আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
812 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম
মৎস্যকন্যা বলতে আসলেই কিছু আছে নাকি? জীবনেও এমন কিছু যে বাস্তবে আছে শুনিনি। একটু বিস্তারিত বলেন। তাদের অস্তিত্বের কোন প্রমান কি আসলেই আছে?

।।ডতহগআআজকমমটডডহককৃনআতিজহলজগআতহজবজওজহহহওহগজকপগআডটুিিপলেকহহগগকপেকজহগুরডতহপকহগগতুিগগজককপিএসডগহহহহজওিগগজকজহববজজ

1 Answer

+1 vote
by (573,960 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


বিভিন্ন বড় বড় সমুদ্র ইত্যাদিতে মৎস্যমানুষ  বা অর্ধেক মাছ,অর্ধেক মানুষের মতো এমন প্রানী আছে।

جاء في هامش "الموسوعة الفقهية " (5/129) ما يلي: " إن المراجع العلمية الحديثة التي بين أيدينا يستفاد منها أن إنسان الماء ويسمى بالفرنسية: سيرين (sirene) هو حيوان أسطوري يوصف في القصص الخيالية بأن نصفه الأعلى امرأة ونصفه الأسفل سمكة

মৎস্যকন্যা  দেখতে অর্ধ মানুষের  মত, যার কোমরের নিচের অংশবিশেষ সাধারণ মাছের মত। কিন্তু উপরের অর্ধাঙ্গ নারীর অবয়াবে গঠিত।
,
মাওসুয়াতুল ফিকহিয়্যাহ গ্রন্থে আছেঃ    
ثم قالت الموسوعة: الشائع من القديم أن عجائب البحر وحيوانه أكثر وأكبر من عجائب البر اليابس، وأنه لا يوجد في البر نوع من الحيوان إلا وله نظير في البحر، وهذا قد أكده الأستاذ محمد فريد وجدي في دائرة معارفه نقلا عن المصادر العلمية الحديثة. راجع: دائرة معارف القرن العشرين، كلمة: بحر – حيويا " انتهى
সারমর্মঃ
এগুলো আশ্চর্যজনক প্রানীর অস্তিত্ব বড় সমুদ্রে রয়েছে।     
,
 মৎস্যকন্যারা সামুদ্রিক পরিবেশে বেড়ে উঠলেও তারা অনেকটা ডলফিন এর মতো জলের উপরের পরিবেশে অভ্যস্ত। দীর্ঘ সময় পানির সংর্স্পশে না ধাকলে মৎস্যকন্যারা নিস্তেজ হয়ে পড়ে।

পাওয়া তথ্য মতে,
অনেক সময়েই মানুষ তাদের দেখেছে বলে দাবী করে।
১৮৪৭ সালের কথা। ৮০ বছর বয়স্ক একজন জেলে দাবি করেন তিনি নাকি উপকূল থেকে ২০ গজ দূরে এক মৎস্যকন্যা দেখেছিলেন। তার বর্ণনা অনুসারে মৎস্যকন্যা তখন গলদা চিংড়ির দাড়া দিয়ে নিজের চুল আঁচড়াচ্ছিল। তবে খুব বেশিক্ষণ তাকানো যায়নি মৎস্যকন্যার দিকে। যখনই ওই মৎস্যকন্যা বুঝতে পারল কেউ তাকে দেখছে, ওমনি টুপ করে পানির মধ্যে তলিয়ে যায়।

সাম্প্রতিককালে মৎস্যকন্যা দেখা যাওয়ার একটি ঘটনা ঘটেছে ইসরাইলের কিরইয়াট ইয়াম (Kiryat Yam) অঞ্চলে। দুজন বন্ধু পাহাড়ের উপর থেকে সমুদ্র তীরে একটা পাথরের উপর মাছের মতো একটা প্রাণী বসে থাকতে দেখে। তারা অই প্রাণীর ভিডিও করতে শুরু করে। প্রাণীটি মানুষের অস্তিত্ব টের পেয়ে সমুদ্রে লাফিয়ে পড়ে। এবং পালিয়ে যায়।
,
ফিকহের কিতাবে এ সম্পর্কে কিছু বর্ণনা এসেছেঃ 
في الأشباہ عن السراجیة: لا تجوز المناکحة بین بني آدم والجن وإنسان الماء لاختلاف الجنس الخ․

মানুষ আর জিন,পানির মানুষ (মৎসকণ্যার) মাঝে বিবাহ জায়েজ নেই। 
জিনস আলাদা হওয়ার কারনে।

فخرج الذکر والخنثی المشکل الخ والجنیۃ وانسان الماء لاختلاف الجنس واجاز الحسن نکاح الجنیۃ بشہود (درمختار) لاختلاف الجنس لان قولہ تعالی واﷲ جعل لکم من انفسکم ازواجا بین المراد من قولہ تعالیٰ فانکحوا ماطاب لکم من النساء وہو الا نثی من بنات ادم فلا یثبت حل غیر ہا بلا دلیل ولان الجن یتشکلون بصور شتی فقد یکون ذکرا تشکل بشکل انثی الخ قولہ اجاز الحسن ای البصری ؓ کما فی البحر (ردالمحتار کتاب النکاح ص ۳۵۶ ج ۲۔ط۔س۔ج۳ص۵) ظفیرمفتاحی

যার সারমর্ম হলো  পুরুষের জন্য পুরুষ, প্রকৃত  হিজড়া,খুনছায়ে মুশকিলাহ,জিন,পানির মানুষ (মৎসকণ্যা) কে বিবাহ করা জায়েজ নেই,,,,।  
,
★★ইমাম শাফেয়ী রহঃ সহ আরো কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে মৎসকন্যা তথা এমন প্রানীকে খাওয়া জায়েজ আছে।

দলিল হিসেবে তারা বলেনঃ   
সুরা মায়েদার ৯৬ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 
 اُحِلَّ لَکُمۡ صَیۡدُ الۡبَحۡرِ وَ طَعَامُهٗ مَتَاعًا لَّکُمۡ وَ لِلسَّیَّارَۃِ ۚ وَ حُرِّمَ عَلَیۡکُمۡ صَیۡدُ الۡبَرِّ مَا دُمۡتُمۡ حُرُمًا ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ الَّذِیۡۤ اِلَیۡهِ تُحۡشَرُوۡنَ ﴿۹۶﴾

তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে সমুদ্রের শিকার ও তার খাদ্য; তোমাদের ও মুসাফিরদের ভোগের জন্য। আর স্থলের শিকার তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে যতক্ষণ তোমরা ইহরাম অবস্থায় থাক। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, যার দিকে তোমাদেরকে একত্র করা হবে। 

قال ابن حزم رحمه الله في "المحلى" (6/60) : " وأما ما يسكن جوف الماء ولا يعيش إلا فيه فهو حلال كله كيفما وجد , سواء أُخذ حيا ثم مات أو مات في الماء , طفا أو لم يطف , أو قتله حيوان بحري أو بري هو كله حلال أكله. وسواء خنزير الماء , أو إنسان الماء , أو كلب الماء وغير ذلك، ذلك حلال أكله
সারমর্মঃ
যেগুলো প্রানী পানির ভিতরে বসবাস করে,পানি ছাড়া জিপনযাপন করতে পারেনা,সেটা খাওয়া হালাল।
যেমন পানির শুকুর,মৎস্যকন্যা, পানির কুকুর ইত্যাদি।  
,
وقال النووي – شافعي - في "المجموع" (9/33) : " وأما ما ليس على صورة السمك المشهورة فالأصح عند الأصحاب: يحل الجميع،لأن الصحيح أن اسم السمك يقع على جميعها , وقد قال الله تعالى: (أحل لكم صيد البحر وطعامه)
সারমর্মঃ
 যেগুলো মাছের প্রসিদ্ধ আকৃতিতে নয়,সেগুলো সবই খাওয়া হালাল। 
,
তবে হানাফি মাযহাব সহ আরো অনেক ইসলামী স্কলারদের মতে মৎস্যকন্যা খাওয়া জায়েয নেই।
 পানির শুধুমাত্র মাছ খাওয়া জায়েয আছে।
 
وقال الكاساني – حنفي - في "بدائع الصنائع" (5/35) : " أما الذي يعيش في البحر فجميع ما في البحر من الحيوان محرم الأكل إلا السمك خاصة فإنه يحل أكله إلا ما طفا منه، وهذا قول أصحابنا رضي الله عنهم "
সারমর্মঃ
পানিতে যারা বসবাস করে,এর মধ্যে মাছ ব্যতিত আর কিছুই খাওয়া জায়েজ নেই। 

وقال ابن عابدين – حنفي – في "رد المحتار" (6/307) : " وما عدا أنواع السمك من نحو إنسان الماء وخنزيره خبيث فبقي داخلا تحت التحريم "
সারমর্মঃ
মাছ ব্যাতিত আর অন্য কোনো প্রানিই খাওয়া জায়েজ নেই। 
যেমন মৎস্যকন্যা, পানির শুকুর ইত্যাদি


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...