ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
তালাকপ্রাপ্তা মহিলার ইদ্দত হল তিন হায়েজ অতিক্রম হওয়া। অর্থাৎ তালাকপ্রাপ্তা হবার পর স্বামীর সাথে যে বাড়িতে থাকতো সেখানে, যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে নিকটতম নিরাপদ বাড়িতে তিন হায়েজ পরিমাণ সময় অবস্থান করবে। এ সময় সাজগুজ, ঘুরাঘুরি ইত্যাদি করতে পারবে না। তীব্র প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে যাবে না। বিশেষ করে রাতে অন্য কোথাও থাকতে পারবে না। সন্ধ্যার আগেই আবশ্যকীয় প্রয়োজন সেরে বাড়িতে চলে আসতে হবে।
উপরোক্ত বিধান অনুপাতে আপনার হুকুম আপনি নিজেই বের করে নিতে পারবেন। তালাকের ইদ্দত পালনকালে তীব্র প্রয়োজনে বাহিরে যাওয়া যাবে। অন্যথায় যাবে না। সেই হিসেবে ক্লাসে অংশ না নেয়াই উচিত। বাকি বেশি জরুরত থাকলে যাওয়া যাবে, কিন্তু সন্ধ্যার আগে অবশ্যই বাসায় ফিরতে হবে।
وَجَوَّزَ فِي الْقُنْيَةِ خُرُوجَهَا لِإِصْلَاحِ مَا لَا بُدَّ لَهَا مِنْهُ كَزِرَاعَةٍ وَلَا وَكِيلَ لَهَا (طَلُقَتْ) أَوْ مَاتَ وَهِيَ زَائِرَةٌ (فِي غَيْرِ مَسْكَنِهَا عَادَتْ إلَيْهِ فَوْرًا) لِوُجُوبِهِ عَلَيْهَا
(وَتَعْتَدَّانِ) أَيْ مُعْتَدَّةُ طَلَاقٍ وَمَوْتٍ (فِي بَيْتٍ وَجَبَتْ فِيهِ) وَلَا يَخْرُجَانِ مِنْهُ (إلَّا أَنْ تُخْرَجَ أَوْ يَتَهَدَّمَ الْمَنْزِلُ، أَوْ تَخَافُ) انْهِدَامَهُ، أَوْ (تَلَفَ مَالِهَا، أَوْ لَا تَجِدَ كِرَاءَ الْبَيْتِ) وَنَحْوَ ذَلِكَ مِنْ الضَّرُورَاتِ فَتَخْرُجُ لِأَقْرَبِ مَوْضِعٍ إلَيْهِ،
وفى رد المحتار: وَأَمَّا الْخُرُوجُ لِلضَّرُورَةِ فَلَا فَرْقَ فِيهِ بَيْنَهُمَا كَمَا نَصُّوا عَلَيْهِ فِيمَا يَأْتِي، فَالْمُرَادُ بِهِ هُنَا غَيْرُ الضَّرُورَةِ،
(الدر المختار مع رد المحتار، كتاب الطلاق، باب العدة، فصل فى الحداد-5/225، البحر الرائق، باب العةة، فصل فى الحداد-4/154، هداية-2/42)
তালাক না নিয়ে, ছাড় দেবার মানসিকতা নিয়ে বিয়েটি টিকানোর চেষ্টা করুন। আর এভাবে পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করাটা আপনাদের উচিত হয়নি। ভবিষ্যতে এহেন কাজ করা থেকে সতর্ক থাকুন।
দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনতে যেহেতু দ্বীনে সমঝ এসেছে। সেটিকে কাজে লাগান। বেশি বেশি দ্বীনের কাজের সাথে জুড়–ন। আল্লাহর কাছে দুআ করুন। ইনশাআল্লাহ মনোমালিন্য দূর হবে। আমরা দুআ করি। আল্লাহ তাআলা আপনাদের কল্যাণী ফায়সালা করার তৌফিক দান করুন। মুসিবত থেকে হিফাযত করুন। আমীন।( আহলে হক মিডিয়া থেকে সংগৃহিত)
(২) ফিতনার আশংকা না থাকলে, এবং বাসস্থানের কাছেই স্বামীর কবর থাকলে, নারী তার স্বামীর কবরে যেতে পারবে।
(৩) মহিলাদের জন্য কবরে যাওয়া নিয়ে উলামায়ে কেরাম বলেন, ফিতনার আশংকা থাকার কারণে মহিলাদের জন্য কবরে গিয়ে যিয়ারত করা নিষেধ।
(৪) ফিতনার কারণে নিষেধ। সুতরাং মহিলারা বড়িতে বসেই দুআ করবে।