মহিলাদের চুল লম্বা হতে হবে।
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর যুগে নারীদের চুল লম্বা ছিলো।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانٍ قَالَ حَدَّثَتْنَا حَفْصَةُ عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ قَالَتْ تُوُفِّيَتْ إِحْدَى بَنَاتِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَتَانَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ اغْسِلْنَهَا بِالسِّدْرِ وِتْرًا ثَلاَثًا أَوْ خَمْسًا أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ إِنْ رَأَيْتُنَّ ذَلِكَ وَاجْعَلْنَ فِي الآخِرَةِ كَافُورًا أَوْ شَيْئًا مِنْ كَافُورٍ فَإِذَا فَرَغْتُنَّ فَآذِنَّنِي فَلَمَّا فَرَغْنَا آذَنَّاهُ فَأَلْقَى إِلَيْنَا حِقْوَهُ فَضَفَرْنَا شَعَرَهَا ثَلاَثَةَ قُرُونٍ وَأَلْقَيْنَاهَا خَلْفَهَا
উম্মু আতিয়্যাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যাগণের একজনের ইন্তিকাল হলে তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট এসে বললেনঃ তোমরা তাকে বরই পাতার পানি দিয়ে বিজোড় সংখ্যক তিনবার, পাঁচবার অথবা প্রয়োজনবোধ করলে আরও অধিকবার গোসল দাও। শেষবারে কর্পুর অথবা তিনি বলেছিলেন কিছু কর্পুর ব্যবহার করবে। তোমরা গোসল শেষ করে আমাকে জানাবে। আমরা শেষ করে তাঁকে জানালাম। তখন তিনি তাঁর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাদর আমাদের দিকে এগিয়ে দিলেন, আমরা তাঁর মাথার চুলগুলো তিনটি বেনী করে পিছনের দিকে ছেড়ে দিলাম। (বুখারী ১২৬৩.১৬৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৮৯)
★শরীয়তের বিধান হলোঃ নারীদের জন্য বৈধ ওজর ছাড়া চুল কাটা এবং পুরুষদের অনুকরণ করা জায়েজ নয়। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এই ধরণের মহিলাদের উপর অভিশাপ দিয়েছেন। মিশকাত শরীফে বর্ণিত আছে: "হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন: আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন: আল্লাহর অভিশাপ সেই পুরুষদের উপর যারা নারীদের অনুকরণ করে এবং সেই নারীদের উপর যারা পুরুষদের অনুকরণ করে।"
তবে, যদি কোন শরয়ী ওযর থাকে, উদাহরণস্বরূপ: চিকিৎসার জন্য চুল কাটার প্রয়োজন হয় অথবা যদি চুল এত লম্বা হয়ে যায় যে নিতম্বের নীচে পৌঁছায় এবং ত্রুটিপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে কেবলমাত্র অতিরিক্ত চুল কাটা জায়েজ হবে। এর ফলে নারীদের জন্য পুরুষদের অনুকরণ বা ফ্যাশনের জন্য চুল কাটা জায়েজ নয়, এমনকি এই বিষয়ে তাদের স্বামীদের আনুগত্য করাও জায়েজ নয়।
(আল বাহরুর রায়েক ৮/২৩৩, ফাতওয়ায়ে রহিমিয়াহ ১০/১২০ দারুল ইশাআত)
দারুল উলুম দেওবন্দ এর ফতোয়াঃ-
মহিলাদের চুল কাটার ব্যাখ্যা নিম্নরূপ:
মাথায় ক্ষত থাকলে, ক্ষত এবং তার চারপাশের চুল প্রয়োজন অনুযায়ী কাটা যেতে পারে। একইভাবে, যদি মাথার চুল খুব লম্বা হয়ে যায় এবং মহিলা বৃদ্ধ এবং দুর্বল হয়ে পড়েন, যার ফলে ওযু করার সময় চুল মুড়িয়ে রাখা এবং সামলানো তার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে, তাহলে তিনি নিতম্বের কাছে কিছু চুল কেটে ফেলতে পারেন। এছাড়াও, যদি চুলের প্রান্ত দ্বিখণ্ডিত হয়, যার ফলে চুলের বৃদ্ধি বন্ধ হয় এবং দেখতে অসুন্দর লাগে, তাহলে চুলের প্রান্ত কেটে ফেলা যেতে পারে। এগুলো ছাড়া, অন্যান্য সাধারণ পরিস্থিতিতে, নারীর জন্য চুল কামানো বা ছোট করা জায়েয নেই।
,
সুতরাং জটিল অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে চুল ছোট করা, এমনকি জরুরতবশতঃ কামানোরও (সম্পূর্ণ টাক হওয়ার) অনুমতি রয়েছে।
,
তবে সর্বাবস্থায় ফ্যাশনের অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে মহিলারা তাদের চুল কাটতে পারবে
এবং নয় বৎসর বয়স থেকে চুল রাখা জরুরী,কেননা নয় বছর বয়স থেকেই মহিলার মধ্যে পুরুষ আকৃষ্টকারী অবয়ব সৃষ্টি হয়ে যায়,এবং তখন থেকেই পর্দা জরুরী হয়ে যায়।
বিস্তারিত জানুনঃ-
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার তো এমন কোনো জটিল রোগ হয়নি,যার কারনে ডাক্তার আপনাকে চুল কাটতে বলেছে।
হ্যাঁ যদি চুল এত লম্বা হয়ে যায় যে নিতম্বের নীচে পৌঁছায় এবং ত্রুটিপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে কেবলমাত্র অতিরিক্ত চুল কাটা জায়েজ হবে।