ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/40118/
নং ফাতাওয়ায় টাইম ভ্যালু অব মানি সম্পর্কে আলোচনা করতে যেয়ে আমরা বলেছিলাম
যে,
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত
عن ﺃَﺑِﻲ
ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻛَﺎﻥَ ﻟِﺮَﺟُﻞٍ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺳِﻦٌّ ﻣِﻦْ ﺍﻹِﺑِﻞِ ﻓَﺠَﺎﺀَﻩُ ﻳَﺘَﻘَﺎﺿَﺎﻩُ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺻَﻠَّﻰ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ﺃَﻋْﻄُﻮﻩُ ، ﻓَﻄَﻠَﺒُﻮﺍ ﺳِﻨَّﻪُ ﻓَﻠَﻢْ ﻳَﺠِﺪُﻭﺍ ﻟَﻪُ
ﺇِﻻ ﺳِﻨًّﺎ ﻓَﻮْﻗَﻬَﺎ ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : ( ﺃَﻋْﻄُﻮﻩُ ، ﺇِﻥَّ ﺧِﻴَﺎﺭَﻛُﻢْ ﺃَﺣْﺴَﻨُﻜُﻢْ ﻗَﻀَﺎﺀً
)
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছে জনৈক ব্যক্তির একটি বাচ্ছা বয়সী উট
পাওনা ছিলো, অতঃপর যখন সে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সা. এর কাছে
এসে তা চাইলো। তখন রাসূলুল্লাহ সা. উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের প্রতি লক্ষ্য করে বললেন,
উনার পাওনা উনাকে বুঝিয়ে দাও। সাহাবায়ে কেরাম (সদকার মালের মধ্যে খুজে) উক্ত ব্যক্তির
পাওনা কমবয়সী উট পেলেন না। বরং তার থেকে একটু বেশী বয়সী উট পেলেন। তখন রাসূলুল্লাহ
সা. বললেন, তোমরা তা তাকে দিয়ে দাও, কেননা তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই
সর্বোত্তম, যে ঋণ পরিশোধের সময় উদারতা প্রদর্শন করে। তথা অতিরিক্ত
দিয়ে দেয়। (সহীহ বুখারী-২৩৯৩,সহীহ মুসলিম-১৬০০)
,
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
,
কাউকে বিনা সুদে ঋণ দেওয়া পর, যদি ঐ ঋণ
গ্রহণকারী ব্যক্তি যদি নিজ পক্ষ থেকে সন্তুষ্টির সাথে কিছু অতিরিক্ত দিয়ে দেয়,
তাহলে তা জায়েয হবে। তবে নিজের অন্তরে মুনাফার লোভ রাখা যাবে না।
সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু মনের মধ্যে অতিরিক্ত
কিছু পাওয়ার আশা বা চুক্তি ছিলো না। বরং ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তি নিজ পক্ষ থেকে সন্তুষ্টির
সাথে ঐটা দিয়েছেন তাই এটা খাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।