আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
36 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।পারিবারিক চাপের কারণে আমি সহশিক্ষায় আছি।বর্তমানে কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পড়াশোনা করছি।পাশাপাশি IOM এর আলিম কোর্সে আছি।দাওরাহ করার ইচ্ছাও আছে।আল্লাহ তৌফিক দিন।
১.পুরুষ শিক্ষকের আন্ডারে কি আমি গবেষণা করতে পারব?আমার গবেষণা হবে মেডিসিন নিয়ে এছাড়া আরো অন্যান্য বিষয় থাকতে পারে ।নিয়ত থাকবে মুসলিম উম্মাহর উপকারের।আমার গ্রুপে আমার কয়েকজন মেয়ে ফ্রেন্ড থাকবে।ছেলেরাও থাকতে পারে ২/১ জন।পরিপূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করে,ইন্টার‍্যাক্ট কম করে কি আমি এই গবেষণার কাজে যুক্ত হতে পারব?জায়েজ হবে কি?

২.আমি প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়ছি।আমাকে যেহেতু অনেক টাকা খরচ করে পড়তে হচ্ছেই,তাই আমি সিরিয়াসলিই পড়তে চাচ্ছি।সব কিছুতেই ভালো রেজাল্ট করতে চাই।কিন্তু  প্রেজেন্টেশন কিভাবে দিব?কন্ঠের পর্দার ব্যাপার আছে।এখানে মার্ক্স আছে।স্বাভাবিক কন্ঠে প্রেজেন্টেশন দিতে পারব কি না জানাবেন দয়া করে।
৩.জেনারেল পড়াশোনা নিয়ে যেহেতু আমি বেশ সিরিয়াস,এতে কি আমার গুনাহ হবে?অনেকে বলে কোনমতে পড়ে যেতে।সিরিয়াসলি না পড়তে কারণ হিসেবে দেখায় সহশিক্ষা + তাগুতদের শিক্ষা ব্যবস্থা। আসলেই কি সিনসিয়ারলি না পড়া উচিত? আপনাদের মতামত জানাবেন দয়া করে।পড়ালেখায় ফাঁকিবাজি করতে আমার মন সায় দেয়না।
৪.যেহেতু প্রাইভেটে ১২/১৩ লাখ টাকা খরচ করে আমার বাবা মা আমাকে পড়াচ্ছেনই,তাই তারা আশা করে আমি চাকরি করব।আমিও আর দ্বিমত করি না।দ্বিমত করতে গেলেই ক্যাচাল লেগে যাবে।আমিও চাই চাকরি করতে যেহেতু অনেকগুলো টাকার ব্যাপার আছে।এই যে চাকরি করতে চাচ্ছি এতে কি আমার গুনাহ হবে?

৫.পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি চান্স পাইনি।তাই মাস্টার্স পিএইচডি বিদেশের কোনো ভালো ইউনিভার্সিটিতে করতে চাই যাতে আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারি।পাশাপাশি দ্বীনের দাওয়াত দিতে পারি।দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে আমি যে সমাজে বাস করি সেখানে দুনিয়ার ডিগ্রী দেখেই মানুষকে জাজ করা হয় এবং যে যত হাই প্রোফাইলড,সে তত ভ্যালু ক্রিয়েট করতে পারে।দ্বীনের দাওয়াতের ক্ষেত্রে আমি এই সুযোগটা নিতে চাচ্ছি পাশাপাশি পাবলিকে চান্স না পাওয়ার ক্ষতটা সারাতে চাচ্ছি।এরকম চিন্তা ভাবনা করাটা কি আমার জন্য জায়েজ?গুনাহ হবে এতে?

৬.হায়েজ অবস্থায় হেফাজতের আমল কি মুখস্থ করা যাবে না?আর কেউ যদি তিলাওয়াত করে আমাকে শোনায় তাহলে কি হায়েজ অবস্থায় তার কারেকশন(মাখরাজ,মাদ্দ) করে দেয়া যাবে না?

৭.দ্বীন দুনিয়া কিভাবে ব্যালান্স করে চলব?সবকিছু কিভাবে মেইনটেইন করে চলব এ বিষয়ে একটু নসীহাহ করবেন দয়া করে।

1 Answer

0 votes
by (691,530 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জেনারেল শিক্ষা অর্জন সম্পর্কে আমরা ইতি পূর্বে বলেছিলাম যে, 
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।
১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/434


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১-৫)
আপনি সিরিয়াসলি পড়াশোনা করে উম্মাহর খেদতমত করবেন।
(৬) হায়েজ অবস্থায় হেফাজতের আমলের সূরা মুখস্থ করা যাবে। কেউ যদি তিলাওয়াত করে আপনাকে শোনায় তাহলে হায়েজ অবস্থায় তার কারেকশন (মাখরাজ,মাদ্দ) করে দেয়া যাবে। 

(৭) দ্বীন দুনিয়া ব্যালান্স করে চলতে হবে। দুনিয়াবী কাজও করবেন এবং আল্লাহর ইবাদতও করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...