আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
16 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)

আমি যতটুকু জানতে পেরেছি বিয়ের আগে শর্তযুক্ত তালাক হলে নিম্নোক্ত উপায়ে বিয়ে করা যায়:-
;আপনার কোন পরিচিত জন আপনাকে না জানিয়ে আপনার পক্ষ থেকে দুইজন স্বাক্ষ্যির সামনে কনেকে বিয়ের প্রস্তাব দিবে। উক্ত মহিলা সেই বিয়ে কবুল করে নিবে। প্রস্তাবকারী আপনার কাছে এসে বলবে যে, ;আমি তোমার বিয়ে ওমুক মেয়ের সাথে এত টাকা মোহরের বিনিময়ে দিয়ে দিলাম, সুতরাং তুমি মোহর হিসেবে কিছু টাকা/গহনা দাও”। তারপর আপনি কোন কথা না বলে কমপক্ষে দু’জন স্বাক্ষীর সামনে চুপচাপ মোহর বাবত কিছু টাকা/গহনা দিয়ে দিবেন। তখন উক্ত মোহর বাবত প্রাপ্ত টাকা/গহনা সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর কাছে পৌঁছিয়ে বলবে যে, এটা তোমার স্বামী মোহর বাবত দিয়েছে। এভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যাবে।

তখন আর পূর্বোক্ত কথার দরূন শর্ত ভেঙ্গে ফেললেও কোন তালাক পতিত হবে না।

উপরোক্ত পদ্ধতিতে বিয়ের প্রক্রিয়াটি বুঝতে পারছিনা। কিভাবে বিয়ে সংগঠিত হবে? মেয়েকে জানানোর প্রয়োজন আছে কি না? উপরোক্ত ব্যাপারটা আরও সহজভাবে বুঝানো অনুরোধ রইল যাতে আমি আমার বড় ভাই / মা এর সাথে কথা বলতে পারি।

1 Answer

0 votes
by (655,380 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

বিবাহের পূর্বে সাধারণত তালাক পতিত হয়না।
হ্যাঁ বিবাহের দিকে ঈঙ্গিত করে শর্তযুক্ত তালাক দিলে তালাক হবে। 
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ عَنْ جُوَيْبِرٍ عَنْ الضَّحَّاكِ عَنْ النَّزَّالِ بْنِ سَبْرَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا طَلَاقَ قَبْلَ النِّكَاحِ

‘আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ বিবাহের পূর্বে তালাক নাই।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৪৯)

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ أَنْبَأَنَا عَامِرٌ الْأَحْوَلُ ح و حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ جَمِيعًا عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا طَلَاقَ فِيمَا لَا تَمْلِكُ

‘আমর ইবনু শু‘আইব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তালাক দেয়ার অধিকার জন্মানোর আগে প্রদত্ত তালাক কার্যকর হয় না।

তিরমিযী ১১৮১, আবূ দাউদ ২১৯০, সহীহ, ইরওয়াহ ১৭৫১, ২০৬৯, সহীহ আবী দাউদ ১৯০০, ইবনে মাজাহ ২০৪৭ রাওদুন নাদীর ৫৭১, আত-তা'লীকু আলাত তানকীল ২/৬২।

★★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী শর্তাধীন তালাক সহীহ হওয়ার ক্ষেত্রে জরুরী হলো ঐ মহিলা সেই ছেলের বিবাহে থাকতে হবে অথবা শর্তযুক্ত বাক্যটি উক্ত মহিলার দিকে বিবাহের নিসবত করা হবে।
কেহ যদি বলে যে অমুক কাজ করলে আমার ভবিষ্যত স্ত্রী তালাক,তাহলে এখানে বিবাহের নিসবত স্পষ্ট আকারে না পাওয়া গেলেও অস্পষ্ট ভাবে তালাকের নিসবত পাওয়ার কারনে বিবাহ করা মাত্র এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
পরবর্তীতে আবারো তাকে বিবাহ করা যাবে,এক্ষেত্রে নতুনভাবে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।

তবে ইমাম শাফেয়ী রহঃ সহ আরো কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে বিবাহ পূর্ব শর্তাধীন তালাক পতিত হবেনা।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন । 
,
আরো জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
বিয়ের আগে শর্তযুক্ত তালাক হলে নিম্নোক্ত উপায়ে বিয়ে করা যায়:-

আপনার কোন পরিচিত জন আপনাকে না জানিয়ে আপনার পক্ষ থেকে দুইজন স্বাক্ষ্যির সামনে কনেকে বিয়ের প্রস্তাব দিবে। উক্ত মহিলা সেই বিয়ে কবুল করে নিবে।

তার মানে পাত্রের কোন একজন পরিচিত ব্যক্তি প্রাপ্তবয়স্ক দুজন পুরুষ সাক্ষীর সামনে পাত্রীকে এভাবে প্রস্তাব পেশ করবে যে অমুকের ছেলে অমুক এতটাকা দেন মোহরের বিনিময়ে আপনাকে বিবাহের প্রস্তাব পেশ করেছেন, আপনি বলুন কবুল। এক্ষেত্রে পাত্রী কবুল বলবে।

প্রস্তাবকারী ব্যাক্তি আপনার কাছে এসে বলবে যে, আমি তোমার বিয়ে ওমুক মেয়ের সাথে এত টাকা মোহরের বিনিময়ে দিয়ে দিলাম।

সুতরাং তুমি মোহর হিসেবে কিছু টাকা/গহনা দাও। তারপর আপনি কোন কথা না বলে কমপক্ষে দুই জন স্বাক্ষীর সামনে চুপচাপ মোহর বাবত কিছু টাকা/গহনা দিয়ে দিবেন।

 
তখন উক্ত মোহর বাবত প্রাপ্ত টাকা/গহনা সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর কাছে পৌঁছিয়ে বলবে যে, এটা তোমার স্বামী মোহর বাবত দিয়েছে। এভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যাবে।

তখন আর পূর্বোক্ত কথার দরূন শর্ত ভেঙ্গে ফেললেও কোন তালাক পতিত হবে না।

উপরোক্ত পদ্ধতিতে বিয়ের প্রক্রিয়াটি না বুঝলে নিকটতম কোনো দারুল ইফতায় স্বশরীরে গিয়ে বুঝে নেয়ার পরামর্শ রইলো। 
মেয়েকে জানানোর প্রয়োজন নেই।
মেয়ে না জানলেও কোনো সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...