আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
11 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
প্রশ্ন: ০১ - "১ তালাক দিলাম, ২ তালাক দিলাম, ৩ " এতটুকু বলে ৩ বলার পর আর "তালাক দিলাম" বলেনি। কারণ স্বামী মনে করেছে তালাক বা দিলাম উচ্চারণ না করলে তালাক হবে না। পরবর্তীতে স্ত্রী বুঝতে না পারায় ৩ তালাক  দিয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করলে স্বামী স্ত্রীকে ভয় দেখানোর জন্য দিয়েছে বলে। যদিও স্বামীর মনে ধারণা ছিল সে দেয়নি। এবং পরবর্তীতে স্ত্রীর কাছে স্বামী পুরো বিষয়টি ক্লিয়ার করে বলে যে সে ৩ তালাক দেয়নি।
এক্ষেত্রে কি ৩ তালাক হয়েছে কিনা?


প্রশ্ন: ০২ - ৩ তালাক হওয়ার পরবর্তীতে সে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার পুরোপুরি কার্যক্রম বা নিয়মাবলী কী?

1 Answer

0 votes
ago by (679,110 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
প্রথমত মৌলিক একটি বিষয় আমাদেরকে বুঝে নিতে হবে যে, মাসআলা বা ফাতাওয়া দেয়া হয়, প্রশ্নকারীর বর্ণনা অনুপাতে। প্রশ্নের শব্দের হেরফের ফাতাওয়া পাল্টে যায়।
যাইহোক, আপনার বক্তব্য অনুপাতেই সমাধান পেশ করা হচ্ছে। যদি আসল অবস্থা ভিন্ন হয়, তাহলে এর দায়দায়িত্ব আমাদের নয়।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
'পরবর্তীতে স্ত্রী বুঝতে না পারায় ৩ তালাক দিয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করলে স্বামী স্ত্রীকে ভয় দেখানোর জন্য দিয়েছে বলে।'

আপনার উল্লেখকৃত উক্ত কথা দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, স্বামীটি ভয় দেখানোর জন্য ৩ তালাক দিয়েছে। যেহেতু এখানে ৩ তালাক দেয়া হয়েছে , যদিও ভয় দেখানোর জন্য। কাজেই তিন তালাক হয়ে যাবে। এখন শরয়ী হালাল ব্যতিত তারা আর সংসার করত়ে পারবে না।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3462

لما فی خلاصۃ الفتاویٰ (2/98):
وفي الفتاوى رجل قال لامرأته ترا يكي وترا سه او قال تو يكي تو سه قال أبو القاسم الصفار رحمه الله لا يقع شيئ وقال الصدر الشهيد رحمه الله يقع إذا نوى قال وبه يفتى

وفي الفتاوي الشامية (4/524):
وذكر في الفتح هناك: لو قال أنت بثلاث وقعت ثلاث إن نوى لأنه محتمل لفظه، ولو قال لم أنو لا يصدق إذا كان في حال مذاكرة الطلاق لأنه لا يحتمل الرد وإلا صدق

وفي الفتاوي الهندية(1/357):
ولو قال أنت بثلاث وقعت ثلاث إن نوى ولو قال لم أنو لا يصدق إذا كان في حال مذاكرة الطلاق وإلا صدق ومثله بالفارسية توبسه على ما هو المختار للفتوى

وفي الفتاویٰ المحمودية (12/463):
’’سوال : زید نے اپنی زوجہ ہندہ سے کچھ اَن بَن ہونے پر اس کی مار پیٹ کی، بعد یہ کہا کہ ’’ایک دو تین‘‘ اس کے کچھ دیر بعد زید اپنی ماں سے کہنے لگا کہ اس کو اس کے میکہ پہنچادو، اس کی ماں نے کہاکہ اچھا کل پہنچادوں گی، اس واقعہ کے تین روز گذرنے کے بعد ہندہ کا والد کسی ضرورت سے ہندہ کے گاؤں میں پہنچا تو اس کو وہاں کسی آدمی کی زبانی یہ بات معلوم ہوئی ہندہ کے والد نے زید کو تخلیہ میں بلا کر گفتگوکی اور پوچھا کہ تم نے ہندہ کو طلاق دیدی، توزید خاموش ہوگیا، پھر اصرار کر نے پر زید نے ’’ہاں‘‘ کہا، بات کلیر ہے ،تو اب حکمِ شرع کیا ہے؟

الجواب حامداً ومصلیاً: لفظ ’’ایک دو تین‘‘ اصالۃً طلاق کیلئے موضوع نہیں بلکہ گنتی کیلئے موضوع ہے، جس سے طلاق کی گنتی بھی مراد لی جاتی ہے اور غیر طلاق کی بھی اور عامۃً تو اس کا معدود بھی ذکر کیا جاتا ہے، اور کبھی کبھی قرینہ مقام کے لحاظ سے صرف ذکرِ عدد پر کفایت کی جاتی ہے، معدود کو مخاطب بغیر ذکر کئے سمجھ جاتا ہے، اور کبھی یہ کسی کام کو پختہ کرنے اور انتہا تک پہنچانے کیلئے بھی بولا جاتا ہے، مثلاً نیلام کی جب بولی ختم کرنا ہو تو ایک دو تین بول دیتے ہیں، یا کسی کام کو شروع کرنے کیلئے ایک دو تین بول دیتے ہیں، پس اگر زید نے اس لفظ ’’ایک دو تین‘‘ سے یہ مراد لیا ہے کہ میں نے بیوی کو ایک دو تین طلاق دیدی تو طلاق مغلظہ ہوگئی، …….: لو قال لامرأته  انت بثلاث قال ابن الفضیل اذا نوی یقع ……… ولو قال انت منی ثلاثاً طلقت ان نوی او کان فی مذاکرة الطلاق………. قوله: بثلاث دل علی عدد طلاق مقدر نواه المتکلم. اه شامی ص:۳۳۸، ج:۲،[4/485] (قبل طلاق غیرا لمدخول بها بثلاثة اوراق) فقط والله تعالی أعلم‘‘

وفي بدائع الصنائع (3/295):

وأما الطلقات الثلاث فحكمها الأصلي هو زوال الملك وزوال حل المحلية أيضا حتى لا يجوز له نكاحها قبل التزوج بزوج آخر لقوله عز وجل: فإن طلقها فلا تحل له من بعد حتى تنكح زوجا غيره


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...