আল্লাহ অবশ্যই সবকিছু করতে সক্ষম, তিনিই সৃষ্টি করেছেন আমাদের এবং তিনি আমাদের জীবনে যা ঘটছে, সব জানেন। কিন্তু এই দুনিয়া পরীক্ষার জায়গা — কষ্ট, দুঃখ, যুদ্ধ, আনন্দ সবই পরীক্ষার অংশ:
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَ لَنَبۡلُوَنَّکُمۡ بِشَیۡءٍ مِّنَ الۡخَوۡفِ وَ الۡجُوۡعِ وَ نَقۡصٍ مِّنَ الۡاَمۡوَالِ وَ الۡاَنۡفُسِ وَ الثَّمَرٰتِ ؕ وَ بَشِّرِ الصّٰبِرِیۡنَ ﴿۱۵۵﴾ۙ
“আমি অবশ্যই তোমাদেরকে একটু ভয়, ক্ষুধা, ধন-সম্পদ, প্রাণ ও ফল-ফসলের ক্ষতির মাধ্যমে পরীক্ষা করবো। আর ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।”
সূরা বাকারা, আয়াত ১৫৫
গাজায় মানুষ শুধু কষ্ট পাচ্ছে না, অনেকেই ধৈর্য, সাহস, ইমান দিয়ে দৃষ্টান্ত তৈরি করছে — এটাই এক ধরনের শহিদী মর্যাদা ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পথ।
সকল অন্যায়ের জবাব কিয়ামতের দিন হবে।
এই দুনিয়ায় সব ন্যায্য বিচার সবসময় হয় না — অনেক জালিম পার পেয়ে যায়, আর মজলুম কষ্ট পায়। কিন্তু:
“অবশ্যই আল্লাহ্ জালিমদের কোনো অবস্থাতেই ছেড়ে দেবেন না, তবে তিনি তাদেরকে এমন একটি দিন পর্যন্ত বিলম্ব দেন যাতে তাদের চোখ হতবাক হয়ে যাবে।”
(সূরা ইবরাহিম, আয়াত ৪২)
সুতরাং চূড়ান্ত বিচার হবে আখেরাতে। দুনিয়ার অন্যায় কোনোভাবেই “চিরস্থায়ী” নয়।
★মুসলমানরা কি আজ একতাবদ্ধ?
আমরা নিজেরাই কতটুকু ঐক্যবদ্ধ? আজ অনেক মুসলিম দেশ নির্যাতিত মুসলিমদের জন্য কিছুই করে না, বরং রাজনীতি আর স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত। অনেক সময় মুসলিমদের দুর্বলতা ও গাফেলতির কারণেও আল্লাহর সাহায্য আসে না।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
اِنَّ اللّٰہَ لَا یُغَیِّرُ مَا بِقَوۡمٍ حَتّٰی یُغَیِّرُوۡا مَا بِاَنۡفُسِہِمۡ ؕ
“আল্লাহ কোনো কওমের অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটায়।”
— সূরা রা’দ, আয়াত ১১
আল্লাহর দয়া ও সাহায্য সবসময় দৃশ্যমান হয় না।
অনেক সময় আমরা ভাবি আল্লাহ সাহায্য দেন মানেই যুদ্ধ থেমে যাবে। কিন্তু সাহায্য আসতে পারে অন্য ভাবেও।
★মুসলিম হিসেবে আমাদের দায়িত্ব:
দোয়া করা – গাজা, কাশ্মীর, সিরিয়া, চীনের মুসলিমদের জন্য।
সাহায্য পাঠানো – যতটুকু সম্ভব আর্থিক বা সামাজিক সহায়তা।
গনসচেতনতা তৈরি – মানুষকে জানানো, প্রতিবাদ করা।
নিজেকে সংশোধন – নামাজ, তাকওয়া, একতা ফিরিয়ে আনা।