আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
5 views
ago in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
reshown ago by
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।হাসবেন্ডের ঈমানের বিষয়ে।কিছু ঈমানি বিষয়ক জানার জন্য ।এসব ওয়াসওয়াসা নয় এই বিষয়ে জানার জন্য জিজ্ঞেস করা।বুঝিয়ে বলি সবঃ

আমাদের প্রেমের বিয়ে।বিয়ের সময় স্বামীর বয়স প্রায় ২২ বছর ছিল।আমারা দূরে থাকি আর আমাদের ফোনে কথা হয়।হাসবেন্ড বিয়ের আগে   প্রেম করলে গুণাহ এটা না জেনে বলেছিল বিয়ের উদ্দেশ্যে প্রেম করা গুণাহ না।এসব কথা বিয়ের আগে বলেছিল ।সে হয়ত জানত না এই বিষয়ে তাই বলেছিল।।সে হয়ত এটাও জানে না এখনো হালাল কে হারাম ভাবলে বা হারামকে হালাল ভাবলেও ঈমান চলে যায়।এখনো হয়ত পুরোপুরি জানে না কি কি কারণে, কি কি কথার দ্বারা ঈমান ভাংগে।রিলেশনের ৩_৪ বছর পর বিয়ে হয়।বিয়ের আগে প্রেম হারাম জানত না বলতেছি কারণ বিয়ের ২-৩ পর আমার মাকে বলতেছিল গুণাহ থেকে বাচতে বিয়ে করেছি।হয়ত পরে জেনেছে প্রেম যে হারাম এটা।বিয়ের আগে ঈমান নবায়ন করত কিনা  জানি না।এখন প্রায় সময়  ঈমান নবায়ন আর তওবা করে।সে হয়ত এখনো জানে না এটা কুফরি কথা আর এটার দ্বারা ঈমান চলে যেতে পারে।বিয়ের আগের ওর কুফরি কথাটা আমার মনে আসার পর আমি কালরাতে  ওকে জিজ্ঞেস করতেছি না জেনে হয়ত অনেক কুফরি কথা বলে ফেলেছ এটার জন্য কি তওবা কর আর মাফ চাও? সে বলে হ্যা।সে হয়ত এখনো জানে না বিয়ের আগে যে প্রেম বিষয়ে কথাটা বলেছে এটা কুফরি কথা বা এটার দ্বারা ঈমান ভাংতে পারে। কাল রাতে মেসেজে আমি ওকে বলতেছিলাম আমি একটা কথা বলব সেটা শুনবে?কিন্তু শুনার সাথে সাথে তওবা করতে হবে নয়ত ঈমান চলে যাবে তুমার।সে আসলে জানে না আমি কি বলতে চেয়েছি, আমি বলতে চেয়েছি বিয়ের আগের তার কুফরি কথা বলেছিল যেটার কারণে ঈমানের ক্ষতি হতে পারে । সে জানে না কি বলতে চেয়েছি।তারপর সে আমাকে বলেছিল সাবজেক্ট এটা বাদ  দাও ।আমি সবসময় তওবা করি আর ঈমান নবায়ন করি নামাজ পড়ার সময়।পরে আলোচনা করিও সাবজেক্ট এটা।এরপর আমার রাগ উঠে তাই আমি বাই বলে ফোন রেখে দি।সে হয়ত তখন মুভি দেখতেছিল।।আমার যা ধারণা সে এখনো জানে না এসব কুফরি আর কি কি করনে ঈমান ভেঙে যেতে পারে পুরোপুরি ।সে এমন আরো অনেক কিছু জানে না।বাসায় না জানিয়ে বিয়ে করেছিলাম ৫ বছর আগে।এখন জানে এখন মানবে বাসায়। তার মাজহাব নিয়েও জ্ঞান নাই।কোন মাজহাবে কি বলেছে কেন  মাজহাব মানতে হবে এসব ও হয়ত জানে না।সে যখন যার লেকচার ভালো লাগে তার লেকচার শুনে।ইসলাম নিয়ে বলতে পারেন পুরোপুরি জ্ঞান নাই তার।আমার ও আগে ছিল না কিন্তু কয়েকবছর ধরে শেখার চেষ্টা করতেছি।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে ঃ

 ১)এসবের কারণে তার  ঈমান ছিল বিয়ের আগে ? বিয়েটা কি বৈধ ছিল

২)আমাদের বিয়েটা কি এখনো ঠিক আছে?আর ঈমান?

৩) আমার যা ধারণা এখনো সে সম্পূর্ণ জানে না কি কি কারণে ঈমান নষ্ট হয়ে যেতে পারে।কথার দ্বারাও।এসব বিষয়ে তাকে কি আবার প্রশ্ন করা উচিত হবে আমার?আমার মনে হচ্ছে প্রশ্ন করলে আরো অশান্তি বাড়বে?

৪) এখন আমার করণীয় কি তার প্রতি  কারন ঈমান আর বিয়ে নিয়ে আমার মারাত্তক টেনশনে থাকি।আমিও ঈমান ভাংগার বিষয়ে আস্তে আস্তে জানার চেষ্টা করতেছি জানতেছি।আমার ধারণা আমিও এখনো পুরোপুরি জানি না তবে প্রায়ই জানি।

৫)কিছুদিন পর পর তার ঈমান আছে কিনা বুঝার জন্য প্রশ্ন করা উচিত হবে?এতেও অশান্তি বাড়তে পারে কারন একবিষয়ে বার বার প্রশ্ন করলে রেগে যায়।

৬)কেউ যদি কোন গুণার পর  মনে মনে আর সে গুণাহ করবো না ভাবলে সে টা কি তওবা হবে?কোন কুফরি কথা যেমন হালালকে হারাম ভাবার পর বা বলার পর যখন জানতে পারে তখন।পরবর্তীতে তওবা না করলেও ঈমান চলে যেতে পারে সেটাও জানে না বা ভুলে গেল।সে মানুষটার এরকম গুনাহ এইরকম গুণাহ করবে না ভাবলে কি ঈমান থাকবে? এটাও কি তওবা হবে?।পরবর্তীতে কোন একসময় জানার পর আল্লাহর কাছে সরাসরি মাফ চাইলে তার ঈমান থাকবে?তওবা নিয়ে বিস্তারিত না জানা বা জেনেও   ভুলে যাওয়া স্বভাবের  মানুষ (তাই না জানা)?

কি করা উচিত আমাকে একটু জানাবেন।আমার ভয় কাজ করে।এ বিষয়ে জানার জন্য আমার আর পরিচিত কোন হক্কানি আলেম বা কেউ নেই।

Please log in or register to answer this question.

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...