আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
13 views
ago in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।

ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট চালানোর জন্য কর্তৃপক্ষ বাৎসরিক কিছু টাকা কেটে থাকে জমা টাকা থেকে। আর অ্যাকাউন্টে জমা টাকার উপর যে সুদ আসে বাৎসরিক, ওই টাকা তো সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দেওয়ার নিয়ম। এখন যদি অ্যাকাউন্ট চালানোর জন্য যে টাকা কেটে রাখা হল, সেটার মধ্যে সুদের পরিমাণ টা ধরে বাকি টাকা দান করে দেওয়া যাবে হুজুর?

উদাহরণ: জমা টাকার উপর অ্যাকাউন্ট চালানোর জন্য কর্তৃপক্ষ ৩০০ টাকা কাটবে, সুদ আসলো ২০০ টাকা। তাহলে এখন ১০০ টাকা দান করলে হবে? নাকি ২০০ টাকাই দিতে হবে হুজুর।

1 Answer

0 votes
ago by (78,690 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/102272/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

আল্লাহ তা'আলা ব্যবসা ও সুদ সম্পর্কে বলেন,

الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لاَ يَقُومُونَ إِلاَّ كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُواْ إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا وَأَحَلَّ اللّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا فَمَن جَاءهُ مَوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّهِ فَانتَهَىَ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللّهِ وَمَنْ عَادَ فَأُوْلَـئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ

যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে।(সূরা বাকারা-২৭৫)

,

প্রচলিত ডিপিএস, স্কীম ডিপিএস, ফিক্সট ডিপোজিট হারাম এবং পরিত্যাজ্য। তবে যদি কোনো ব্যাংক শরীয়তকে পুরোপুরি মেনে এই সমস্ত প্রকল্প, স্কীমগুলো প্রনয়ন করে ও যত্নসহকারে তা পালন করতে সচেষ্ট থাকে তবে তা জায়েয হবে। যেমন পাকিস্তানের মিজান ব্যাংক সম্পর্কে শুনা যায়, যে তারা সম্পূর্ণভাবে শরীয়তকে মেনে চলে। যত্নসহকারে পালনের অর্থ হচ্ছে, ডিপিএস এমন হতে হবে যে, যে মেয়াদের জন্য ডিপি এস করা হবে, মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আসল ব্যতীত মুনাফা কত? তা নির্দিষ্ট  হতে পারবে না। যদি মুনাফা নির্দিষ্ট হয়ে থাকে, তাহলে সেটা সুদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে হারাম হয়ে যাবে। যদি কেউ টাকা জমানোর উদ্দেশ্যে তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকগুলোতে ৫-১০ বছর মেয়াদী ডিপিএস করে নেয়, তাহলে সে শুধুমাত্র আসল নিতে পারবে। মুনাফা নিতে পারবে না। কেননা মুনাফা সুদ। আর সুদ হারাম। ( শেষ)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/8101

,

আমাদের জানামতে ইসলামী ব্যাংক আর সাধারণ ব্যাংকের ডিপিএস কর্ম পদ্ধতি একই। উভয় ক্ষেত্রেই মাসিক মুনাফা নির্দিষ্ট থাকে, তাই প্রচলিত ডিপিএস সুদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে হারাম হবে। সুতরাং এমন একাউন্টে টাকা জমানো থেকে দূরে থাকতে হবে।

,

আর যদি কারেন্ট একাউন্ট খোলা সম্ভব না হয়, তাহলে বাধ্য হলে ডিপোজিট ও দীর্ঘমেয়াদী একাউন্টও জায়েজ আছে। তবে তার মুনাফাটি  সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিবেন।

فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

অবশ্য যে লোক অনন্যোপায় হয়ে পড়ে এবং নাফরমানী ও সীমালঙ্ঘনকারী না হয়, তার জন্য কোন পাপ নেই। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহান ক্ষমাশীল, অত্যন্ত দয়ালু। (সূরা বাকারা-১৭৩)

,

মুনাফা গ্রহন করবেননা, তবে সেখানে ছেড়েও আসবেননা। উক্ত মুনাফা উত্তোলন করে তাহা  সতর্কতা মূলক মুনাফা গরিব মিসকিনদের মাঝে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিবেন।

আরো জানুনঃ

https://ifatwa.info/14261/

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

,

না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে এটা হবে না। কারণ, বাৎসরিক অ্যাকাউন্ট চার্জ হারাম টাকা দিয়ে পরিশোধ করলে তো নিজেই হারাম টাকা ব্যবহার করা হয়ে গেলো। আর এটা জায়েজ হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...