আসসালামু আলাইকুম। আমি একটি সরকারি মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী, মেডিকেলের হোস্টেলে থাকি,এক রুমে ৪জন,এর মধ্যে ২জন আমার ব্যাচমেট আর একজন সিনিয়র যিনি এখন ইন্টার্নি করছেন,গত দেড় বছর থেকেই আমরা একসাথে বসবাস করছি, তো শুরু থেকেই সেই সিনিয়র আপু আমাদের ওপর অহেতুক সিনিয়রিটি দেখাতো,মানে সবসময় রুমে তটস্থ থাকা লাগতো,ন্যুনতম শব্দও করতে দিতো না যেমন শীতকালে বইয়ের পাতা উল্টানোর শব্দ হলেও উনার ডিস্টার্ব হতো,বিস্কিট এর প্যাকেট খোলার শব্দ হলেও বকা দিতো,উনি নিজে যখন ইচ্ছা রুমে মাছ কাটা,রান্না করা সবই করতো পরদিন আমাদের পরীক্ষা থাকলেও বিন্দুমাত্র ছাড় দিতো না,এছাড়াও নানারকম অমানবিক কাজকর্ম করতো স্পেশালি যখন উনার ফাইনাল পরীক্ষা ছিলো তখন।গত ছয় মাস থেকে উনার আর আমাদের রুমে লিগ্যালি সিট বরাদ্দ নেই,ওনার সিট এখন ইন্টার্নি চিকিৎসক দের জন্য আলাদা হোস্টেল আছে সেখানে,কিন্তু তাও উনি জোর করে আমাদের রুমেই থাকতেছেন। এটা আমার বাকি দুই রুমমেট কোনো ভাবেই সহ্য করতে পারতেছে না। তো রুম ছাড়ার বিষয়ে সেই সিনিয়র এর সাথে কথা বলতে গেলেই উনি ক্ষেপে যান,আমার রুমমেটরা উনার মুখে মুখে তর্ক করা টাইপ কথা বলে,তর্ক বলতে ওরা যা বলে তা মিথ্যা না,আসলে একসময় এই কষ্টগুলা উনি আমাদেরকে আসলেই করিয়েছেন, ওরা আমাকেও এভাবে কথা বলতে বলে উনার সাথে, কিন্তু আমার সমস্যা হলো আমি মানুষের সাথে এভাবে মুখে মুখে কথা বলতে পারি না যদিও বা সেটা সত্যি কথাও হয়,এখন ওরা ভাবে যে আমি হয়তো সিনিয়র আপুর চোখে ভালো সাজার জন্য এমন করি, কিন্তু আসলে তা না, আমি চেষ্টা করলেও এমনটা আসে না। এমন অবস্থায় আমার করনীয় কি যাতে গুনাহ না হয়