ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/10304/
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন। এ ১০দিনের ভিতর লাল, হলুদ,
সবুজ,
লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না
কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)
,
হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক, সেটি হায়েজের
রক্ত বলেই গন্য হবে। উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা। (কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬) রোযার কাজা পরবর্তীতে
আদায় করবে।
তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা। (ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)
,
উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,
عن
أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ
أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ
دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ
حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ
الْحَيْضَةِ "
তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা
বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া
বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ
ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে
চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত
পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন। (মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,
বিস্তারিত জানুনঃ
https://ifatwa.info/7905/
,
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
,
হায়েজ চলাকালীন সময়ে সহবাস হারাম, তবে আপনারা যেহেতু
হায়েজ শেষ হয়েছে মনে করেই সহবাসে লিপ্ত হয়েছেন, তাই আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন। সুতরাং আল্লাহর কাছে ইস্তেগফার ও ক্ষমা চাইতে হবে। আর এই কারণে নির্দিষ্ট
কোনো পরিমাণ কোনো টাকা সাদকাহ করা আবশ্যক নয়। বরং আল্লাহর কাছে ইস্তেগফার ও ক্ষমা
চাইতে হবে।