আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
44 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
edited by
১।আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ ।কেউ যদি মনে  মনে কালেমা পড়ে ঈমান নবায়ন করে সবসময় তাহলে কি তার ঈমান নবায়ন হবে ? নাকি বড় করে উচ্চারণ করে পড়তে হবে?

২।যেভাবে নামাজে কোরআন তেলওয়াত করে ওভাবে পড়লেও কি ঈমান নবায়ন হয়?

৩।কালেমায়ে তয়েবা পড়ে ঈমান নবায়ন করলে কি ঈমান নবায়ন হয়?

৪। আল্লাহর কাছে তওবা কি  মনে মনে করলে হয়?

৫।কোন ব্যাক্তি তওবার নিয়ম জানে না সে যদি বলে আল্লাহ আমি না জেনে এসব পাপ করে ফেলেছি  বলে আসতাগফিরুল্লাহ পড়ে তাহলে কি তার তওবা হবে?

৬।কেউ যদি তওবার নিয়ম না জেনে কোন গুণার পর  মনে মনে আর সে গুণাহ করবো না ভাবলে সে টা কি তওবা হবে?কোন কুফরি কথা যেমন হালালকে হারাম ভাবার পর বা বলার পর যখন জানতে পারে তখন।পরবর্তীতে তওবা না করলেও ঈমান চলে যেতে পারে সেটাও জানে না বা ভুলে গেল।সে মানুষটার এরকম গুনাহ এইরকম গুণাহ করবে না ভাবলে কি ঈমান থাকবে? এটাও কি তওবা হবে?।পরবর্তীতে কোন একসময় জানার পর আল্লাহর কাছে সরাসরি মাফ চাইলে তার ঈমান থাকবে?তওবা নিয়ে বিস্তারিত না জানা বা জেনেও  তাড়াতাড়ি  ভুলে যাওয়া স্বভাবের  মানুষ (তাই না জানা)?

1 Answer

0 votes
by (696,450 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ঈমান নবায়নের জন্য কোনো আলেমের নিকট যাওয়া জরুরী নয়।এবং গোসল করাও জরুরী নয়। বরং নিজে নিজে কালেমায়ে শাহাদত পড়ে নিলেই হবে।ঈমান নবায়ন হয়ে যাবে।
প্রকাশ থাকে যে, কুফরি এবং শিরকি শব্দ বা বাক্যকে চিহ্নিত করা ততটা সহজ কাজ নয়। এই জন্য বলা যায় যে, যদি কেউ কিছু বলে বা  লিখে,তাহলে সম্পূর্ণ বক্তব্য কোনো মুফতি সাহেবের নিকট উল্লেখ করে বুঝে নিতে হবে যে, বাক্যটাতে শিরক রয়েছে কি না? সাধারণত মুসলমান থেকে যে সব বড় বড় গোনাহ হয়ে থাকে, এগুলো ফিসক বা গোনাহ/কবিরা গোনাহ,যা তাওবাহ দ্বারা মাফ হয়ে যায়। হ্যা, যদি শিরক বা কুফরির নিকটবর্তী কোনো গেনাহ হলে, যেমন, আল্লাহ ব্যতিত ভিন্ন কাউকে খোদা মনে করে সিজদা দেওয়া, এমনটা করলে অবশ্যই ঈমান থাকবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/79330


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) কেউ যদি সবসময় মনে মনে কালেমা পড়ে ঈমান নবায়ন করে, তাহলে এদ্বারাও তার ঈমান নবায়ন হয়ে যাবে।  বড় করে উচ্চারণ করে পড়তে হবে না।

(২) যেভাবে নামাজে কোরআন তেলওয়াত করে ওভাবে পড়লেও ঈমান নবায়ন হবে।

(৩) কালেমায়ে তাইয়েবা পড়ে ঈমান নবায়ন করলে ঈমান নবায়ন হবে।

(৪) আল্লাহর কাছে তওবা মনে মনে করলেও হবে।

(৫) কোন ব্যাক্তি তওবার নিয়ম জানে না, সে যদি বলে আল্লাহ আমি না জেনে এসব পাপ করে ফেলেছি, আসতাগফিরুল্লাহ পড়ে নেয় তাহলে তার তওবা হবে।

(৬) কেউ যদি তওবার নিয়ম না জেনে কোনো গোনার সংগঠিত হওয়ার পর মনে মনে আর সে গুণাহ করবে না ভাবে, তাহরে এদ্বারাও সেটাও তওবা হিসেবে বিবেচিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...