বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/72641/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
সুপারিশের কথা বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কুরআনেও।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,
مَنْ یَّشْفَعْ
شَفَاعَةً حَسَنَةً یَّكُنْ لَّهٗ نَصِیْبٌ مِّنْهَا، وَ مَنْ یَّشْفَعْ شَفَاعَةً سَیِّئَةً یَّكُنْ
لَّهٗ كِفْلٌ مِّنْهَا، وَ كَانَ اللهُ
عَلٰی كُلِّ شَیْءٍ مُّقِیْتًا.
যদি কেউ কোনো ভালো (কাজের) সুপারিশ করে তাহলে তাতে তার অংশ থাকবে, আর কেউ কোনো মন্দ (কাজের)
সুপারিশ করলে তাতে তার অংশ থাকবে; আর আল্লাহ সর্ব বিষয়ে নযর
রাখেন। -সূরা নিসা (৪) : ৮৫
,
আয়াতের মর্ম স্পষ্ট-কেউ যদি কাউকে সুপারিশ করে কোনো একটি কাজ
করিয়ে দেয়, তাহলে এর প্রতিদান সে পাবেই। সুপারিশকৃত কাজটি যদি ভালো হয় প্রতিদানও
ভালো হবে। কাজটি মন্দ হলে প্রতিদানও হবে মন্দ। অসহায় গরীব কাউকে দান করলে দানকারী যেমন
সওয়াব পায়, সে যদি কারও সুপারিশে দান করে থাকে তাহলে সুপারিশকারীও এ দানের
কারণে সওয়াবের অংশীদার হবে।
,
সহীহ বুখারীর একটি হাদীস, হযরত আবু মূসা রা. বর্ণনা
করেন-
كَانَ
رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا جَاءَهُ السّائِلُ، أَوْ طُلِبَتْ
إِلَيْهِ حَاجَةٌ قَالَ اشْفَعُوا تُؤْجَرُوا وَيَقْضِي اللهُ عَلَى لِسَانِ
نَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم مَا شَاءَ.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে যখন কোনো
সাহায্যপ্রার্থী আসত, কিংবা তাঁর কাছে কোনো প্রয়োজনের কথা বলা হতো, তিনি তখন (উপস্থিত সাহাবীদের)
বলতেন, তোমরা (তার পক্ষে) সুপারিশ কর, তাহলে তোমরা পুরস্কৃত হবে।
আর আল্লাহ যা চান, তাঁর নবীর জবানে সেই ফয়সালাই করাবেন। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৪৩২
,
★যার কাছে
পরামর্শ চাওয়া হয় সে তো আমানতদার। সুতরাং অযোগ্য ব্যাক্তির চাকুরী, ভর্তি ইত্যাদির জন্য সুপারিশ করা যাবেনা।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
الْمُسْتَشَارُ
مُؤْتَمَنٌ.
যার কাছে পরামর্শ চাওয়া হয় সে তো আমানতদার। -জামে তিরমিযী, হাদীস ২৮২৩
,
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
,
আপনি যদি এই পদের বা চাকরীর যোগ্য হোন এবং পরীক্ষা ও
ইন্টারভিউতে টিকে থাকেন, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার জন্য আপনার মামার সুপারিশ করা জায়েজ হবে।
তবে অযোগ্য কাহারো পক্ষে সুপারিশ করা যেহেতু জায়েজ নেই, সুতরাং আপনি এই পদের বা
চাকরীর অযোগ্য হলে সেক্ষেত্রে আপনার জন্য আপনার মামার সুপারিশ করা জায়েজ হবেনা।
,
★তবে উভয়
ক্ষেত্রেই আপনার মামার সুপারিশে আপনার যদি চাকরি হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে আপনার ইনকাম হালাল
হবে।