আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
25 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম। আমি একটি সরকারি মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী, মেডিকেলের হোস্টেলে থাকি,এক রুমে ৪জন,এর মধ্যে ২জন  আমার ব্যাচমেট আর একজন সিনিয়র যিনি এখন ইন্টার্নি করছেন,গত দেড় বছর থেকেই আমরা একসাথে বসবাস করছি, তো শুরু থেকেই সেই সিনিয়র আপু আমাদের ওপর অহেতুক সিনিয়রিটি দেখাতো,মানে সবসময় রুমে তটস্থ থাকা লাগতো,ন্যুনতম শব্দও করতে দিতো না যেমন শীতকালে বইয়ের পাতা উল্টানোর শব্দ হলেও উনার ডিস্টার্ব হতো,বিস্কিট এর প্যাকেট খোলার শব্দ হলেও বকা দিতো,উনি নিজে যখন ইচ্ছা রুমে মাছ কাটা,রান্না করা সবই করতো পরদিন আমাদের পরীক্ষা থাকলেও বিন্দুমাত্র ছাড় দিতো না,এছাড়াও নানারকম অমানবিক কাজকর্ম করতো স্পেশালি যখন উনার ফাইনাল পরীক্ষা ছিলো তখন।গত ছয় মাস থেকে উনার আর আমাদের রুমে লিগ্যালি সিট বরাদ্দ নেই,ওনার সিট এখন ইন্টার্নি চিকিৎসক দের জন্য আলাদা হোস্টেল আছে সেখানে,কিন্তু তাও উনি জোর করে আমাদের রুমেই থাকতেছেন। এটা আমার বাকি দুই রুমমেট কোনো ভাবেই সহ্য করতে পারতেছে না।  তো রুম ছাড়ার বিষয়ে সেই সিনিয়র এর সাথে কথা বলতে গেলেই উনি ক্ষেপে যান,আমার রুমমেটরা উনার মুখে মুখে তর্ক করা টাইপ কথা বলে,তর্ক বলতে ওরা যা বলে তা মিথ্যা না,আসলে একসময় এই কষ্টগুলা উনি আমাদেরকে আসলেই করিয়েছেন, ওরা আমাকেও এভাবে কথা বলতে বলে উনার সাথে, কিন্তু আমার সমস্যা হলো আমি মানুষের সাথে এভাবে মুখে মুখে কথা বলতে পারি না যদিও বা সেটা সত্যি কথাও হয়,এখন ওরা ভাবে যে আমি হয়তো সিনিয়র আপুর চোখে ভালো সাজার জন্য এমন করি, কিন্তু আসলে তা না, আমি চেষ্টা করলেও এমনটা আসে না। এমন অবস্থায় আমার করনীয় কি যাতে গুনাহ না হয়

1 Answer

0 votes
ago by (680,910 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কেউ কারো প্রতি জুলুম-অত্যাচার করলে বিচারকের কাছে বিচারপ্রার্থী হওয়া বা আল্লাহর কাছে বিচারপ্রার্থী হওয়াই উচিৎ।
অযথা কাউকে অভিশাপ দেয়া কখনো উচিত হবে না।

অবশ্য জুলুম-নির্যাতন চুড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেলে তার জুলুম-অত্যাচার বন্ধের জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ করা যাবে।এবং তার জুলুম নির্যাতন একদিন বন্ধ হবেই।
যেমন হাদিসে এসেছে...
হযরত আবু মুসা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেনঃ
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻣﻮﺳﻰ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻴﻤﻠﻲ ﻟﻠﻈﺎﻟﻢ ﺣﺘﻰ ﺇﺫﺍ ﺃﺧﺬﻩ ﻟﻢ ﻳﻔﻠﺘﻪ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা জালিমদেরকে অবকাশ দিয়ে থাকেন। অবশেষে যখন তাকে ধরবেন তখন সে আর রেহাই পাবে না।{সহীহ বুখারী-৪৪০৯}
তবে সর্বাবস্থায় অভিশাপ না দিয়ে ক্ষমা করাটাই নবীজী সাঃ এর শিক্ষা। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/27748

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে অবগত করবেন। ব্যক্তিগত কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা করে দিবেন। উনার হেদায়তের জন্য দু'আ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...