আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
15 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (67 points)
১. স্বামীর জন্য সামনে দিয়ে চুল কাটা যাবে,এবং তা খুবই সামান্য,কোনো বিজাতীয় নারীর সাদৃশ্য অবলম্বনের জন্য নয়,সামনে অতটুকু কাটলে ভালো দেখায়,তাই,

২. তারাবীহের সালাতে সূরা ওয়াকেয়াহ দিয়ে পরি,যেখানে প্রতি রাকাতে ৩ আয়াত করে পরি,মোট ৬০ আয়াত দিয়ে ২০ রাকাত তারাবীহ পরি।আমার নামাজ কি সহীহ হবে?

৩. বুকের শেপ অতিমাত্রায় বড় বা ছোট হলে তাতে অস্বস্তি এবং কষ্টদায়ক হলে তা যদি লেজার করে ছোট বা বড় করলে কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
ago by (650,460 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/118257 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
মহিলাদের চুল লম্বা হতে হবে।
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর যুগে নারীদের চুল লম্বা ছিলো।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانٍ قَالَ حَدَّثَتْنَا حَفْصَةُ عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ قَالَتْ تُوُفِّيَتْ إِحْدَى بَنَاتِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَتَانَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ اغْسِلْنَهَا بِالسِّدْرِ وِتْرًا ثَلاَثًا أَوْ خَمْسًا أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ إِنْ رَأَيْتُنَّ ذَلِكَ وَاجْعَلْنَ فِي الآخِرَةِ كَافُورًا أَوْ شَيْئًا مِنْ كَافُورٍ فَإِذَا فَرَغْتُنَّ فَآذِنَّنِي فَلَمَّا فَرَغْنَا آذَنَّاهُ فَأَلْقَى إِلَيْنَا حِقْوَهُ فَضَفَرْنَا شَعَرَهَا ثَلاَثَةَ قُرُونٍ وَأَلْقَيْنَاهَا خَلْفَهَا

উম্মু আতিয়্যাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যাগণের একজনের ইন্তিকাল হলে তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট এসে বললেনঃ তোমরা তাকে বরই পাতার পানি দিয়ে বিজোড় সংখ্যক তিনবার, পাঁচবার অথবা প্রয়োজনবোধ করলে আরও অধিকবার গোসল দাও। শেষবারে কর্পুর অথবা তিনি বলেছিলেন কিছু কর্পুর ব্যবহার করবে। তোমরা গোসল শেষ করে আমাকে জানাবে। আমরা শেষ করে তাঁকে জানালাম। তখন তিনি তাঁর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাদর আমাদের দিকে এগিয়ে দিলেন, আমরা তাঁর মাথার চুলগুলো তিনটি বেনী করে পিছনের দিকে ছেড়ে দিলাম। (বুখারী ১২৬৩.১৬৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৮৯)

★শরীয়তের বিধান হলোঃ নারীদের জন্য বৈধ ওজর ছাড়া চুল কাটা এবং পুরুষদের অনুকরণ করা জায়েজ নয়। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এই ধরণের মহিলাদের উপর অভিশাপ দিয়েছেন। মিশকাত শরীফে বর্ণিত আছে: "হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন: আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন: আল্লাহর অভিশাপ সেই পুরুষদের উপর যারা নারীদের অনুকরণ করে এবং সেই নারীদের উপর যারা পুরুষদের অনুকরণ করে।"

তবে, যদি কোন শরয়ী ওযর থাকে, উদাহরণস্বরূপ: চিকিৎসার জন্য চুল কাটার প্রয়োজন হয় অথবা যদি চুল এত লম্বা হয়ে যায় যে নিতম্বের নীচে পৌঁছায় এবং ত্রুটিপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে কেবলমাত্র অতিরিক্ত চুল কাটা জায়েজ হবে। এর ফলে নারীদের জন্য পুরুষদের অনুকরণ বা ফ্যাশনের জন্য চুল কাটা জায়েজ নয়, এমনকি এই বিষয়ে তাদের স্বামীদের আনুগত্য করাও জায়েজ নয়।
(আল বাহরুর রায়েক ৮/২৩৩, ফাতওয়ায়ে রহিমিয়াহ ১০/১২০ দারুল ইশাআত)

দারুল উলুম দেওবন্দ এর ফতোয়াঃ-
মহিলাদের চুল কাটার ব্যাখ্যা নিম্নরূপ:

মাথায় ক্ষত থাকলে, ক্ষত এবং তার চারপাশের চুল প্রয়োজন অনুযায়ী কাটা যেতে পারে। একইভাবে, যদি মাথার চুল খুব লম্বা হয়ে যায় এবং মহিলা বৃদ্ধ এবং দুর্বল হয়ে পড়েন, যার ফলে ওযু করার সময় চুল মুড়িয়ে রাখা এবং সামলানো তার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে, তাহলে তিনি নিতম্বের কাছে কিছু চুল কেটে ফেলতে পারেন। এছাড়াও, যদি চুলের প্রান্ত দ্বিখণ্ডিত হয়, যার ফলে চুলের বৃদ্ধি বন্ধ হয় এবং দেখতে অসুন্দর লাগে, তাহলে চুলের প্রান্ত কেটে ফেলা যেতে পারে। এগুলো ছাড়া, অন্যান্য সাধারণ পরিস্থিতিতে, নারীর জন্য চুল কামানো বা ছোট করা জায়েয নেই।
,
সুতরাং জটিল অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে চুল ছোট করা, এমনকি জরুরতবশতঃ কামানোরও (সম্পূর্ণ টাক হওয়ার) অনুমতি রয়েছে। 
,
তবে সর্বাবস্থায় ফ্যাশনের অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে মহিলারা তাদের চুল কাটতে পারবে

এবং নয় বৎসর বয়স থেকে চুল রাখা জরুরী,কেননা নয় বছর বয়স থেকেই মহিলার মধ্যে পুরুষ আকৃষ্টকারী অবয়ব সৃষ্টি হয়ে যায়,এবং তখন থেকেই পর্দা জরুরী হয়ে যায়।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার তো এমন কোনো জটিল রোগ হয়নি,যার কারনে ডাক্তার আপনাকে চুল কাটতে বলেছে।

সুতরাং স্বামীর জন্য হলেও চুল কাটা জায়েজ হবেনা।

হ্যাঁ যদি চুল এত লম্বা হয়ে যায় যে নিতম্বের নীচে পৌঁছায় এবং ত্রুটিপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে কেবলমাত্র অতিরিক্ত চুল কাটা জায়েজ হবে।

(০২)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার নামাজ সহীহ হবে।

(০৩)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি বুকের শেপ অতিমাত্রায় বড় বা ছোট হওয়ার দরুন হাঁটা-চলা বা ব্যাকপেইন ইত্যাদি সমস্যায় পড়ে,
দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হয়,
মানসিক কষ্ট ও হতাশা তৈরি হয়,
অথবা কোনো জন্মগত বা বাল্যকালীন বিকাশজনিত সমস্যা থাকে,

তাহলে ওযর বশত সেক্ষেত্রে বিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক শরীরের জন্য ক্ষতিকর না হলে লেজার করে ছোট বা বড় করলে গুনাহ হবেনা।

তবে শুধুমাত্র "আরও সুন্দর বা আকর্ষণীয়" দেখানোর জন্য যদি অপারেশন বা লেজার করা হয়,তাহলে তাহা হারাম হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

ago by (67 points)
https://ifatwa.info/53788/ 
হুজুর এই ফতোয়ায় তো এরকমটা বলা নেই।এই ফতোয়া দেখে গত দুবছর আমি চুল কেটেছি।কিন্তু ছেলেদের বাবরি মত না পিঠ পর্যন্ত। আর এখন অন্য ফতোয়া শুনছি কোনটা মানব?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...