হুজুর, আপনার উত্তর পড়ে শুকরিয়া জানাচ্ছি। তবে একটা দ্বিধা এখনো থেকেই যাচ্ছে।
আপনি বলেছেন—তার পরিবর্তনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, তাই তাকে আরেকটু সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে,
এই সামান্য পরিবর্তন কতটা স্থায়ী হবে তার তো কোনো নিশ্চয়তা নেই। সে অতীতে বহুবার এমন ভঙ্গুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু পরে আবার ভেঙে পড়েছে।
বর্তমানে সে নিজে ভরণপোষণ না করলেও তার পরিবার সেটা করছে। কিন্তু এটা কি আসলে স্বামীর দায়িত্ব পালনের বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হবে?
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—তার প্রতি আমার মনে আর কোনো ভালোবাসা বা আবেগ অবশিষ্ট নেই। সে ফেরেশতা হয়ে গেলেও, আমি যে মানসিক ক্ষত আর অবহেলার ভিতর দিয়ে গিয়েছি, সেটা কি ভুলে গিয়ে আবার এই সম্পর্কে ফিরে যেতে পারবো?
যদি আমি এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখি কেবল দায় থেকে বা শিশুকে বাবার পরিচয়ে রাখার জন্য, কিন্তু নিজে প্রতিনিয়ত বিষণ্নতা আর অভ্যন্তরীণ মৃত্যুর মতো যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকি—তাহলে কি সেটা শরিয়তসম্মত হবে?
আমি দ্বীন মোতাবেক জানতে চাই,
মানসিক শান্তি, ভালোবাসাহীনতা, আস্থা সংকট এবং আত্মিক যন্ত্রণার মতো বিষয়ের ভিত্তিতে কি এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা জায়েয হবে?