আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
12 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (59 points)
*এ বিষয়ে আবার  প্রশ্ন করার জন্য দুঃখিত মাফ করবেন কারন হলো সকল বিষয় একসাথে মনে আসে না প্রেক্ষাপটের কারনে ফতোয়া ভিন্ন হতে পারে। এ কারনে আবার প্রশ্ন করা আর আমাদের আশে পাশে দারুল ইফতা নাই

১।এ বিষয় টা একবছরের মত হবে এর আগেই  শশুর শাশুড়ীর সাথে সর্ম্পক একটু স্বাভাবিক হয়ে গেছে  তারা আমাদের বাড়িতে আসে আমরাও তাদের বাড়িতে যাই শুধু সালারা আসেনা আর সালার বউ । সালার শাশুড়ী বলছে যে আপনাদের মেয়েকে যখন খাওয়াবেন জামাই আসলে তো আপ্যয়ন করবেন তখন আমার মেয়ে থাকবেনা সে আমাদের বাড়িতে থাকবে এরকমই বলছে মনে হয় মনে নাই আমি গেলেতো সে থাকবেনা। এখন ঐদিন বাড়িতে ছিলো শশুর শাশুড়ী, সালার বউ, আমার বউ আর তার বোনের ছেলে।আমি বাচার জন্য পালিয়ে যাই মনে করছিলাম মারবে বা পুলিশে দিবে একারনে  আমার বাবাকে বিষয় টা জানানো হয় কিনা সিওর না বাবা আমার ফোন ধরিনা পরে বন্ধ করে ফেলি দেখে আমার শশুর বাড়িতে গিয়ে ঝামেলা করে পরে আমার বোন থেকে জানতে পারি যে না পালালে ভালো হতো ঘরোয়া ভাবে সমাধান হতো পালানোর কারনে অনেকেই জানছে। তারপর মনে হয়  আমার বউ  ঔদিনে আসছে শাশুড়ী না করছেন তারপরও সে  আসছে। সবাইকে বলি যে আমার একটা রোগ আছে সেটার ঔষধ খেলে ঘুম হয়না একটা ঘুমের ঔষধ  খাই ঘুম হয়না আরেকটা খাই ঘুম হয়না এভাবে তিনটা খাই আমার নেশা হয় একারনে এটা আংশিক সত্যি কারন নেশা ঠিকই হইছে কারন না হইলে আমার এত সাহস নাই যে এধরণের কাজ করমু । ঘুমের ঔষধ খাওয়াইছি মোজোর সাথে মিক্স করে, তারপর মেয়েদের সেক্সের ঔষধ খাওয়াইছি, মোবাইল ফোনের যাবতীয় বিষয় গুলো হ্যাক করছি তারা জানেনা আরও অনেক কিছু গোপন আছে তারা জানেনা  জানলে হয়তোবা বলতো শুধু আমার বউ বলছে যে কি খাওয়াইসো ঘুম থেকে উঠতে পারিনি পরে আমি বলছি যে না কিছু খাওয়াই নি এমনিতেই তোমার ঘুম বেসি হইছে  সে বেশি কিছু বলে নাই । সালার বউয়ের প্রতি খারাপ নজর ছিলো তার রুমে যাওয়ার  কারন সালা বিদেশে থাকে সে খারাপ ভিডিও দেখছে সেটা জানতে পারি। রুমে যাওয়ার কারনে সালার বউয়ের কাছে মাফ চাই বলি যে নেশার কারনে একাজ করছি।তার  ঔদিন রাতও তার পা দরছি সে যেনো না চিল্লায়। তার শরীরের গন্ধ সুখছি সে বলছে যে জোরে জোরে নিশ্বাস ফেলছে  আর কিছু করেনি সে বলছে চলে যান আমি চলে আসছি।আরও কিছু তাদের কাছে গোপন আছে কিনা জানিনা এবং   মনে নাই আর দৃশ্য মান আছে কিনা জানিনা মনে  নাই ।তারপর অনেকদিন খারাপ পথে চলাফেরা করি সালার বউয়ের মোবাইল ফোন যেহেতু হ্যাক ছিলো তার উরনা ছাড়া কিছু ছবি তুলে রাখি মোবাইল ফোন যেহেতু হ্যাক ছিলো  যা-দিয়ে তার সোশাল মিডিয়া এবং ইমু হোয়াইটস আপ ব্যাবহার করে তাকে খারাপ বানাতে পারতাম এমন কি ব্ল্যাকমেইল করতে  বিবাহ ভেঙে যাবে এমন অবস্থার কাছে নেওয়া যেতো তা করিনি দুইটা কারনে আল্লাহ পাক এর ভয় আর মামলার ভয়ে । এরপর আল্লাহ পাক এর কাছে খাস দিলে তওবা করি।
★  এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে বিষয় টা এখন প্রায় স্বাভাবিক হয়ে গেছে গত হয়ে গেছে বউ আমার সাথে আছে শশুর শাশুড়ী মনঃক্ষুণ্ন হলেও তাদের বাড়ি গেলে আপ্যয়ান করে। যেহেতু বিষয় টা প্রায় স্বাভাবিক হয়ে গেছে এটা নিয়ে ঘাটাঘাটি না করে  যতই গোপন  হক স্পষ্ট হক নষ্ট করছি শুধুমাত্র আল্লাহ পাক এর কাছে মাফ চাইলে হবে কি। নাকি তাদের পা ধরে মাফ চাইতেই হবে।   আর যদি পা ধরে মাফ চাইতে  না হয় তাহলে আমার বউয়ের মাধ্যমে এভাবে মাফ চাইলে হবে কি যে আঙ্গ  হেতে যত হক নষ্ট করছে মাফ করে দেন আর ছোটদের কে বলে মাফ করে দে ওইদিন যারা ছিলো শুধু তাদের কাছে?

২। সালাদের বেপার টা কি আত্নীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে কথা না বলে থাকার গোনাহ হবে?

বিঃদ্রঃ এ বেপারে আর প্রশ্ন করবো না শুধু  এবার উত্তর টা দেন। আমাদের আসেপাশে দারুল ইফতা না থাকার কারনে আপনাদের কে বিরক্ত করি সে জন্য দুঃখিত মাফ করবেন

1 Answer

0 votes
ago by (648,990 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। (বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)

وَعَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَتَدْرُونَ مَا الْمُفْلِسُ؟» . قَالُوا: الْمُفْلِسُ فِينَا مَنْ لَا دِرْهَمَ لَهُ وَلَا مَتَاعَ. فَقَالَ: «إِنَّ الْمُفْلِسَ مِنْ أُمَّتِي مَنْ يَأْتِي يَوْم الْقِيَامَة بِصَلَاة وَصِيَام وَزَكَاة وَيَأْتِي وَقَدْ شَتَمَ هَذَا وَقَذَفَ هَذَا. وَأَكَلَ مَالَ هَذَا. وَسَفَكَ دَمَ هَذَا وَضَرَبَ هَذَا فَيُعْطَى هَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ وَهَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ فَإِنْ فَنِيَتْ حَسَنَاتُهُ قَبْلَ أَنْ يَقْضِيَ مَا عَلَيْهِ أُخِذَ مِنْ خَطَايَاهُمْ فَطُرِحَتْ عَلَيْهِ ثُمَّ طُرح فِي النَّار» . رَوَاهُ مُسلم

আবূ হুরায়রা (রাঃ)] হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কি জানো, (প্রকৃত) গরীব কে? সাহাবায়ে কিরাম বললেনঃ আমরা তো মনে করি, আমাদের মধ্যে যার টাকা-পয়সা, ধনদৌলত নেই, সে-ই গরীব। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ কিয়ামতের দিন আমার উম্মাতের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি গরীব হবে, যে ব্যক্তি দুনিয়া থেকে সালাত, সিয়াম ও যাকাত আদায় করে আসবে; কিন্তু সাথে সাথে সেসব লোকেদেরকেও নিয়ে আসবে যে, সে কাউকে গালি দিয়েছে, কারো অপবাদ রটিয়েছে, কারো সম্পদ খেয়েছে, কাউকে হত্যা করেছে এবং কাউকে প্রহার করেছে; এমন ব্যক্তিদেরকে তার নেকীগুলো দিয়ে দেয়া হবে। অতঃপর যখন তার পুণ্য শেষ হয়ে যাবে অথচ পাওনাদারদের পাওনা তখনো বাকি, তখন পাওনাদারদের গুনাহ তথা পাপ তার ওপর ঢেলে দেয়া হবে, আর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

(মুসলিম ৫৯-(২৫৮১), তিরমিযী ২৪১৮, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৮৪৫, সহীহুল জামি‘ ৮৭, সহীহ আত্ তারগীব ২২২৩, শু‘আবুল ঈমান ৩৩, আহমাদ ৮০২৯, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৬৪১৯, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৪১১, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ৫৬১, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ২৭৭৮, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১১৮৩৮।)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি আপনার শালা ও তার স্ত্রীর হক নষ্ট করেছেন।

তাদের থেকে ক্ষমা চাইবেন,মহান আল্লাহর কাছে খালেস দিলে তওবা করবেন,ওয়াদাবদ্ধ হবেন,যে আর জীবনেও এ ধরনের গুনাহ করবেননা।

(০২)
শালার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে সেক্ষেত্রে সম্পর্ক ছিন্নের গুনাহ হবে।
অন্যথায় নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...