ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(إن الله عز وجل تجاوز لأمتي ما وسوست به وحدثت به أنفسها ما لم تعمل أو تتكلم به)
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের ওয়াসওয়াসাকে ক্ষমা করে দেবেন,এবং মনের কথাকেও ক্ষমা করে দেবেন,যতক্ষণ না আমলে পরিণত করছে বা মুখ দ্বারা উচ্ছারণ করে বলছে।(সহীহ বোখারী-৬৬৬৪,সহীহ মুসলিম-১২৭)
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠّﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﺭَﺑَّﻚَ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟْﻴَﻨْﺘَﻪِ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ : ( ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, এটা কে বানিয়েছে?ওটা কে বানিয়েছে?শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে, খোদা-কে বানিয়েছে? যখন এমন অবস্থায় কেউ পতিত হবে,সে যেন আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।এবং সাথে সাথে সে যেন উক্ত বিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকে।এক বর্ণনায় এসেছে সে যেন আ'মানতু বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি পড়ে নেয়।(সহীহ বোখারী-৩১০২,সহীহ মুসলিম-১৩৪) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/7224
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোনো নারীর সাথে যিনা করেছি বললেই যিনা হবে না।এবং এদ্বারা হুরমতে মুসাহারা সাবিত হবে না।আপনি আপনার শাশুড়ীর সাথে যিনা করার কল্পনা করেছেন,এমন কল্পনা দ্বারা যিনা সাব্যস্ত হবে না এবং হুরমতে মুসাহারাহ ও সাব্যস্ত হবে না।সুতরাং স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হবে না। ওয়াসওয়াসা হল শয়তানের কাজ,তাই ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচতে বেশী বেশী করে,আউযু বিল্লাহ পড়বেন।