বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
আদ্দুর্রুল মুখতার গ্রন্থে জামাত সম্পর্কিয় বিধি-বিধান সুবিস্তারে বর্ণিত রয়েছে, সেখান থেকে কিছু আলোচনা ভাবার্থ সহ উল্লেখ করছি---
(والجماعة سنة مؤكدة للرجال) قال الزاهدي: أرادوا بالتأكيد الوجوب إلا في جمعة وعيد فشرط. وفي التراويح سنة كفاية، وفي وتر رمضان مستحبة على قول. وفي وتر غيره وتطوع على سبيل التداعي مكروهة، وسنحققه. ويكره تكرار الجماعة بأذان وإقامة في مسجد محلة لا في مسجد طريق أو مسجد لا إمام له ولا مؤذن
জামাতে নামায পড়া পুরুষদের জন্য সুন্নতে মু'আকক্কাদাহ।মু'আক্কাদাহ দ্বারা ওয়াজিব উদ্দেশ্য।তবে জুম্মা এবং ঈদের নামাযে জামাত সুন্নত নয়,বরং এক্ষেত্রে জামাত হওয়া এই নামাযের জন্য শর্ত।তারাবিহর নামাযে জামাত সুন্নতে মু'আক্কাদাহ আলাল কেফায়া।রমজানে বিতিরের নামাযে জামাত মুস্তাহাব।রমজান ব্যতীত বিতিরের জামাত এবং হাকডাক করে অন্যান্য নফল নামাযের জামাত মাকরুহ।মহল্লার মসজিদে এক আজান এবং এক ঈকামতে দুই জামাত মাকরুহ।তবে রাস্তার পাশের মসজিদ বা এমন মসজিদ যেখানে ইমাম-মু'য়াজ্জিন নির্ধারিত নয়,সেখানে একাধিক জামাত মাকরুহ নয়।
(وأقلها اثنان) واحد مع الإمام ولو مميزا أو ملكا أو جنيا في مسجد أو غيره. وتصح إمامة الجني أشباه
জামাতের জন্য সর্বনিম্ন সংখ্যা হলো দুইজন।অর্থাৎ ইমামের সাথে আরো একজন,চায় সে নাবালক বোধসম্পন্ন হোক বা ফিরিস্তা হোক বা জিন্ন হোক।
মসজিদে হোক বা অন্য কোথাও হোক।উল্লেখ্য যে জিন্নের ইমামতি বিশুদ্ধ।
(وقيل واجبة وعليه العامة) أي عامة مشايخنا وبه جزم في التحفة وغيرها. قال في البحر: وهو الراجح عند أهل المذهب
ওয়াক্তিয়া নামায জামাতে পড়াকে কেউ কেউ ওয়াজিব বলে থাকেন।এবং এটাই বিশুদ্ধ।
(فتسن أو تجب) ثمرته تظهر في الإثم بتركها مرة
সুন্নতে মু'আক্কাদাহ বলেন আর ওয়াজিব বলেন,জামাত তরক করলে অবশ্যই গোনাহ হবে।
(على الرجال العقلاء البالغين الأحرار القادرين على الصلاة بالجماعة من غير حرج)
জ্ঞানসম্পন্ন, বালিগ, স্বাধীন, কোনো প্রকার কষ্ট ব্যতীত জামাতে শরীক হওয়ার উপর সামর্থ্যবান পুরুষের উপর জামাত ওয়াজিব।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া ওয়াজিব। শরীয়ত ঐ সমস্ত বিধান যা সম্মিলিত ভাবে ওয়াজিব। এগুলোকে জনসম্মুখে বা ঘরের বাহিরে পালন করাতে লোক দেখানো হবে না।
যার অন্তরে এ ভয় থাকবে যে, লোক দেখানো হচ্ছে কি না ? তার আ’মল লোক দেখানো মুক্ত থাকবে, ইনশাআল্লাহ।