি ২ সিজদা দিই ৪ রাকাত ঠিক মত আদায় করি যা যা নিয়ে সন্দেহ হয় সব ঠিক মত আদায় করার পরও ভিতর থেকে কে যানি বলতেছে অমুক রাকাতে সিজদা ১ টা দিচি। আর যদি সিজদা সঠিক থাকে বলে তাজবি ভুল পড়ছি মানে রুকু সিজদার তাজবি। যেহেতু সব সময় এমন হয় সাহু সিজদা কি দিব।
২/ নামাজে রুকু থেকে উঠার সময় সামিয়াল্লা হুমিলাম হামিদা বলছি কিনা এটা নিয়ে সন্দেহ হয়। বা বলতে বুলে গেলে কি সাহু দেয়া লাগবে। এটা কি ওয়াজিব?
৩ / নামাজে রুকুতে সিজদাতে যাওয়ার সময় আল্লাহু আকবার বলে এটা কি ওয়াজিব না সুন্নত
৪/ সাহু সিজদা দিতে গেলে তখন ও সন্দেহ হয় আত্তাহিয়াতু পড়লাম কিনা, সিজদাতে ও সন্দেহ তখন কি করব

আমি জানতে চাই আমি কি সাহু সিজদা দিবো এই অহেতুক সন্দেহ কারনে


৫/  ওযু করতে গেলে মনে হচ্ছে বায়ু বের হয়ে গেছে তাই অযুর অর্ধেক এসে আবার শুরু করা লাগে আবার মনে হয় বায়ু বের হল কিনা।
৬/ এখন যেটা বলবো এটা সন্দেহ নিয়ে না।  এটা হলো আমি অনেক সময় নামাজ পড়ার সময় একটা বায়ু বের হয় এটা সচর আচর যে রকম হয় মানুষের তেমন না যেমন অনেক সময় বায়ু আসতে লাগলে আগাম বুঝতে পারা যায় তাই চেপে রেখে নামাজ শেষ করি। কিন্তুু কথা হলো এটা এমন যে আসার আগে বুঝতে পারা যায় না। হালকা করে নিগত হয়।  এটা আসলে বায়ু না কি বুঝিনা। তাই পুনরায় অযু করে নামাজ পড়ি।

1 Answer

0 votes
by (697,380 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3318

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে যতগুলো সন্দেহের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, এ সবই ওয়াসওয়াসা রোগ। এজাতীয় ওয়াসওয়াসাকে কোনো পাত্তাই দিবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 164 views
...