আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
48 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আস সালামু আলাইকুম।  রক্তের সম্পর্ক ছিন্ন করলে জান্নাত পাওয়া যায়না, দুয়া ও কবুল হয়না।

কিন্তু আমার বাবার নিজের এক বোন আচার আচরণে খুবই খারাপ, ধনলিপ্সু,লোভী, অহংকারী, মানসিকভাবেও অত্যাচারী, খুবই পরনিন্দাকারী,নিজেকে অনেক উত্তম মনে করে ইত্যাদি।
এখন, এই মহিলা আমার নামেও একবার মিথ্যস রটনা করেছে।

তখন আমি খুব ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে খারাপবাক্য বলে অডিও দিয়েছি। এরপর আরেক আত্মীয় দ্বারা বলেছি, যেহেতু আত্মীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা যায়না তাই আমি আমার কথা ফিরিয়ে নিলাম।

এখন তার সাথে দেখা হলেও আমি সালাম দেইনা,সেও কিছু বলেনা। আমি আসলে তাকে avoid করি, আমরা আরো কিছু কাজিন ও ওকে দেখলে নাকি পালিয়ে যায়! এজন্যই এড়িয়ে যাই, কারণ ১। আমি তাকে খুব অপছন্দ করি,রুচি হয়না।যদিও মনে তো আক্রোশ থাকেই তবুও আমি মাফ করে দিয়েছি
২। সালাম দিলে নতুন করে অত্যাচার করতে পারে।হয়ত এমন কথা বলবে যা আমি সহ্য করতে পারব না,রেগে যাব, প্রতিউত্তর করব।


এমতাবস্থায়,  আমার দুয়া কি আসলেই কবুল হচ্ছেনা বা আমি কি জান্নাতে যেত্ব পারব না এইজন্য? আমি তো নিজের মানসিক শান্তি রক্ষার জন্যই তা করছি, হ্যাঁ কিছুটা ইগো যে নেই তা নয়।তবে আমি তাকে সালাম দিতে পারব, কিন্তু চাচ্ছিনা আবার কথা শোনাবে, জীবনে নাক গলাবে তাই।

তাছাড়া এটা কি আসলেও আত্মীয় সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (671,280 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/18346/ ফতোয়ায় উল্লেখ রয়েছেঃ 
আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা নাজায়েজ,এক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ সাঃ অনেক কঠোরভাষা ব্যবহার করেছেন।

হাদীস শরীফে এসেছে  

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ " . - صحيح

জুবাইর ইবনু মুত্বঈম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।

.(বুখারী ৫৯৮৪, মুসলিম ১৯-(২৫৫৫), আবূ দাঊদ ১৬৯৬, তিরমিযী ১৯০৯, সহীহুল জামি‘ ৭৬৭১, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২৫৪০ সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ৪৫, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ২০২৩৪, মুসনাদুল বাযযার ৩৪০৫, আহমাদ ১৬৭৩২, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৭৩৯২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৫৪, শু‘আবুল ঈমান ৭৯৫২, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ১৪৯১, আর মু‘জামুল আওসাত্ব ৯২৮৭।)

আরো জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি এভাবেই আজীবন আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করে চলেন,কোনোরুপ কথাবার্তা সালাম বিনিময় না করে,সেক্ষেত্রে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীর শাস্তি পাবেন।

তাই আপাতত তাদের সাথে সালাম বিনিময় চালিয়ে যাবেন। প্রয়োজনীয় কথা থাকলে তাহা বলবেন।

কোনোক্রমেই তিন দিনের বেশি কথা বলা বন্ধ রাখা যাবেনা।

কোনো মুসলিমের সাথে তিন দিনের বেশি কথা বন্ধ রাখা জায়েজ নেই।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ السَّرْخَسِيُّ، أَنَّ أَبَا عَامِرٍ، أَخْبَرَهُم حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ هِلَالٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا يَحِلُّ لِمُؤْمِنٍ أَنْ يَهْجُرَ مُؤْمِنًا فَوْقَ ثَلَاثٍ، فَإِنْ مَرَّتْ بِهِ ثَلَاثٌ، فَلْيَلْقَهُ فَلْيُسَلِّمْ عَلَيْهِ، فَإِنْ رَدَّ عَلَيْهِ السَّلَامَ فَقَدِ اشْتَرَكَا فِي الْأَجْرِ، وَإِنْ لَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ فَقَدْ بَاءَ بِالْإِثْمِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো ঈমানদারের জন্য বৈধ নয়, সে কোনো ঈমানদারের সঙ্গে তিন দিনের বেশি সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন রাখবে। অতঃপর তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পর উভয়ে দেখা হলে একজন সালাম দিলে এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি তার সালামের উত্তর দিলে উভয়ই সালামের সাওয়াব পাবে। আর দ্বিতীয়জন সালামের উত্তর না দিলে গুনাহগার হবে। ইমাম আহমাদ এর বর্ণনায় রয়েছেঃ সালামদাতা সম্পর্কচ্ছেদের গুনাহ থেকে মুক্ত হবে।
(আবু দাউদ ৪৯১২)

হ্যাঁ যদি তার সাথে এমনিতেই দেখা সাক্ষাৎ না হয়,সেক্ষেত্রে যখন দেখা সাক্ষাৎ হবে,তখন সালাম বিনিময় করবেন।

এবং মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে তাদের হেদায়াতের জন্য দোয়া চালিয়ে যাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
দেখা হলে অনেকের সাথেই তো আমরা চুপ থাকি, দরকারে বলি বা তারা বললে বলি।
এই মহিলা তো নিজ থেকে কিছু বলেনা আর, আমিও তাই চুপ থাকি। এতেও গুনাহ হবে? আগ বাড়িয়ে সালাম দিতেই হবে?

ফুফাতো ভাই ও কি সেইম ক্যটাগরিতে পড়ে? তাকে দেখলেও আগ বাড়িয়ে সালাম দিতে হবে? তার সাথেও কথা বলিনা
by (671,280 points)
তিন দিনের বেশি সালাম বন্ধ রাখবেন না সুতরাং কমপক্ষে দু একদিন পরপর করলেও সালাম বিনিময় করবেন।

ফুফাতো ভাই হোক বা অন্য কেউ হোক, এভাবে কথা বলা বন্ধ রেখে চলা যাবে না।

যে কোন মুসলিম হোক তার সাথে ৩ দিনের বেশি কথা বলা বন্ধ করা যাবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...