আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
21 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালা মুআলাইকুম।
আমি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এখন পোড়াশোনা শেষ হয়েছে কয়দিন আগে। বর্তমানে আমি ইসলাম মেনে চলার চেষ্টা করি, ৫ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদ এ পড়ার পাশাপাশি দৈনিক নফল জিকির, ইশরাক, চাশত, আওয়াবিন এবং ঘুমানোর আগে তাহাজ্জুদ ও পড়ার চেষ্টা করি।

আমি হেদায়েত পাবার আগে, ছাত্র থাকা অবস্থায় আমি কিছু মেয়েদের সাথে মিশতাম, পড়াশোনার খাতিরেই। এদের মধ্যে এক মেয়ের থেকে আমার কাছে বিয়ের প্রস্তাব আসে। আমি আমার বাড়ীতে জানাই। কিন্তু আমার বাড়ীতে তখন আমার বিয়ে দেয়ার মত অবস্থা না থাকায় আর আমার নিজের বড় ভাই থাকায় তাদের এই বিষয়টা নিয়ে সিরিয়াস হতে প্রায় ৬-৭ মাস লেগে যায়। এই সময়টা আমি প্রায় ১৫-২০ বারের মত তার সাথে নির্জনে দেখা করি এই ভেবে যে বিয়ের আগে তাকে চেনা দরকার (যা আমার ভুল ছিল)। এর মাঝেই সে এবং আমি একে অপরের প্রতি অনুভুতি তৈরি করে বসি। এরপর যখন আমার পরিবার তাকে দেখতে যায় তখন তাদের আর্থসামাজিক অবস্থা আমাদের সাথে না মেলায় পরিবার থেকে বিয়েটা ভেংগে যায়। এর মধ্যেই বা আগেই আমার মাঝেও অনুতাপ আসে, যে আমার তার সাথে দেখা করে উচিত না এবং আমি তাকে বলে দেই যে আমাদের বিয়ে হবে কিনা আল্লাহ ভালো জানেন, তার আগে এভাবে আর কথা বলব না।

কিন্তু বিয়ে ভেংগে যাওয়ার পর সে বিষয়টা মেনে নিতে পারে না। সে যেহেতু আমার ক্যাম্পাসেরই, সে নানাভাবে আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে।

আরেকটি কথা ইসলাম ও ঈমানের দিক থেকে সে আমার সমতুল্য না। আমি ধিরে ধিরে তওবা করে আল্লাহর রাস্তায় ফিরে আসার চেষ্টা করি। কিন্তু সে যদিও বেসিক ইসলাম ধারণ করে, নামাজ পড়ে, পর্দা করে নিকাব সহ কিন্তু আমাকে ভুলতে পারে না। তার বন্ধুরা আমাকে মাঝে মাঝে বলে যে সে এই ২ বছর পরেও ঘুমের মধ্যে আমার নাম বলে, মাঝে মাঝে নাকি একা হয়ে কাঁদে। কিছু বললে সে বলে যে সে আল্লাহর কাছে দুয়া করেছে, এবং এখনো আশা করে যে তার আমার সাথে বিয়ে হবে যদিও আমি তাকে পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি যে আমাদের বিয়ে সম্ভব না। কিন্তু সে আশা ছাড়ে না। এভাবে তার বাসায় আসা অনেক পাত্র সে ফিরিয়ে দিয়েছে। এমনো শুনেছি কখনোও কাদতে কাদতে সে অজ্ঞান এর মত হয়ে যায়।

আমি বিয়ে ভেংগে যাবার পর তার সাথে আর কথা বলি না ২ বছর থেকে,কিন্তু ক্যম্পাসে হাটা চলায় দেখা হয়ে যায় দূর থেকে। শুনেছি সে নাকি এটাকে আল্লাহর সাইন হিসেবে নেয়, কারণ সে দুআ করেছে।

এখন তার এই অবস্থা দেখে ইদানিং আমিও একটু সন্দিহান হয়ে পড়েছি যে আমার তাকে এমতাবস্থায় বিয়ে করে ফেলা উচিত কিনা। তার পরিবারের আর্থসামাজিক অবস্থা আমাদের থেকে বেশ নিচে এবং তাদের ইসলামিক অবস্থাও আমাদের পরিবার থেকে নিচে। তবে মেয়ে ইসলামের বেপারে আগ্রহী মনে হয়।

নাকি এখন যেমন আছি তেমনি ভালো, আমি আমার মত অন্য মেয়েকে বিয়ে করে নিব তাকে আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়ে?

বা আমার আর কি করনীয় থাকতে পারে?

1 Answer

0 votes
by (683,010 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ) 
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী
তুমি দ্বীনদারীকে অগ্রাধিকার দাও।{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২,সহীহ মুসলিম-১৪৬৬) বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/18

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বর্ণনা মুতাবিক যেহেতু মেয়েটি প্রাকটিসিং মুসলিমাহ। পর্দা করে, নামায পড়ে, তাহলে অন্যসব গুণের তুলনায় দ্বীনদারিতাকে প্রদান্য দেওয়া উচিত। আপনি আপনার পরিবারকে বুঝাবেন।পরিবারের কাছ থেকে সম্মতি আদায় করে উক্ত মেয়েকে বিয়ে করতে পারেন। এটাই উত্তম হবে বলে মনে হচ্ছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...