আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
4,067 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (22 points)
ক্যাফেইনকে CNS বিবর্ধক হিসেবে সনাক্ত করা হয়েছে।[১১] বলা যায় """এটি পৃথিবীর বুকে সব থেকে বেশি ব্যবহৃত psychoactive ড্রাগ বা মাদক।"" কিন্তু অন্যান্য মাদকের মত এটি অবৈধ নয়। সারা বিশ্বেই এটি পানীয় হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এক কাপ কফিতে (সাত আউন্স) আনুমানিক ৮০-১৭৫ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে।[১২]।ক্যাফেইনও একটি উদ্দীপক এলকালয়েড যা চা ও কফির উদ্দীপক উপাদান। ক্লান্তি ও ঝিমুনিতে চা বা কফি পান (ক্যাফেইন পান) শরীরকে চাঙ্গা করে তোলে। ক্যাফেইন পাকস্থলী হতে রক্তে প্যারাসিটামলের শোষণ বাড়ায়। তাই ক্যাফেইন যুক্ত প্যারাসিটামল শুধু প্যারাসিটামলের চেয়ে দ্রুত কাজ করে।[১৩]ক্যাফেইন অল্পতেই বিরক্ত হওয়া, মাথা ঘোরা, দুশ্চিন্তা বাড়া, পানিশূন্যতা, মাথা ব্যথা, প্যালপিটিশন বা পেট ব্যথারও কারণ হতে পারে। তাই এসবের প্রভাব কমাতে কফির সাথে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হয়।[১৪]

 জনাব উপরোক্ত তথ্যের  ভিত্তিতেCaffeine কি হারাম।  যেহেতু বলা হয়েছে যে এটি পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মাদক। আর সবচেয়ে বড় সমস্যা হল এটি প্রায় অধিকাংশ খাদ্যে   ভিতরে  ব্যবহৃত হয়। যেমন চা-কফি যাবতীয় কোলড্রিংস যা আছে। জনাব আমরা তো মুসলমান পৃথিবীতে কোনটা বৈধ কোনটা অবৈধ  সেটা আমাদের জানার প্রয়োজন নেই। আমাদের জানার প্রয়োজন হল শরীয়তে এটাকে কি বলে এটা কি হারাম না হালাল?? অনেক ঝামেলায় আছি অনেক অধিকাংশ খাবারে এইটা ব্যবহৃত।
by
Caffeine is halal or haram, i want Right answer. 

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মাদকদ্রব্য সম্পর্কে কিছু মূলনীতি মূলক আলোচনা সর্বাগ্রে মনে রাখা আমাদের অত্যান্ত প্রয়োজন।
যা হানাফি গ্রন্থের গ্রহণযোগ্য কিতাবাদি থেকে চয়ন করা হয়েছে।

প্রথমেই ফাতাওয়ায়ে শামীর ইবারত আমরা লক্ষ্য করি..........
তথায় লিখিত রয়েছে...
পানীয় র মধ্য থেকে চার প্রকারের পানীয় হারাম।
যথা-
(১)মদ (الخمر)
আঙ্গুরের কাঁচা রস উথলানোর পর যখন তা গাড়/শক্ত হয়ে উঠে (এমন পর্যায়ে পৌছে যাতে নেশা চলে আসে)।এবং যখন তাতে ফেনা সৃষ্টি হয়।একেই খামর বলে। যার কমবেশি সর্বসম্মতিক্রমে হারাম।

(২)তি'লা (ﺍﻟﻄﻼﺀ)
আঙ্গুরের কাঁচা রস পাকানোর পর যদি দুই তৃতীয়াংশের কম বা দুই তৃতীয়াংশ শুকিয়ে যায়।
এটাও নেশাপ্রবণ। তাই মদের মত এটাও হারাম।এবং এর উপরই ফাতাওয়া।

(৩)নাকীউত তামার (نقيع التمر)
পাকা শুকনা খেজুরের শরাব যা পানিতে ভিজিয়ে করা হয়।

(৪)নাকীউয যাবীব(نقيع الزبيب)
শুকনা কিসমিস কয়েকদিন পর্যন্ত পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর যখন তাতে ভাপ সৃষ্টি হয়,তখন একে নাকীউয যাবীব বলা হয়।


প্রথম প্রকার বিধান তো পূর্বেই বর্ণিত হয়েছে।তথা হারাম।এখন বাকী তিন প্রকারেরর হুকুম হল,যদি তা উথলানোর পর যখন তা গাড় বা শক্ত হয়ে উঠে,তাহলে এগুলাও হারাম।নতুবা হারাম হবে না।আর যদি তাতে ফেনা চলে আসে তবে তা ঐক্যমতে হারাম হবে।উক্ত বিষয়ে সাহাবাইন রাহ এর মতামতের উপর-ই ফাতাওয়া।(তথা ফেনা উঠা শর্ত নয়)(ফাতাওয়ায়ে শা'মী;২/২৫৯)

হেদায়া গ্রন্থের সর্বজনখ্যাত ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফাতহুল কাদীরে বর্ণিত রয়েছে......
যে সমস্ত এলকোহল খেজুর বা আঙ্গুর দ্বারা বানানো হয়নি, তেমন বস্তু নেশা না আসা পর্যন্ত ব্যবহার জায়েজ ইমাম আবু হানীফা রহঃ এবং ইমাম আবু ইউসুফ রহঃ এর মতানুসারে। 
{ফাতহুল কাদীর-৮/১৬০)আরো বর্ণিত রয়েছে- ফাতওয়ায়ে আলমগীরী-৫/৪১২, আল বাহরুর রায়েক-৮/২১৭-২১৮, ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-২৭/২১৯} বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/165

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু ক্যাফেইন মানুষকে নেশাগ্রস্ত করছে না, তাই ফিকহের মূলনীতির আলোকে ক্যাফেইনকে হারাম বলা যাচ্ছে না। তবে হ্যা এ পরিমাণ ক্যাফেইন  পান করা যা মানুষকে নেশাগ্রস্ত করে, সেটা জাযেয হবে না। বা ক্যাফেইন যদি মানুষের শারিরিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়, তাহলে তখন ক্যাফেইন জায়েয হবে না। সুতরাং নেশাগ্রস্ত না করলে, এবং শারিরিক কোনো ক্ষতি না করলে ক্যাফেইন ব্যবহার করার অনুমোদন রয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
+1
হযরত; একটা কথা শুনছিলাম যে সব দ্রব্য বেশি খেলে নেশা হয় সে সব জিনিস কম খাওয়াও হারাম। বিষয় টা ক্লিয়ার করলে ভালো হয়। 
by
আমরা জানি যে ফিকার কেতাবে পড়েছি যে মাদক কলীল কাছির উভয় অবস্থাতেই হারাম
by (597,330 points)
+1
জ্বী, এটা খালিছ মদ যা খেজুর বা আঙ্গুর থেকে তৈরী। সেটার কম বেশী সবই হারাম। 
by
তবে আমার মনে হয় ক্যাফেইন জাতীয় পণ্য না খাওয়াটাই উচিৎ। 
by (597,330 points)
জ্বী, এটা অবশ্যই ঠিক। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...