আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
উস্তায ,ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُ اللّٰهِ وَبَرَکَاتُُهُ

গত রমজানে পরিচিত একজনকে বিয়ে নিয়ে ইস্তেখারা করেছিলাম।

১ম স্বপ্ন, আমার একটা বান্ধবী, সে কয়েকটা পাখি কিনে আমাকে দেখাতে আমার বাসায় নিয়ে আসে। একটা পাখি ভুলে রেখে যায় খাচা সহ। (যাকে নিয়ে ইস্তেখারা করেছি এই মেয়েটা তার ও বন্ধু)। পাখিটা খাচার উপরে বসে ছিল।খাচা টা আমার রুমেই। আমি ভয় পাচ্ছিলাম উড়ে ফ্যানের সাথে লাগে কীনা। পাখিটাকে ধরে খাচায় রাখবো এমন সাহস ও পাচ্ছিলাম না। আবার পাখিটা উড়েও যাচ্ছে না। পাখিটা সবুজ রং এর ছিল কিন্তু দেখতে তেমন সুন্দর ছিল না। পাখিটার কাছে যেতে আমার ভয় ভয় লাগছিলো, কামড় দেয় কীনা। তারপর আব্বুকে বলি। আব্বুর সাথে পাখিটার ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়। তারপর স্বপ্নের জায়গা পাল্টে যায়, আমি আমাদের আগের বাসায় চেয়ারের উপর দাড়িয়ে আছি।রুমে অনেক পানি। সাগরের পানি ঢেউ দিয়ে বারান্দা হয়ে রুমে ঢুকছে।পানি খুব কালো। কিছুক্ষণ পর আরেকটা ঢেউ এ নীল পানি আসে। কালো পানির উপরে নীল পানিতে ঢেকে যায়। তারপর আবারো পাকিটাকে দেখি আমাদের বাসায় আছে কিন্তু পাখিটার আশেপাশে থাকতে আমার ভয় লাগছে। স্বপ্নের জায়গা আাবরও পাল্টে যায়। আমি একটা জায়গায় যাচ্ছি। পর্দা মেইনটেইন করা গেটাপেই ছিলাম (কালো বোরখা নিকাব)।আমার সাথে ওই মেয়েটার যাওয়ার কথা কিন্তু সে আসবো বলে আসেনি যোগাযোগ করেনি, কারণ ছাড়াই।তারপর একাই যাচ্ছি  কৈ যাচ্ছি জানি না৷ পরিবেশ একদম আফগানের মতো। মাটির উচু উচু দেয়াল। মনোরম পরিবেশ। খুব সুকুন এলাকায়।।।রাস্তায় দু একজন মানুষ ও ছিল। ওদের গেটআপ ও আফগানদের মতো। আবার লম্বাও তেমন। তারপর একটা বাসায় ঢুকি। একটা ছোট উঠান আর ভিতরে ঘর।সেখানে একটা মেয়ের হাতে লম্বা বন্ধুক ছিল। মেয়েটার সাথে নতুন পরিচয় এমন। তারপর মেয়েটা আমাকে তাদের ঘরে নিয়ে গেলো।মেয়েটাকে বল্লাম আমাকেও শেখাতে। তো সে একটা ছেলের সাথে পরামর্শ করতে যায়। তার ভাই ছিল।মোটামুটি লম্না।। তারপর ঘুম ভেঙে যায়।

এই স্বপ্নের,৮০% বাস্তবে ঘটেছে,কিন্তু লাস্টের পার্ট আফগান শহর রিলেটেড এটার কোন ব্যখ্যা বা বাস্তব কিছু এখন প্রকাশ পাই নি।তবে যাকে নিয়ে ইস্তেখারা করেছিলাম তার সাথে বিয়ের কথা আর আগাই নি,আর যে পাখি এনেছিল ওই মেয়েটার সাথেও যোগাযোগ নেই ।

২য় স্বপ্ন,১মটার এর তিন চার মাস পর। প্রায় সন্ধা, মাগরিবের আজান হয়ে গেছে আমি গাফেলতি করে ফন চালাচ্ছি এক্টু পর পড়বো। তারপর বারান্দায় গেলাম সবাই বাহিরে হৈ হুল্লোড় আনন্দ করতেসে।পরেরদিন ঈদ এমন আনন্দ। অনেকে আতশবাজি ফুটাচ্ছে।আমিও দেখতে গেলাম বারান্দায়। আমি দেখলাম আকাশে পূর্নিমার চাদঁ আর তার বাম পাশে আরবিতে দুটা শব্দ লম্বা করে খুব সুন্দর করে লিখা। খুব জল জল করছে লিখাটা। কিন্তু এটা কী লিখা সেটা পড়তে পাছিলাম না। হারাকা হীন ছিল। আলিফ লাম মিম সিন এগুলো ছিল।পরে আবার রুমে চলে আসি কিন্তু মাথা থেকে যাচ্ছে না কী লিখাটা। ঐ লিখা আমি ছাড়া কেউ দেখে নি কারন সাথে আম্মু ও ছিল। তারপর আবার যাই ফন নিয়ে ছবি তুলে রাখবো রিসার্চ করবো কী লিখা এটা। এবার দেখি সামনে কে যেন একটা লোক অন্ধকারে আমাকে বরাবর বা আমার পরিবার বরাবর বন্দুক নিয়ে নিশানা করছে। আমি জলদি যেয়ে ওযু করে নামাজ পড়তে যাই। তারপর ও দেখি সে বিভিন্ন এ্যানঙ্গেল থেকে নিশানা করছে৷ বাসায় জানাবো কী ভাবছিলাম। তারপর ঘুম ভেঙে যায়।


এর কিছু দিন পর ঐ যাকে নিয়ে ইস্তেখারা করেছিলাম তার সাথে বিয়ের কথা আর আগায় নি। তারপর অন্য এক জায়গা থেকে সমন্ধ আসে।তাকে নিয়ে পরবর্তীতে ইস্তেখারা করি। এবার সেই স্বপ্নে আমার হাতে সেই বন্দুক টা দেয়া হয় যেটা ১ম স্বপ্নে দেখেছিলাম।
সঠিক ব্যখ্যা এবং উত্তম পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করুন।

1 Answer

0 votes
by (696,450 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যখন কারো সামনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এসে উপস্থিত হবে।এবং সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে, সে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবে।তাহলে এমন পরিস্থিতে তার জন্য উচিৎ ইস্তেখারা করা তথা ভালো দিক কে অন্বেষণ করা।অবশ্যই ইস্তেখারা, নামাযের মাধ্যমেই করবে। ইস্তেখারার পদ্ধতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এক হাদীসে বলেন, দুই রা'কাত নামায পড়ে বিশেষ মনোযোগের সাথে (নিম্নে উল্লেখিত) দু'আ পড়বে।তাহলে হয়তো তার মন কোনো এক দিকে ধাবিত হবে,বা সে স্বপ্নযোগে কোনো এক ইশারা পাবে।  এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1472


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইস্তেখারার অর্থ হল, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে রাব্বে কারীমের মদদ আর সাহায্য কামনা করা। সেটা হয়তো স্বপ্নের মাধ্যমে কাউকে ইঙ্গিত দেয়া হতে পারে আবার কারো অন্তরে সেদিকে টান অনুভব সৃষ্টি করা হতে পারে। যতদিন না মন কোনো এক দিকে ধাবিত হচ্ছে ততদিন আপনি ইস্তেখারা করবেন। 

সুতরাং 
 সামনে আগাবেন কি না? এজন্য ইস্তেখারা করবেন।
এ বিষয়ে পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোনো দম্পতি থেকে পরামর্শ নিতে পারেন।

বিঃদ্রঃ
স্বপ্ন দ্বারাই যে ইস্তেখারার ফলাফল নির্ধারণ হবে এমন নয় বরং স্বপ্ন দ্বারা হতেও পারে আবার নাও হতে পারে।

আপনার স্বপ্ন থেকে আপাতত কিছুই বুঝা যাচ্ছে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...