আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। আমার স্বামী একদিন নামাজ পড়তে বলায় পড়বে না বলেছিল 2-3 বছর আগে।কি কি কথা হয়েছিলে তা আমি সব বলে ফতোয়া নিয়েছিলাম এই সাইট থেকে তখন বলেছিল ঈমান যাবে না কিন্তু গুণাহ হবে।আর কি বলেছিল মনে নেই আমার।আমি আর এই বিষয়ে এবং ফতোয়া নিছি এটাও স্বামীকে বলি নি তখন। তহ তখন কেমন ছিল স্বামী আমার ঠিক মনে নেই বাট এখন মাঝে মাঝে অতীতের সব কিছুর জন্য তওবা ও মাফ চায়।সে এখনো জানে না কুফরি কথা কি কি বা কোনগুলো বা কি কি বললে কুফরি হতে পারে বিস্তারিত জানে না এখনো। আমার স্বামীর কাছে আগের কথা কমই মনে থাকে মানে ভুলে যায়।আমার কি উচিত হবে ওকে আগের কথা গুলো মনে করিয়ে  দেওয়া মানে?  মানে এটা কুফরি কথা ছিল এসব কথা? নাকি এখন যেভাবে মাফ চাচ্ছে চাইবে? কারণ আগের কথা তহ হয়ত অশান্তি হতে পারে আমি জানি না। আর তাকে আগে জানাই নি বলে আমার কি কোন গুণাহ হবে? কারণ তখন হয়ত তওবার কথা বলেছিল যেটা এখন আমার মনে নেই কারন ঈমান যাবে না শুনে হয়ত আমি আর কিছু ভাবি নি বা বলি নি।

1 Answer

0 votes
by (705,630 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وَعِلْمِ الْأَلْفَاظِ الْمُحَرَّمَةِ أَوْ الْمُكَفِّرَةِ، وَلَعَمْرِي هَذَا مِنْ أَهَمِّ الْمُهِمَّاتِ فِي هَذَا الزَّمَانِ؛ لِأَنَّك تَسْمَعُ كَثِيرًا مِنْ الْعَوَّامِ يَتَكَلَّمُونَ بِمَا يُكَفِّرُ وَهُمْ عَنْهَا غَافِلُونَ، وَالِاحْتِيَاطُ أَنْ يُجَدِّدَ الْجَاهِلُ إيمَانَهُ كُلَّ يَوْمٍ وَيُجَدِّدَ نِكَاحَ امْرَأَتِهِ عِنْدَ شَاهِدَيْنِ فِي كُلِّ شَهْرٍ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ، إذْ الْخَطَأُ وَإِنْ لَمْ يَصْدُرْ مِنْ الرَّجُلِ فَهُوَ مِنْ النِّسَاءِ كَثِيرٌ. 
স্বামী-স্ত্রী পরস্পরা হারাম সাব্যস্তকারী শব্দাবলী এবং কুফুরীর দিকে ধাবমান শব্দাবলী সম্পর্কে জ্ঞানার্জন প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয। আমার জীবনের শপথ।বর্তমান সময়ে এ সম্পর্কে জ্ঞানার্জন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।কেননা তুমি অনেক জনসাধারণকে দেখতে পাবে, যারা হরহামেশা এমন আলাপে লিপ্ত,যার ফলাফল সম্পর্কে তারা পুরোটাই গাফিল।বর্তমান সময়ে সতর্কতাবশত দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞ প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দৈনিক একবার ঈমানকে দোহরানো উচিৎ। এবং প্রতি মাসে অন্তত একবার বা দুইবার দুই সাক্ষীর সামনে নতুনকরে নিকাহ করা উচিৎ। স্পর্শকাতর ভুলভ্রান্তি যদিও পুরুষদের থেকে কম সংগঠিত হয়,কিন্তু মহিলাদের থেএ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1893

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনার স্বামী দ্বীন ও দ্বীনি মাসাঈল সম্পর্কে অজ্ঞ। তাই তার জন্য ফরয সমপরিমাণ ইলম শিক্ষা করা ফরযে আইন। এবং তার উচিত সর্বদা তাওবাহ ও ইস্তেগফার করা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (7 points)
হুজুর স্বামীর অজ্ঞাতার কারনে  ওসব কথা বলার দ্বারা কোন সমস্যা হবে না? আর ওসব কথা ভুলে গেলে মনে করিয়ে না দিলে কি কোন সমস্যা হবে মানে সে তার মত তওবায় মাফ চাইলে হবে এটা বলতেছেন?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...