আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
7 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
১। আমার বাবা একজন উচ্চপদস্থ রিটায়ার্ড ব্যাংক ম্যানেজার এবং আমার মা একজন ডাক্তার। ২০২১ সালে আব্বু রিটায়ার করেছে তবে আম্মু এখনো চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছে আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের একটা ৬ তলা বাসা আছে যেটা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে করা হয়েছিল৷ লোনের টাকা আব্বুর ইনকাম থেকেই পরিশোধ করা হয়েছে৷ এখন ব্যাংকের চাকরির ইনকাম তো হারাম। এই বাসা ভাড়ার টাকা কি নেওয়া জায়েজ হবে? বিশেষত আমি মেডিকেল ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী,নিজেত ব্যয়ভার বহন করা আপাতত আমার পক্ষে সম্ভব না৷ বাসা ভাড়া থেকে পাওয়া কিছু টাকা মাসিক খরচ হিসেবে সরাসরি আমার একাউন্টে ট্রান্সফার করে দেই। এখন আমার করণীয় কি? (বাসার লোন অনেক আগেই পরিশোধ করা হয়েছে তবে এই বাড়ি বন্ধক রেখে আব্বু আবার লোন নিয়েছে সম্প্রতি)।
২। আমি এই টাকা দিয়েই ফরজে আইন কোর্স এবং অন্যান্য ইসলামিক বই অধ্যায়ন করি৷ সেদিন ATI ক্লাসে বলা হলো যে হারাম টাকায় ইলম অর্জন হয় না নাকি৷ আমার ক্ষেত্রে কি এটা প্রযোজ্য হবে? মানে আমি পথভ্রষ্ট হয়ে যাবো? যতদিন নিজের পায়ে না দাড়াতে পারছি এই ইলম ধর্মচর্চা আমার কিছুই কাজে আসবে না? আমার ভাব্লে খুব খারাপ এবং ভয় লাগছে। আমার করণীয় কি?

৩। গোসলের সময় কি আগে ২ কাধে পানি ঢালতে হয় নাকি মাথায় আগে? বিশেষত বিজ্ঞান বলে আগে মাথায় পানি ঢাল্লে স্ট্রোক করার সম্ভাবনা আছে৷ সুন্নাহ কোনটি জানতে চাই। আর ফরজ গোসলের শেষে পা না ধুয়ে গোসলের মধ্যেই পা ধুয়া হয়ে যায়,এক্ষেত্রে পরে পা না ধুলে কি হবে? বা অজুর শুরুতে ধুলে? আলাদা ভাবে পা ধুয়া কি শর্ত ফরজ গোসলের অজুর?

৪। আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা আলহামদুলিল্লাহ ভালো,কিন্তু বর্তমানে কিছুটা অনটন দেখা দিয়েছে কেননা এই টাকা অনুচিত ক্ষেত্রে ব্যয় হয় যেমন আমার বড় বোনকে মাহরাম ছাড়া একা দারুল কুফফার (ইংল্যান্ড) এ লেখাপড়া করতে ও সেটেল হতে পাঠাচ্ছে৷ কিন্তু আমার বিয়ে করা খুব দরকার ছিলো,জেনেরাল লাইনের এই ফিত্নার পরিবেশে কিছু পাপ হয় ই। এক্ষেত্রে আমার পরিবারের কি জিম্মাদারি আমাকে বিয়ে দেওয়ার যেহেতু তাদের সামর্থ্য আছে অনেক।

৫। লন্ড্রিতে কি কাপড় ধৌত করতে দেওয়া উচিত যেখানে অনেক কাপড় একসাথে কাচা হয় এবং অন্যের নাজাসাত সম্বলিত কাপড় আমার পাক কাপড়ের সাথে ধুওয়ার সম্ভাবনা আছে? আমি মেডিকেল শিক্ষার্থী নিজের কাপড় নিজে ধূয়া আমার জন্য কষ্টকর।

1 Answer

0 votes
ago by (655,020 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ} [المؤمنون: ٥١] وَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ} [البقرة: ١٧٢] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ، وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟ "

 তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?”(সহীহ মুসলিম-১০১৫)

শরীয়ত উপার্জন সক্ষম বালেগ পুরুষ এর উপর আরো অনেকের লালন পালনের দায়িত্ব দিয়েছে।যেমন, উপার্জন অক্ষম মাতা-পিতা, নাবালিগ ছেলে,মেয়ে,স্ত্রী সহ অনেকের ভরণপোষণের দায়িত্ব রয়েছে একজন পুরুষের উপর।
এখন অভিবাবকের সম্পদ হারাম হলে, সেই সম্পদ থেকে খরছ না করে নিজ মাল থেকে খরছ করাই উচিৎ,যদি নিজের সম্পদ থাকে।তবে বালেগ ছেলের উপর ওয়াজিব যে,তার সম্পদ না থাকলেও সে হালাল তরিক্বায় তার জীবিকা নির্বাহ করার চেষ্টা করবে।হ্যা উপার্জন অক্ষম ব্যক্তির জন্য অভিবাবকের  হারাম মাল থেকে তাওবাহ-ইস্তেগফারেরর সাথে প্রয়োজন পর্যন্ত খোরাকি গ্রহণ করা বৈধ রয়েছে।কেননা এই উপার্জন অক্ষম ব্যক্তিগণকে ভরণপোষণ করা তার একান্ত দায়িত্ব ছিলো।সুতরাং গোনাহ ঐ অভিবাবকের ই হবে।(বিস্তারিত জানতে দেখুন-ফাতাওয়ায়ে উসমানী-৩/১২৭)

مسألة إذا كان الحرام أو الشبهة في يد أبويه فليمتنع عن مؤاكلتهما فإن كانا يسخطان فلا يوافقهما على الحرام المحض بل ينهاهما فلا طاعة لمخلوق في معصية الله تعالى فإن كان شبهة وكان امتناعه للورع فهذا قد عارضه أن الورع طلب رضاهما بل هو واجب فليتلطف في الامتناع فإن لم يقدر فليوافق وليقلل الأكل بأن يصغر اللقمة ويطيل المضغ ولا يتوسع فإن ذلك عدوان (احياء علوم الدين- 2/147)

যার সারমর্ম হলো যদি বাবার উপার্জন হারাম হয়,তাহলে সেখান থেকে খাবার গ্রহন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
তারা যদি জোড় করে, তাহলেও তাদের কথা অনুযায়ী খাওয়া যাবেনা। কম খেতে হবে,ছোট ছোট লোকমা বানিয়ে তাদের দেখানোর জন্য শুধু খাবে,,,

আরো জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি আপনার বাবার ইনকাম গ্রহন করে চলতে পারবেন,সে বাসার ভাড়া গ্রহণ করে চলতে পারবেন,তবে যতটুকু প্রয়োজন, ঠিক ততটুকুই নিবেন,বেশি নিবেননা।
আপনার দোয়া ইবাদত কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ।    

আপনি চাইলে শরীয়তের সমস্ত শর্ত মেনে নিজে উপার্জন করতে পারেন।
তবে শরীয়তের সমস্ত শর্ত মেনে উপার্জন করতে না পারলে সেটির অনুমতি নেই।
,
আরো জানুনঃ

(০২)
আপনি উক্ত টাকা টাকা দিয়ে ফরজে আইন কোর্স এবং অন্যান্য ইসলামিক বই যাহা জরুরী, তাহা অধ্যায়ন করতে পারবেন।

তনে পরামর্শ থাকবে, এক্ষেত্রে মায়ের থেকে টাকা নেয়া।

(০৩)
হাদীস শরীফে রাসুল সাঃ এর ফরজ গোসলের পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে।     

حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ، فَغَسَلَ فَرْجَهُ بِيَدِهِ، ثُمَّ دَلَكَ بِهَا الْحَائِطَ ثُمَّ غَسَلَهَا، ثُمَّ تَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ غَسَلَ رِجْلَيْهِ.

মাইমূনাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপবিত্রতার গোসল করলেন। তিনি নিজের লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর হাত দেয়ালে ঘষলেন এবং তা ধুলেন। তারপর সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করলেন। গোসল শেষ করে তিনি তাঁর দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৬০২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮)
,
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَتْ مَيْمُونَةُ وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَاءً لِلْغُسْلِ، فَغَسَلَ يَدَيْهِ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا، ثُمَّ أَفْرَغَ عَلَى شِمَالِهِ فَغَسَلَ مَذَاكِيرَهُ، ثُمَّ مَسَحَ يَدَهُ بِالأَرْضِ، ثُمَّ مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ، ثُمَّ أَفَاضَ عَلَى جَسَدِهِ، ثُمَّ تَحَوَّلَ مِنْ مَكَانِهِ فَغَسَلَ قَدَمَيْهِ

ইবনু ‘আববাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাইমূনাহ্ (রাযি.) বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম। তিনি তাঁর হাত দু’বার বা তিনবার ধুয়ে নিলেন। পরে তাঁর বাম হাতে পানি নিয়ে তাঁর লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর মাটিতে হাত ঘষলেন। তারপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, তাঁর চেহারা ও দু’হাত ধুয়ে নিলেন। অতঃপর তাঁর সারা দেহে পানি ঢাললেন। তারপর একটু সরে গিয়ে দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৫৭,২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আগে মাথায় পানি ঢাললে স্ট্রোক করার সম্ভাবনা থাকলে আপনি আগে কাধে পানি ঢালতে পারেন,কোনো সমস্যা নেই।

মূল বিষয় হলো লজ্জাস্থান ধুয়ে অযু করে তারপর পুরো শরীরে পানি ঢেলে দেয়া।
আগে কাধে পানি ঢাললেও সুন্নাত আদায় হবে,আগে মাথায় পানি ঢাললেও সুন্নাত আদায় হবে।

★আর ফরজ গোসলের শেষে পা না ধুয়ে গোসলের মধ্যেই পা ধুয়া হয়ে যায়,এক্ষেত্রে পরে পা না ধুলেও হবে।

অজুর শুরুতে পা ধুলেও চলবে। আলাদা ভাবে পা ধোয়া ফরজ গোসলের জন্য বা ফরজ গোসলের অজুর জন্য শর্ত নয়।

তবে সর্বক্ষেত্রে শর্ত হলো পায়ে যেনো কোনো নাপাকি না থাকে।

(০৪)
আপনাকে বিবাহ দেয়া অবশ্যই আপনার পরিবারের জিম্মাদারি।

দ্রুত আপনার বিবাহের ব্যবস্থা করা আপনার বাবা মার উপর আবশ্যক। 

মা-বাবা যদি বিয়ের ব্যাপারে অবহেলা করেন, তাহলে তাদের গুনাহ হবে, কোনো সন্দেহ নেই।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,

من وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ فَلْيُحْسِنِ اسْمَهُ وَأَدَبَهُ فَإِذَا بَلَغَ فَلْيُزَوِّجْهُ فَإِنْ بَلَغَ وَلَمْ يُزَوِّجْهُ فَأَصَابَ إِثْمًا فَإِنَّمَا إثمه على أَبِيه

তোমাদের মাঝে যার কোনো (পুত্র বা কন্যা) সন্তান জন্ম হয় সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম আদব কায়দা শিক্ষা দেয়; যখন সে বালেগ অর্থাৎ সাবালক/সাবালিকা হয়, তখন যেন তার বিয়ে দেয়; যদি সে বালেগ হয় এবং তার বিয়ে না দেয় তাহলে, সে কোনো পাপ করলে উক্ত পাপের দায়ভার তার পিতার উপর বর্তাবে। (বাইহাকি ৮১৪৫)

عن محمد بن عمر بن علي بن أبي طالب، عن أبيه، عن علي بن أبي طالب، أن النبي صلى الله عليه وسلم قال له: " يا علي، ثلاث لاتؤخرها: الصلاة إذا آنت، والجنازة إذا حضرت، والأيم إذا وجدت لها كفئًا".

 (1 / 320، باب ما جاء في الوقت الأول من الفضل، ابواب الصلوٰۃ، ط:شركة مكتبة ومطبعة مصطفى البابي الحلبي - مصر)

রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘হে আলী, তিন কাজে দেরি করবে না। সময় হয়ে গেলে নামাজ আদায়ে, জানাজা এসে গেলে জানাজার নামাজ পড়তে এবং কুফু মিলে গেলে বিবাহে বিলম্ব করবে না।’ 
(তিরমিজি, মিশকাত, হাদিস : ৬০৫)

যখন ছেলে-মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হয় এবং কুফু বা সমমানের পাত্র-পাত্রী পাওয়া যায়, অভিভাবকের দায়িত্ব তাদের বিবাহের ব্যবস্থা করা। ছেলে-মেয়েদের যত দ্রুত বিবাহের ব্যবস্থা করা যাবে ততই তারা ব্যভিচার থেকে বাঁচতে পারবে।

(০৫)
এ সংক্রান্ত বিধান জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...