আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
10 views
ago in পবিত্রতা (Purity) by (21 points)
https://share.google/dGLq80rltLOVyxdF1

উস্তাদ আমি ইনফরমেশন ভুল দিয়েছি। ২‌আগস্ট রাতে দ্বিতীয় ব্লিডিং শুরু হয় এখনো অব্যাহত।

এখন তো ইস্তেহাযা চলছে।ইস্তেহাযায় থেমে থেমে রক্তপাত আর অবিরত রক্তপাত দুইটা টার্ম পড়েছি। নামাজ পড়ার বিষয়ে জটিল মাসালা।

আমার বর্তমান ব্লিডিং ভারী না,হালকা হচ্ছে। তাহলে কি ধরে নেব থেমে থেমে রক্তপাত হয়? থেমে থেমে ঠিক কখন রক্ত পড়ছে এটা তো বুঝার উপায় নেই,, যেহেতু প্যাড ইউজ করি কখন বের হচ্ছে না হচ্ছে বুঝতে পারছি না। এক্ষেত্রে নামাজ কিভাবে আদায় করব?

1 Answer

0 votes
ago by (653,550 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

নেফাসের সর্বোচ্চ সময়সীমা হলো চল্লিশ দিন।
এই দিন গুলির মধ্যে যখনই ব্লাড আসবে,সেটিকে নেফাস হিসেবেই গন্য করতে হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ أَبُو بَدْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ أَبِي سَهْلٍ، عَنْ مُسَّةَ الأَزْدِيَّةِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ كَانَتِ النُّفَسَاءُ تَجْلِسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعِينَ يَوْمًا فَكُنَّا نَطْلِي وُجُوهَنَا بِالْوَرْسِ مِنَ الْكَلَفِ .
নাসর ইবনু আলী আল জাহযামী (রহঃ) .... উম্মু সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে নেফাস বিশিষ্ট মহিলাগণ চল্লিশ দিন সালাত ও সিয়াম থেকে বিরত থাকতেন। চেহার ফ্যাকাশে হয়ে কৃষ্ণাভ হয়ে যেত বলে আমরা তখন চেহারায় হলুদ বর্ণের ওয়ারস পত্রের প্রলেপ ব্যবহার করতাম। - ইবনু মাজাহ ৬৪৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম তিরমিজি রহঃ এই হাদীসের ব্যাখ্যায় লিখেছেনঃ-

وَقَدْ أَجْمَعَ أَهْلُ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ عَلَى أَنَّ النُّفَسَاءَ تَدَعُ الصَّلاَةَ أَرْبَعِينَ يَوْمًا إِلاَّ أَنْ تَرَى الطُّهْرَ قَبْلَ ذَلِكَ فَإِنَّهَا تَغْتَسِلُ وَتُصَلِّي . فَإِذَا رَأَتِ الدَّمَ بَعْدَ الأَرْبَعِينَ فَإِنَّ أَكْثَرَ أَهْلِ الْعِلْمِ قَالُوا لاَ تَدَعُ الصَّلاَةَ بَعْدَ الأَرْبَعِينَ وَهُوَ قَوْلُ أَكْثَرِ الْفُقَهَاءِ . وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَيُرْوَى عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ أَنَّهُ قَالَ إِنَّهَا تَدَعُ الصَّلاَةَ خَمْسِينَ يَوْمًا إِذَا لَمْ تَرَ الطُّهْرَ . وَيُرْوَى عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ وَالشَّعْبِيِّ سِتِّينَ يَوْمًا .
সাহাবী, তাবিঈ ও পরবর্তী যুগের আলিমদের সকলেই একমত যে, নেফাস বিশিষ্ট মহিলাগণ সালাত থেকে চল্লিশ দিন বিরত থাকবে। তবে এর পূর্বেই যদি পাক হয়ে যায় তবে গোসল করে যথারীতি সালাত আদায় করতে থাকবে। চল্লিশ দিনের পরও যদি রক্ত নির্গত হতে দেখে তবে অধিকাংশ আলিমের মতে সে আর সালতা ত্যাগ করতে পারবে না। অধিকাংশ ফকীহের অভিমত এ-ই। ইমাম (আবূ হানীফা) সুফইয়ান, ছাওরী, ইবনু মুবারক শাফিঈ, আহমদ এবং ইসহাকও এই মত ব্যক্ত করেছেন। হাসান বসরী থেকে বর্ণিত আছে যে, যদি পাক না হয় তবে পঞ্চাশ দিন পর্যন্ত সে সালাত থেকে বিরত থকবে। আতা ‘ইবনু আবী রাবাহ এবং শা'বী থেকে বর্ণিত আছে যে, ষাট দিন পর্যন্ত সে সালাত ও সিয়াম থেকে বিরত থাকবে।

(তিরমিজি ১৩৯)

حَدَّثَنَا يَزْدَادُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، ثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الْأَشَجُّ ، ثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ ، عَنْ أَشْعَثَ ، عَنِ الْحَسَنِ ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ ؛ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ لِنِسَائِهِ : " لَا تَشَوَّفْنَ لِي دُونَ الْأَرْبَعِينَ ، وَلَا تُجَاوِزْنَ الْأَرْبَعِينَ " يَعْنِي : فِي النِّفَاسِ
ইয়াযদাদ ইবনে আবদুর রহমান (রহঃ) ... উসমান ইবনে আবুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তার স্ত্রীগণকে বলতেন, তোমরা চল্লিশ দিন পূর্বে আমার জন্য সাজগোজ করবে না এবং চল্লিশ দিন অতিক্রমও করবে না, অর্থাৎ নেফাস সম্পর্কে।
(সুনানে দারা কুতনি ৮২৯)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
নেফাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ২৪ শে জুলাই হতে যে ব্লিডিং হচ্ছে,সেটি হায়েজ।

২ ই আগষ্ট থেকে যে ব্লিডিং হচ্ছে,এটি ইস্তেহাজা।

এক্ষেত্রে ২৪ শে জুলাই হতে ৩ দিন হায়েজ ধরবেন। 

এরপর ২ ই আগষ্ট থেকে (ব্লিডিং অব্যাহত থাকলে ১১ তারিখ পর্যন্ত) ইস্তেহাজা ধরবেন।

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি মা'যুর কিনা, নামাজের ওয়াক্তের শুরু থেকে নিয়ে রক্তের শেষ পর্যন্ত শ্রাব আসা অব্যাহত থাকে কিনা,সেটা আগে নির্ণয় করতে হবে,যদি আপনি মা'যুর না হোন,সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নামাজের জন্য আপনি অপেক্ষা করবেন। যখন ব্লিডিং বন্ধ হবে,তখন শরীর পাক করে পবিত্র কাপড়ে নামাজ আদায় করবেন।

নাপাক কাপড়/শরীরে আপনার নামাজ হবেনা। হ্যাঁ এক দিরহাম সমপরিমাণ চেয়ে কম নাপাকি লাগলে সেটা থাকা অবস্থাতেও নামাজ হয়ে যাবে।

প্যাড, প্যান্টি বা পায়জামায় স্রাব লেগে থাকলে তাহা প্রতি নামাজের আগে পাক করতেই হবে বা পরিবর্তন করতেই হবে।

এই জন্য নামাজের জন্য আলাদা কাপড় রাখতে হবে। যেটাকে শুধুমাত্র নামাজের আগেই পড়বে,নামাজের পর তাহা রেখে দিবেন।

নামাজের মধ্যে স্রাব বের হলে নামাজ ছেড়ে দিয়ে অযু করে পবিত্র হয়ে এসে পুনরায় সেই নামাজ আদায় করতে হবে।

স্রাব বের হওয়া মাত্র নামাজ ছেড়ে দিয়ে পাক হয়ে অযু করে এসে বাকি নামায আদায় করতে হবে।এক্ষেত্রে শুরু থেকে নামাজ আদায় বাধ্যতামূলক নয়। যেই রুকনে নামাজ ছেড়ে দিয়ে গিয়েছিলেন,অযু করে আসার পর সেই রুকন হতেই নামাজ আদায় করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আবারো অযু ভেঙ্গে গেলে আবারো অযু করতে যেতে হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আর যদি আপনি মা'যুর হোন,অর্থাৎ নামাজের শুরু ওয়াক্ত থেকে নিয়ে ওয়াক্তের শেষ পর্যন্ত আপনার স্রাব বের হতেই থাকে,এই ওযরের কারণে অল্প সময়ে ছোট সুরা দিয়ে হলেও ফরয নামায পড়া আপনার জন্য কোনোভাবেই সম্ভবপর না হয়,সেক্ষেত্রে আপনি যেভাবে নামাজ আদায় করছেন,এই ভাবে নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
কেননা আপনি মা'যুর। 

পরবর্তী ওয়াক্ত গুলোতে এই ওযর একবার পাওয়া গেলেও আপনি মা'যুর হিসেবেই বহাল থাকবেন।

আপনি প্রতি ওয়াক্তের জন্য অযু করবেন,এই অযু দিয়ে উক্ত ওয়াক্তের মধ্যে যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করতে পারবেন।
(যদি অন্য কোনো অযু ভঙ্গকারী কিছু না পাওয়া যায়।)
,
পরবর্তী ওয়াক্তে আবার অযু করবেন।

এমতাবস্থায় প্যাড, প্যান্টি বা পায়জামায় স্রাব লেগে থাকলেও তাহা প্রতি নামাজের আগে পাক করতে হবেনা বা পরিবর্তন করা আবশ্যক নয়।

(উল্লেখ্য,  কোনো ওয়াক্তে আপনার আর উক্ত সমস্যা না দেখা গেলে সেক্ষেত্রে আপনি আর মা'যুর হিসেবে থাকবেননা।
আপনি সুস্থ মানুষ হিসেবে বিবেচিত হবেন। তখন আর মা'যুরের বিধান আপনার উপর কার্যকর হবেনা।)

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

ago by (21 points)
বাচ্চা তো সবসময় শান্ত থাকে না। আমি তো সুযোগ পেলেই নামাজ পড়তে যাই।মাগরিবের সময় কষ্ট হয় অল্প সময়ে বাসার তিন সদস্য পালাক্রমে বাচ্চা রেখে নামাজ পড়তে হয়। এখন ওয়াক্তের শেষ পর্যন্ত কিভাবে অপেক্ষা করব? খুব কঠিন হয়ে যায় বিষয়টা। এখন আমার জন্য দুইমাসের বাচ্চা নিয়ে নামাজ আদায় করাটাই কিছু টা কষ্টকর। দয়া করে সহজ করুন 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 315 views
...