আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
17 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (55 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ উস্তাদ। এক বোন প্রশ্ন পাঠিয়েছেন।  উত্তর জানানোর অনুরোধ।
১) আমার কোন ভাই বোন নেই। এক মেয়ে। শরীয়তে সম্পদ ভাগের বিষয় যতটুকু দেখেছি যে অভিভাবকদের অবর্তমানে তাদের ওয়ারিস রা, ভাই ভাতিজা ইত্যাদি তারা সম্পদ পাবে। আমার কিছু প্রশ্ন আছে। শরীয়তে নারীদের সম্পদ পুরুষদের তুলনায় কম দেয়া হয়, কারন নারীদের দায়িত্বটাও পুরুষদর উপর। নারী সবদিক থেকেই সম্মানিত, তার নিজের খরচও নিজের বহন করতে হয়না এমন। অথচ বর্তমানে তো এমন কিছুই দেখছি না। আমি আমার সারাজীবনে দেখি নি আমার জন্য কেউ এক পয়সাও খরচ করতে আমার কোন দায়িত্ব পালন করতে। আমার এক খালা আছেন, যিনি বিবাহিত কিন্তু সন্তান নেই। সুবহানাল্লাহ। ওনার দায়িত্ব ওনার এত জনমেও কোন মানুষ নিলেন না। একজনও না। ওনার স্বামীও না। কোন আত্নীয় স্বজন ও না। তাহলে এই আত্নীয় স্বজন কিভাবে ওয়ারিশ হয়? তারা কিভাবে হকদার হয়?


প্রশ্ন হলো, আমারও যেহেতু কোন ভাই বোন নেই। আমার দায়িত্বও নেয়ার কেউ নেই। জীবনেও কেউ নিবে না। আত্নীয় স্বজন রা আগে থেকেই সম্পদ ভাগ করে নেয়ার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষমান। পারলে আমাকে, আমাদের বঞ্চিত করে হলেও তাদের নিতে হবে। সারাজীবন ধরে তারা এগুলোই করেছ, এখনো চলমান। এমন আত্নীয়ের কি হক আদায় করবে? সারাজীবন তো আমরা ছাড় দিয়েই আসলাম। এখন মা বাবা কি নিজের সন্তানের নিরাপত্তার জন্য তাদের সম্পদও সন্তানকে দিতে পারবে না? এটার জন্য আল্লাহ নিষেধ করবেন? আল্লাহ তো সত্যি জানেন শায়েখ। এই মানুষগুলো শুধু পাওয়ার বেলায় আছে, জীবনে কোন দায়িত্ব পালন করার বেলায় নেই।

1 Answer

0 votes
by (680,280 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আনাস ইবনে মালেক রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ فَرَّ مِنْ مِيرَاثِ وَارِثِهِ، قَطَعَ اللَّه ُمِيرَاثَهُ مِنَ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ যে ব্যক্তি তার ওয়ারিছদেরকে মিরাছ প্রদান থেকে পলায়ন করবে(তথা-ওয়ারিছদেরকে মিরাছ থেকে বঞ্চিত করবে)আল্লাহ তা'আলা ক্বিয়ামতের দিন তাকে জান্নাতের মিরাছ থেকে বঞ্চিত করবেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ-২৭০৩)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি কারো শুধুমাত্র এক মেয়েই থাকে তাহলে তার মৃত্যর পর তার ঐ এক মেয়ে পূর্ণ সম্পত্তির অর্ধেক পাবে। বাদবাকী সম্পত্তি ঐ মৃতব্যক্তির অন্যান্য আসহাবে ফারায়েযরা পাবেন। কারা কারা ওয়ারিছ হতে পারেন?সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/343

মৃত্যু পরবর্তী সম্পদকে  আল্লাহ তা'আলা নিজেই বন্টন করে দিয়েছেন।তাই কারো মৃত্যুর পর আল্লাহ তা'আলা প্রদত্ত বিধি-বিধানের আলোকেই তার সম্পদ বন্টন করতে হবে।এক্ষেত্রে কোনো ওয়ারিছকে তার নির্ধারিত অংশ ব্যতীত অতিরিক্ত কিছু দেয়া যাবে না বা তার ওসিয়ত করা যাবে না। জায়েয হবে না।তবে বাকী সমস্ত ওয়ারিছদের সম্মতিতে কোনো এক ওয়ারিছকে সমস্ত সম্পত্তি বা তার নির্ধারিত অংশের চেয়ে বেশী দেয়া যাবে। মৃত্যুর সময় এক তৃতীয়াংশ সম্পত্তিকে ওয়ারিছ ব্যতীত অন্য যে কারো জন্য ওসিয়ত করা জায়েয আছে।

হ্যা, যদি কোনো ব্যক্তি ছেলে না থাকাবস্থায় তার পূর্ণ সম্পত্তিকে তার মেয়েদের নামে দিয়ে যায়,তাহলে তখন সে গোনাহগার হলেও তার মেয়েরা পূর্ণ সম্পত্তির মালিক বনে যাবে। মেয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে যদি কেউ তার মেয়েকে যথেষ্ট পরিমাণ সম্পদ তার জীবদ্দশায় লিখে দিয়ে যায়, অন্যান্য ওয়ারিছদেরকে বঞ্চিত রাখা উদ্দেশ্য না হয়, তাহলে হয়তো আল্লাহ ক্ষমা করে দিতেও পারেন।আল্লাহই ভালো জানেন।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যে সব আত্মীয় কখনো আপনার মত মেয়ে ও তার বাবা মার দায়িত্ব কখনো পালন করেন নাই, ঐ মেয়ের বাবার সম্পদে অংশ তালাশ করতে তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। যাইহোক, আপনি যদি আত্মীয় স্বজনদের জন্য অর্ধেক ছেড়ে দিতে সম্মত হন, তাহলে এটাই আপনার জন্য কল্যাণজনক হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...