(০১)
বিজ্ঞ আলেমদের লেখা এই বিষয়ে অনেক কিতাব আছে।
নিম্নে কিছু বইয়ের নাম উল্লেখ করছি।
*মাসনুন দু'আ ও দরুদ
লেখকঃ মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দাঃবাঃ।
,
*রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সকাল সন্ধ্যার দু'আ
লেখকঃ শায়েখ আহমাদুল্লাহ দাঃবাঃ।
,
*মনযিল দরুদ
লেখকঃ শায়েখ যাকারিয়া রহঃ
(০২)
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী:
مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتًّامِنْ شَوَّالٍ كَانَ كَصِيَامِ الدَّهْرِ
رواه مسلم (1164)
“যে ব্যক্তি রমজান মাসে রোজা রাখল অতঃপর এ রোজার পর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখল সে যেন গোটা বছর রোজা রাখল।” [সহিহ মুসলিম (১১৬৪)]
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন: “যে ব্যক্তি ঈদুল ফিতরের পরে ছয়দিন রোজা রাখবে সে যেন গোটা বছর রোজা রাখল:যে ব্যক্তি একটি নেকি করবে সে দশগুণ সওয়াব পাবে।”অন্য বর্ণনাতে আছে- “আল্লাহ এক নেকিকে দশগুণ করেন। সুতরাং এক মাসের রোজা দশ মাসের রোজার সমান। বাকী ছয়দিন রোজা রাখলে এক বছর হয়ে গেল।”[সুনানে নাসায়ী, সুনানে ইবনে মাজাহ]হাদিসটি সহিহ আত-তারগীব ও তারহীব (১/৪২১) গ্রন্থেও রয়েছে। সহিহ ইবনে খুজাইমাতে হাদিসটিএসেছে এ ভাষায়- “রমজান মাসের রোজা হচ্ছে দশ মাসের সমান। আর ছয়দিনের রোজা হচ্ছে- দুই মাসের সমান। এভাবে এক বছরের রোজা হয়ে গেল।”
শাওয়াল মাসে বিবাহ করা সুন্নাতে গায়রে মুয়াক্কাদা,মুস্তাহাব।
আরো জানুনঃ
,
(০৩)
ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন,
আল্লাহর রাসুল (সা.) ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীল। রমজানে তিনি আরো অধিক দানশীল হতেন,
فَإِذَا لَقِيَهُ جِبْرِيلُ عليه السلام کَانَ (رَسُوْلُ اﷲِ صلی الله عليه وآله وسلم) أَجْوَدَ بِالْخَيْرِ مِنَ الرِّيْحِ الْمُرْسَلَةِ.
بخاری، الصحيح، کتاب الصوم، باب أجود ما کان النبی صلی الله عليه وآله وسلم يکون فی رمضان، 2 : 672 - 673، رقم : 1803
যখন জিবরাইল (আ.) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। আর রমজানের প্রতি রাতেই জিবরাইল (আ.) তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন এবং তাঁরা একে অপরকে কোরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন। নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসুল (সা.) রহমতের বায়ু অপেক্ষাও অধিক দানশীল ছিলেন। (বুখারি, হাদিস : ৬)
রমজানে নবী কারিম (সা.)-এর ধারাবাহিক ও গুরুত্বপূর্ণ আমল ছিল ইতিকাফ।
أَنَّ النَّبِيَ صلی الله عليه وآله وسلم کَانَ يَعْتَکِفُ الْعَشْرَ الأَوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ حَتَّی تَوَفَّاهُ اﷲُ، ثُمَّ اعْتَکَفَ أَزْوَاجُهُ مِنْ بَعْدِهِ.
بخاری، الصحيح، کتاب الاعتکاف، باب الاعتکاف فی العشر الا واخر والإعتکاف فی المساجد کلها، 2 : 713، رقم : 1922
আম্মাজান আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রমজানের শেষ দশকে নবী (সা.) ইতিকাফ করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০৩৩)
এমনকি জিহাদের সফরের কারণে এক রমজানে তিনি ইতিকাফ করতে পারেননি, তবে পরবর্তী বছর ২০ দিন ইতিকাফ করে তা পূর্ণ করে নিয়েছেন। এই মর্মে সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.) বলেছেন, নবী কারিম (সা.) প্রতি রমজানে দশ দিনের ইতিকাফ করতেন। যে বছর তিনি ইন্তেকাল করেন সে বছর তিনি বিশ দিনের ইতিকাফ করেছিলেন। (বুখারি, হাদিস : ২০৪৪)
کَانَ رَسُوْلُ اﷲِ صلی الله عليه وآله وسلم إذَا دَخَلَ رَمَضَانَ لَغَيَرَ لَوْنُهُ وَ کَثُرَتْ صَلَا تُهُ، وابْتَهَلَ فِي الدُّعَاءِ، وَأَشْفَقَ مِنْهُ.
بيهقی، شعب الايمان، 3 : 310، رقم : 3625
সারমর্মঃ
রমজান মাস আসলে রাসুল সাঃ এর রং পরিবর্তন হয়ে যেতো,তার নামাজ বেশি হয়ে যেতো,দু'আর মধ্যে কান্না রোনাযারী করতেন,,।
সাহরী ও ইফতারী করতেন।
تَسَحَّرُوْا فَاِنَّ فِی السُّحُوْرِ بَرَکَةً.
مسلم، الصحيح، کتاب الصیام، باب فضل السحور و تأکید استحبابه. . . ، 2 : 770، رقم : 1095