বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফাতাওয়ায়ে শামীতে বর্ণিত রয়েছে,
" ولو دعاه أحد أبويه في الفرض لا يجيبه ، إلا أن يستغيث به " انتهى .أي يطلب منه الغوث والإعانة . ويجب القطع لنحو إنجاء غريق أو حريق. ولو دعاه أحد أبويه في الفرض لا يجيبه إلا أن يستغيث به. وفي النفل إن علم أنه في الصلاة فدعاه لا يجيبه وإلا أجابه -
ডুবন্ত বা জলন্ত ব্যক্তিকে বাচানোর স্বার্থে নামায ভঙ্গ করা ওয়াজিব।ফরয নামাযে মাতাপিতার কেউ ডাকলে সে ডাকের জবাব প্রদান ওয়াজিব নয়। তবে যদি মাতাপিতা সাহায্যর আবেদন করে, তখন মাতাপিতার ডাকে জবাব দেয়া যাবে। আর নফল নামাযে যদি মাতাপিতা জানেন যে, সন্তান নামাযে আছে, তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত নামাযকে ভঙ্গ করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।আর মাতাপিতা সন্তানের নামায সম্পর্কে না জানলে তখন মাতাপিতার ডাকে জবাব দেয়া যাবে।(রদ্দুল মুহতার-২/২৫১)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাতাপিতা ফরয নামাযে ডাক দিলে, তখন জবাব দেয়া ওয়াজিব না। কিন্তু নফল নামাযে ডাক দিলে,যদি অনুমান করা যায় যে,মাতাপিতা অসন্তুষ্ট হবেন না, তাহলে জবাব না দেয়াই উত্তম। কিন্তু যদি অনুমান করা হয় যে,মাতাপিতা নারাজ হবেন,তাহলে এমতাবস্থায় জবাব দেয়াই উচিৎ। হ্যা অবশ্যই পরবর্তীতে উক্ত নামাযকে সম্পন্ন করা হবে।এক্ষেত্রে কোনো কাফফারা আসবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1855
বাহিরে বাসার সামনে মা বাবা ডাকলে (গুরুতর কারণ না হলে) উত্তর না দিলে কি গুনাহ হবে না। কেননা গায়রে মাহরামের সামনে কণ্ঠও সতরের অন্তর্ভুক্ত।