আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
19 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।


জনাব মুফতি সাহেব, আমি একজন নতুন উদ্যোক্তা। আমি লিপ্পান আর্ট (হ্যান্ডমেইড ওয়াল আর্ট) নিয়ে একটি ছোট ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছি। আমার তেমন পুজি নেই। আমি আমার জমানো কিছু টাকা দিয়ে অপ্ল কিছু উপকরণ এনেছি। আমি একজন কারিগর এর সাথে যোগাযোগ করেছি তার থেকে কিছু উপকরণ কিনেছি সাথে তার হাতে কাজ দেখার জন্য একটা লিপ্পান আর্ট এনেছি। সে অনেক ভালো। এখন আমার এই প্রোডাক্ট গুলো তো বানিয়ে ঘরে রেখে দেওয়ার জিনিস না এগুলো কাস্টমারের পছন্দ মতো বানিয়ে দেওয়ার জিনিসা।  যেমন কাঠের ফার্নিচার। দোকানে উপকরণ থাকে দোকানদার কারিগর দিয়ে বানায় তেমন। আমার তো বেশি পুজি নেই তাই আমি অল্প উপরণ এনেছি নিজে একটা বানিয়েছি আরেকটা বানানোর জন্য রেখে দিছি। এখন কাস্টমার যদি নিজের পছন্দ মতো অন্য কোনো ডিজাইন বানিয়ে নিতে চায় তাহলে আমি ভেবেছি সে কারিগর কে অর্ডারটা দিব সে বানিয়ে দিবে আমার পক্ষ থেকে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ডেলিভারি নিয়ে আমার বাসা আর উনার বাসা অনেক দূরে তাই আমি চাচ্ছি পণ্য আমার বাসায় না এনে তিনি একবারে কাস্টমারে কাছে পাঠিয়ে দিক কারণ আমার বাসায় আনতে গেলে ১৫০ টাকা দামের একটা পন্যতে আরো ১৫০ টাকা খরচ যোগ হয়ে ৩০০ টাকা হয়ে যায় এমন হলে তো কেউ আমার থেকে নিবে না। কিন্তু পন্যের সব  দ্বায় ভার আমি নিবো। আমি কাস্টমারকে ঠকাইতে চাই না। আসা রাখি কাস্টমার ঠকবে না। একটা ড্রেস বানাতে গেলেও কিন্তু অনেকজন এর হাত থেকে কাস্টমারের কাছে পৌঁছে। যেমন কেউ সুতা বানায় আবার কেউ কাপড় সে কাপড় আবার দর্জি শিলায় তারপর পাইকারি বিক্রি করে পাইকারি বিক্রেতা আবার খুচরা বিক্রি করে কাস্টমারে কাছে। আমাটা হচ্ছে এমন সে এক প্রকার আমার কারিগর এবং পাইকারি সেলার শুধু পন্যটা ডিরেক্ট কাস্টমারের কাছে যাবে। কিন্তু দ্বায় ভার আমার কোনো সমস্যা হলে আমি সেটার সমাধান দিতে চেষ্টা করবো।


আমার পুজি নাই দেখে তাহলে আমিও সব বানাইতে পারতাম এখন কাস্টমার আমার কাছ যেগুলা আছে সেগুলা চাইলে দআমি দিতে পারবো আর আমি কিছু টাকা হলে আমি নিজেই উপকরণ এনে বানিয়ে দিতে পারবো


আমার প্রশ্ন হলো, আমি নিজে এই আর্ট তৈরি করতে পারি কিন্তু আমার পুজি নেই বেশি এত উপকরণ বাসায় এনে রাখবো, বরং একজন দক্ষ কারিগর রয়েছেন যিনি অর্ডার পেলে আমার পক্ষ থেকে আর্ট তৈরি করেন। আমি মূলত ডিজাইন বাছাই, অর্ডার নেওয়া, কাস্টমারের সাথে যোগাযোগ, ডেলিভারি ও মান নিয়ন্ত্রণের কাজ করি। কাস্টমারকে আমি আগে থেকে পণ্যের দাম বলে দেই এবং কারিগর কাজ করে সরাসরি কাস্টমারের কাছে পাঠিয়ে দেন। আমি তাতে কিছু লাভ রাখি।


এ অবস্থায়:


1. আমি পণ্য নিজে তৈরি না করলেও এভাবে লাভ নেওয়া কি ইসলামically হালাল হবে?


2. পণ্য আমার জিম্মায় না থাকলেও (কারিগরের কাছেই থাকে), কাস্টমাইজ অর্ডার নিয়ে সরাসরি গ্রাহকের কাছে পাঠালে শরীয়তের দৃষ্টিতে সেটা বৈধ হবে কি?


3. আমি কি এভাবে কাজ করে নিজের উপার্জনকে হালাল রাখতে পারবো?


অনুগ্রহ করে আমাকে কুরআন-সুন্নাহ ও ফিকহের আলোকে দয়া করে বিস্তারিতভাবে উত্তর দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।

1 Answer

0 votes
ago by (679,170 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। 
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ عَنْ مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلَا يَبِعْهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন খাদ্যবস্তু ক্রয় করে, যেন তা কবজা করার আগে বিক্রয় না করে(সুনানু নাসায়ী-৪৫৯৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1089

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নিজের নিকট মাল উপস্থিত নেই, এমতাবস্থায় আপনি কাস্টমারের সাথে বিক্রয় করতে পারবেন না। হ্যা, আপনি সালাম ক্রয় ক্রয় বিক্রয় বা এজেন্ট হিসেবে বিক্রয করতে পারবেন। অথবা আপনি কাস্টমারের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ না করে, শুধুমাত্র বিক্রয়ের ওয়াদা করতে পারেন। তারপর যার কাছ বানাবেন,  তার মাধ্যমে আপনি মূল ক্রেতার নিকট পৌছিয়ে দিবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...