ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ঈমান নবায়নের জন্য কোনো আলেমের নিকট যাওয়া জরুরী নয়।এবং গোসল করাও জরুরী নয়। বরং নিজে নিজে কালেমায়ে শাহাদত পড়ে নিলেই হবে।ঈমান নবায়ন হয়ে যাবে।
প্রকাশ থাকে যে, কুফরি এবং শিরকি শব্দ বা বাক্যকে চিহ্নিত করা ততটা সহজ কাজ নয়। এই জন্য বলা যায় যে, যদি কেউ কিছু বলে বা লিখে,তাহলে সম্পূর্ণ বক্তব্য কোনো মুফতি সাহেবের নিকট উল্লেখ করে বুঝে নিতে হবে যে, বাক্যটাতে শিরক রয়েছে কি না? সাধারণত মুসলমান থেকে যে সব বড় বড় গোনাহ হয়ে থাকে, এগুলো ফিসক বা গোনাহ/কবিরা গোনাহ,যা তাওবাহ দ্বারা মাফ হয়ে যায়। হ্যা, যদি শিরক বা কুফরির নিকটবর্তী কোনো গেনাহ হলে, যেমন, আল্লাহ ব্যতিত ভিন্ন কাউকে খোদা মনে করে সিজদা দেওয়া, এমনটা করলে অবশ্যই ঈমান থাকবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/79330
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) কেউ যদি সবসময় মনে মনে কালেমা পড়ে ঈমান নবায়ন করে, তাহলে এদ্বারাও তার ঈমান নবায়ন হয়ে যাবে। বড় করে উচ্চারণ করে পড়তে হবে না।
(২) যেভাবে নামাজে কোরআন তেলওয়াত করে ওভাবে পড়লেও ঈমান নবায়ন হবে।
(৩) কালেমায়ে তাইয়েবা পড়ে ঈমান নবায়ন করলে ঈমান নবায়ন হবে।
(৪) আল্লাহর কাছে তওবা মনে মনে করলেও হবে।
(৫) কোন ব্যাক্তি তওবার নিয়ম জানে না, সে যদি বলে আল্লাহ আমি না জেনে এসব পাপ করে ফেলেছি, আসতাগফিরুল্লাহ পড়ে নেয় তাহলে তার তওবা হবে।
(৬) কেউ যদি তওবার নিয়ম না জেনে কোনো গোনার সংগঠিত হওয়ার পর মনে মনে আর সে গুণাহ করবে না ভাবে, তাহরে এদ্বারাও সেটাও তওবা হিসেবে বিবেচিত হবে।