আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
225 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (47 points)
edited by
১.যেই বিয়ের প্রোগ্রামে যারা পর্দা করে তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে কিন্তু আবার ওই বিয়েতেই অন্য স্থানে ছেলে মেয়েদের কোন আলাদা জায়গা রাখা হয়নি।তাহলে কি এইরকম বিয়েতে যাওয়া যাবে?

২.কুরআন সাতটি আঞ্চলিক ভাষায় নাযিল হয়েছে।এই সাতটি কেরাতও কি আল্লাহর সিফাতের অন্তর্ভুক্ত?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
সাধারণ অবস্থায় ওলিমার দাওয়াত গ্রহণ করা সুন্নত। হযরত আবদুল্লাহ বিন উমর রা. থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমাদের কেউ নিজের ভাইকে দাওয়াত দিলে সে যেন তা কবুল করে। ওলিমার দাওয়াত হোক বা অন্য কোনো দাওয়াত। -সহীহ মুসলিম,হাদীস ১৪২৯
,
তবে আজকাল অধিকাংশ বিয়ের অনুষ্ঠানগুলোতে  গান-বাজনা, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা ও বেপর্দা ব্যাপক। তাই এ ধরনের দাওয়াতে অংশগ্রহণ না করাই কর্তব্য।
,
তবে দাওয়াতকারী যদি এমন নিকটাত্মীয় হয় যে, তার দাওয়াতে অংশগ্রহণ না করলে সে অধিক মনক্ষুন্ন হবে বা আত্মীয়তা সম্পর্ক নষ্ট হবে সেক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারীর জন্য যদি গুনাহের কাজ থেকে প্রতিবাদ করা সম্ভব হয় তাহলে প্রতিবাদের উদ্দেশ্যে তাতে অংশগ্রহণ করা যাবে। কিন্তু প্রতিবাদ করা সম্ভব না হলে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে। এক্ষেত্রে নিজ থেকে আত্মীয়তা সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করবে। 

(হেদায়া, ফাতহুল কাদীর ৮/৪৪৮; রদ্দুল মুহতার ৬/৩৪৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৭৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪৩)

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত বিবাহে যেহেতু যারা পর্দা করে তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, তাই শরীয়তের খেলাফ কোনো কর্মকান্ড না হলে সেই বিবাহে যাওয়া যাবে।
সমস্যা নেই। 
,
(০২)
ইবনে আব্বাস(রা.) হতে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ(সা.) বলেন, “জিব্রাইল[আ.] আমার কাছে এক হরফে কুরআন তিলাওয়াত করলেন, আর আমি তাকে ভিন্ন ভিন্ন হরফে তিলাওয়াত করতে বলতে লাগলাম যতক্ষণ না, তিনি সাতটি ভিন্ন হরফে  তিলাওয়াত করলেন।” [সূত্র: সহিহ বুখারি, আরবী: ৩২১৯, ইংরেজি অনুবাদ: ৪।৫৪।৪৪২, সুন্নাহ.কম: ৫৯।৩০]

সাত হরফ বলতে কুরআন তিলাওয়াতের সাতটি ভিন্ন উপায় বা ধরণকে যে বুঝায়। এই সাত হরফে বিধানের(অনুমোদন/নিষেধাজ্ঞা) কোন পরিবর্তন হয় না।

ইবনে শিহাব(রহ.) বলেন: আমার কাছে এই কথা পৌঁছেছে যে, এই সাতটি প্রকার অপরিহার্যভাবে একই, অনুমোদন বা নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কোন ভিন্নতা নেই। [সূত্র: সহিহ বুখারি, আরবী: ৭।১৯৩৮, ইংরেজি অনুবাদ: ৪।১৭৮৫, সুন্নাহ.কম: ২১৭৮৫০]

★সুতরাং এই সাত কিরাআত যেহেতু  
অপরিহার্যভাবে একই, তাই সাত কেরাতকেই আল্লাহর সিফাতের অন্তর্ভুক্ত বলা যাবে। 
,
বিস্তারিত জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...