আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
7,622 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন দয়া করে উত্তর দিলে অনেক উপকার হবে।
প্রশ্ন : শ্বশুর যদি ছেলের বৌকে কামভাব নিয়ে স্পর্শ করে যদিও ছেলের বৌ এর এতে কোনো দোষ নেই তাহকে কি ওই বৌ কি তার স্বামীর জন্য হারাম হয়ে যাই??  তাকে কি তালাক দিবে তার স্বামী??
by (590,190 points)
মুফতী সাহেব !উত্তর লিখার পর দেখলাম আপনাকে।
প্রয়োজনে উত্তর সংশোধন করে দিবেন। এ অধিকার  আপনার থাকল।জাযাকুমুল্লাহ।
by
আচ্ছালামুয়ালাইকুম 
বিবাহিত নারির সাথে যদি অবিবাহিত পুরুষের অন্তরঙ্গ কিছু হয়(দুজনের একজন বা দুজনেরই কামভাব নিয়ে স্পর্শ করা) কিন্তু শারিরীক সম্পর্ক না হয় তবে উক্ত বিবাহিত নারি এবং অবিবাহিত পুরুষের উপর কি প্রভাব পরে??
by (590,190 points)
জ্বী উভয়ের উপরই প্রভাব পড়বে।
by
কি রকম প্রভাব পড়বে। যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন
  
by
Vi tar sate Noton kore sansar Korar upay ta ki Jodi bolten


1 Answer

+1 vote
by (590,190 points)
edited by

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ।


আল্লাহ তা'আলা বলেন,

ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻖَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤَﺎﺀ ﺑَﺸَﺮًﺍ ﻓَﺠَﻌَﻠَﻪُ ﻧَﺴَﺒًﺎ ﻭَﺻِﻬْﺮًﺍ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺭَﺑُّﻚَ ﻗَﺪِﻳﺮًﺍ

তিনিই পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন মানবকে, অতঃপর তাকে রক্তগত, বংশ ও বৈবাহিক সম্পর্কশীল করেছেন। তোমার পালনকর্তা সবকিছু করতে সক্ষম।(সূরা ফুরক্বান-৫৪)

হুরমতে মুসাহারাত অর্থ হল, নিকটাত্মীয় কে সম্মান প্রদর্শন করা। (হুরমত অর্থ সম্মান+এবং মুসাহারাত অর্থ নিকটাত্মীয়)

مبحث فيما تثبت به حرمة المصاهرة
-المصاهرة: وصف شبيه بالقرابة، ويتحقق في أربع: إحداها زوجة الابن، وهي تشبه البنت. ثانيهما: بنت الزوجة، وهي تشبه البنت أيضا، ثالثها: زوجة الأب، وهي تشبه الأم، رابعها: أم الزوجة، وهي تشبه الأم أيضا.

হুরমতে মুসাহারাহ চারজন ব্যক্তির ব্যাপারে সাব্যস্ত হবে। (১) পুত্রবধু- যা মেয়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে নেয় (২) স্ত্রীর মেয়ে- ইহাও মেয়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে নেয়  (৩) পিতার স্ত্রী যা মায়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে নেয় (৪) স্ত্রীর মা- যা মায়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করে নেয়। (আল-ফিকহু আলাল মাযাহিবিল আরবা'আহ-৪/৬১)

দুই জন মানুষের মধ্যে যে সম্পর্ক পাওয়া যায় বা সমাজে চলমান রয়েছে,সেটা সাধারণত নসব তথা বংশগত কারণে হয়ে থাকে বা রেযা'আত তথা দুধ সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রতিষ্টিত হয়ে থাকে কিংবা মুসাহারাহ তথা বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রতিষ্টিত থাকে।

শরীয়তে মাহরাম নন মাহরাম তথা বিয়ে-শাদীর বৈধ-অবৈধ পার্সন সাধারণত এর ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়েছে।হয়তো নসবের কারণে কাউকে বিয়ে করা হারাম নতুবা বৈবাহিক সম্পর্কের ইস্যুতে হারাম কিংবা দুধ সম্পর্কের কারণে হারাম । কুরআনে কারীমে যে চৌদ্দ জনের নমুনা পেশ করা হয়েছে,এসব মূলত এই তিনটি সম্পর্কের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়েছে।

বংশগত সম্পর্কের কারণে বিয়ে হারাম যেমন,পিতা তার মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না,ইত্যাদি।
দুধ সম্পর্কের কারণে বিয়ে হারাম,যেমন দুধ সন্তান তার দুধ মাকে/বোনকে বিয়ে করতে পারবে না।বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে বিয়ে হারাম, যেমন,জামাই সে তার শাশুড়ী কে বিয়ে করতে পারবে না।

বৈবাহিক সম্পর্ক যাকে মুসাহারাত বলে,সেটা কিভাবে প্রতিষ্টিত হবে?আমরা জানি বৈধ বিয়ের মাধ্যমে সেটা প্রতিষ্টিত হয়ে থাকে।সুতরাং কোনো মানুষ তার পিতার স্ত্রীকে বিয়ে করতে পারবে না।এবং তার সন্তানের স্ত্রীকে বিয়ে করতে পারবে না।এমনকি সে তার স্ত্রীর মা বা মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না।কারণ তাদের সাথে তার বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন হয়ে গেছে। যা বিয়েকে বাধা প্রদাণ করে।

এখন প্রশ্ন জাগে,তাহলে বিয়ের মত অবৈধ সম্পর্কের কারণে কি হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবে?যেমন কেউ কোনো মহিলার সাথে ব্যভিচার করলো,এখন সেই যিনাকারীর ছেলে উক্ত মহিলাকে বিয়ে করতে পারবে কি না?জবাবে বলা যায়,এই মাসআলায় উলামাদের মতপার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে।


(প্রথম মত)
যিনা-ব্যভিচার তথা অবৈধ সম্পর্কের কারণে হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবে।ব্যভিচারী পরুষ মহিলা উভয়ের উর্ধতন-নিম্নতন উভয়দিকে এই হুরমতের বিস্তার ঘটবে। এটা হানাফি মাযহাব,হাম্বলী মাযহাব,এবং ইমাম সাওরী রাহ ও আওযায়ী রাহ এর অভিমত। তাদের দলিল

(১)

ﻭَﻻَ ﺗَﻨﻜِﺤُﻮﺍْ ﻣَﺎ ﻧَﻜَﺢَ ﺁﺑَﺎﺅُﻛُﻢ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﻗَﺪْ ﺳَﻠَﻒَ ﺇِﻧَّﻪُ ﻛَﺎﻥَ ﻓَﺎﺣِﺸَﺔً ﻭَﻣَﻘْﺘًﺎ ﻭَﺳَﺎﺀ ﺳَﺒِﻴﻼً

যে নারীকে তোমাদের পিতা-পিতামহ বিবাহ করেছে তোমরা তাদের বিবাহ করো না। কিন্তু যা বিগত হয়ে গেছে। এটা অশ্লীল, গযবের কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ।(সূরা নিসা-২২)
আয়াতে অশ্লীল, গযবের কাজ,এবং নিকৃষ্ট আচরণ বলা হয়েছে।কাজেই বুঝা গেল এখানে নিকাহ দ্বারা সহবাস উদ্দেশ্য।সুতরাং অর্থ হবে যাদেরকে তোমাদের পিতামহগণ সহবাস করেছেন,(বিয়ের মাধ্যমে বা বিয়ে ছাড়া)তাদের সাথে তোমরা(বিয়ে বা বিয়ে ছাড়া কোনোভাবে) সহবাসে লিপ্ত হইওনা।

(২)
বর্ণিত রয়েছে,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,

ﻻ ﻳﻨﻈﺮ ﺍﻟﻠﻪ ﺇﻟﻰ ﺭﺟﻞٍ، ﻧَﻈَﺮَ ﺇﻟﻰ ﻓﺮْﺝ ﺍﻣﺮﺃﺓ ﻭﺍﺑﻨﺘﻬﺎ ".

আল্লাহ ঐ মানুষের দিকে তাকাবেন না, যে কোনো মহিলার লজ্জাস্থান এবং ঐ মহিলার মেয়ের লজ্জাস্থানের দিকে তাকাবে। (বিয়ের মাধ্যমে হোক বা বিয়ে ছাড়া হোক)

(৩)কিয়াস তথা যেভাবে বৈধ সহবাসের কারণে হুরমত সাব্যস্ত হয়,ঠিকসেভাবে অবৈধ সহবাসের কারণেও হুরমত সাব্যস্ত হবে।

(দ্বিতীয় মত)
যিনা-ব্যভিচারের মাধ্যমে হুরমত প্রমাণিত হবে না।সুতরাং যদি কেউ কোনো মহিলার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়,তাহলে ঐ পুরুষের জন্য সেই মহিলার মা-মেয়েকে বিয়ে করতে কোনো সমস্যা নেই।এটা শাফেয়ী মাযহাব,মালিকী মাযহাব ও ইবনে হযম জাহিরী এবং এক বিবরণ অনুযায়ী ইমাম আহমদ রাহ এর ও মত।

দলীল,
(ক) কুরআনে কারীমে যাদেরকে হারাম বলা হয়েছে,তারা ব্যতীত বাকী সবাই হালাল।সুতরাং অবৈধ যিনা-ব্যভিচারের মাধ্যমে হুরমত সাব্যস্ত হয়ে কেউ আর নতুন করে হারাম হবেন না।

(২) আল্লাহ তা'আলা  বংশ এবং বৈবাহিক সম্পর্ক দ্বারা বান্দার উপর অনুগ্রহ করেছেন।যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন,

ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻖَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤَﺎﺀ ﺑَﺸَﺮًﺍ ﻓَﺠَﻌَﻠَﻪُ ﻧَﺴَﺒًﺎ ﻭَﺻِﻬْﺮًﺍ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺭَﺑُّﻚَ ﻗَﺪِﻳﺮًﺍ

তিনিই পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন মানবকে, অতঃপর তাকে রক্তগত, বংশ ও বৈবাহিক সম্পর্কশীল করেছেন। তোমার পালনকর্তা সবকিছু করতে সক্ষম। (সূরা ফুরকান-৫৪)
সুতরাং আল্লাহর অনুগ্রহকৃত কোনো জিনিষ অবৈধ কোনো কিছু দ্বারা সাব্যস্ত হবে না।

(৩)
বর্ণিত রয়েছে, রাসূল্লাহ সাঃ বলেছেন,

ﺭﻭﻱ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﻗﺎﻝ : " ﻻ ﻳُﺤﺮِّﻡ ﺍﻟﺤﺮﺍﻡ ﺍﻟﺤﻼﻝ "

হারাম কোনো হালালকে হারাম করে না।

কোন মত গ্রহণযোগ্য ও অগ্রাধিকার যোগ্য?
সতর্কতামূলক হানাফি মাযহাবকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে।যাতেকরে বেপর্দা ও ফ্রি মিক্সিং ইত্যাদি সম্পূর্ণ রূপে খতম হয়ে নিরাপদ পরিবেশ কায়েম হয়।

হুরমতে মুসাহারাম তিনভাবে প্রতিষ্টিত হয়ে থাকে, যথা-
(১)নিকাহ (২)ওতি বা সহবাস (৩)দাওয়ায়ীয়ে ওতি বা সহবাসের দিকে আকৃষ্টকারী বিষয় সমূহ যেমন,(ক)স্পর্শ, (খ)লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টি।

নিকাহ দ্বারা হুরমতে মুসাহারাহ সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়ে সমস্ত উম্মত একমত। বিবাহ ব্যতিত শুধুমাত্র ওতি বা সহবাস দ্বারা হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে।

শর্তগুলো হল,
(১) সরাসরি খালি গায়ে বা এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। যদি এমন মোটা কাপড় পরিধান করে থাকে যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভূত না হয়, তাহলে নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।

فى الدر المختار- أو لمس ) ولو بحائل لا يمنع الحرارة
وقال ابن عبدين– ( قوله : بحائل لا يمنع الحرارة ) أي ولو بحائل إلخ ، فلو كان مانعا لا تثبت الحرمة ، كذا في أكثر الكتب (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات- 3/107-108)

(২) স্পর্শ করলে পুরুষ মহিলা যেকোন একজনের উত্তেজনা অনুভুত হওয়া।
পুরুষের উত্তেজনা অনুভূত হওয়ার লক্ষণ হল গোপনাঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়া, আর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।

وفى رد المحتار- قوله (بشهوة) اي ولو من احدهما،
وفى الدر المختار- وحدها فيهما تحرك آلته أو زيادته به يفتى
وفي امرأة ونحو شيخ كبير تحرك قلبه أو زيادته (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/107-109)

(৩)স্পর্শ করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। যদি স্পর্শ করার সময় কেউ উত্তেজিত না হয়, তাহলেও নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হবে না। সেই সাথে স্পর্শ করার আগে বা শেষে, হাত ছেড়ে দেওয়ার আগে বা পর যদি উত্তেজনা অনুভূত হয় তাহলেও নিষিদ্ধতার সাব্যস্ত হবে না।
وفى الدر المختار- والعبرة للشهوة عند المس والنظر لا بعدهما
وفى رد المحتار- ( قوله : والعبرة إلخ ) قال في الفتح : وقوله : بشهوة في موضع الحال ، فيفيد اشتراط الشهوة حال المس ، فلو مس بغير شهوة ، ثم اشتهى عن ذلك المس لا تحرم عليه (رد المحتار-كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/108)

(৪) স্পর্শ করার পর উদ্ভূত উত্তেজনা স্থীর হওয়ার পূর্বেই বীর্যপাত না হতে হবে। যদি উত্তেজনা হওয়ার সাথে সাথেই বীর্যপাত হয়ে যায়, তাহলেও নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।

وفى الدر المختار- هذا إذا لم ينزل فلو أنزل مع مس أو نظر فلا حرمة به بفتى
وفى رد المحتار- قوله : فلا حرمة ) لأنه بالإنزال تبين أنه غير مفض إلى الوطء هداية .
قال في العناية : ومعنى قولهم إنه لا يوجب الحرمة بالإنزال أن الحرمة عند ابتداء المس بشهوة كان حكمها موقوفا إلى أن يتبين بالإنزال ، فإن أنزل لم تثبت ، وإلا ثبت(الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/109

وكذا المقبلات، أو الممسوسات بشهوة لأصوله، أو فروعه (رد المحتار-4/100)
لأن حرمة المصاهرة إذا ثبتت لا تسقط أبدا (رد المحتار-4/109)

(৫) মহিলার বয়স ৯ বছর থেকে কম না হতে হবে। আর পুরুষের বয়স ১২ বছর থেকে কম না হতে হবে। {হুরমতে মুসাহারাত-১৯}

উপরোক্ত ৫টি শর্ত পাওয়া গেলে তাহলে হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হয়ে গেছে। চায় যে স্পর্শ করেছে সে ঘুমন্ত হোক বা সজাগ হোক।তবে স্বপ্নে হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবে না।

সুপ্রিয় পাঠকবর্গ!
এখন মূল প্রশ্নের জবাবে আসি! হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হওয়ার জন্য হানাফি ফিকহে কিছু ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আছে।সেগুলো লক্ষণীয়। শশুর যদি তার ছেলের বৌকে কামভাব নিয়ে স্পর্শ করে,তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হয়ে উক্ত ছেলের বৌ ছেলের জন্য তৎক্ষণাৎ হারাম হয়ে যাবে।(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-৭/২৪৩)

উক্ত নারীর সাথে সহবাসের কামভাব নিয়ে স্পর্শ করতে হবে।

لما في ردالمحتار،ج:٣-ص:٣٣ (نسخة شاملة)
ويشترط وقوع الشهوة عليها لا على غيرها لما في الفيض لو نظر إلى فرج بنته بلا شهوة فتمنى جارية مثلها فوقعت له الشهوة على البنت تثبت الحرمة، وإن وقعت على من تمناها فلا

অর্থাৎ- যাকে স্পর্শ করা হচ্ছে,তাকে নিয়ে কামভাব থাকতে হবে।কেননা বর্ণিত রয়েছে,কেউ যদি তার মেয়ের লজ্জাস্থানের দিকে কামভাব ছাড়া দৃষ্টি দেয়,এবং কল্পনায় অন্য কোনো নারীকে সে সঙ্গী হিসেবে চায়,কিন্তু তৎক্ষণাৎ তার মেয়ের দিকে তার কামভাব জাগ্রত হয়ে যায়,তাহলে তখন হুরমতে মুসাহারা সাব্যস্ত হয়ে যাবে(তথা তার বিবি তার জন্য হারাম হয়ে যাবে)তবে যদি তার কামভাব কল্পিত সে নারীর উপরই থাকে তাহলে হুরমতে মুসাহারাহ সাব্যস্ত হবে না।ফাতাওয়ায়ে শামী-৩/৩৩(শামেলা)( কিতাবুন-নাওয়যিল-৮/২৮৮)

খালি গায়ে স্পর্শ হতে হবে বা এমন পাতলা কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ হতে হবে যে, কাপড় থাকার পরও শরীরের স্পন্দন অনুভূত হয়।

لما في ردالمحتار،ج:٣/ ص:٣٤
(قوله: بحائل لا يمنع الحرارة) أي ولو بحائل إلخ، فلو كان مانعا لا تثبت الحرمة، كذا في أكثر الكتب، وكذا لو جامعها بخرقة على ذكره، فما في الذخيرة من أن الإمام ظهير الدين أنه يفتى بالحرمة في القبلة على الفم والذقن والخد والرأس، وإن كان على المقنعة محمول على ما إذا كانت رقيقة تصل الحرارة معها بحر.

বউয়ের কোনো দোষ নেই সেটা ঠিক,তবে যে ঘরে সে নিরাপদ নয় সেখানে তার থাকাটাও উচিৎ নয়। মূলকথা হল,শাশুড়ের স্পর্শের কারণে বউয়ের সাথে শাশুড়ের একটা সম্পর্ক বা সম্বন্ধ কায়েম হয়ে গেছে।এখন এ সম্পর্কের দাবী হল,শাশুড়ের ছেলে তথা বউয়ের জামাই এখন উক্ত বউয়ের জন্য সন্তান সমতূল্য হয়ে যাবে। সুতরাং সে এখন তার বউকে মায়ের মত সম্মান করবে।এখানে মূলত সম্মাণের কারণেই বিয়ে ভেঙ্গে যাবে। বিয়ে ভেঙ্গে যাবে সে জন্য তালাকের প্রয়োজন পড়বে না। জাযাকুমুল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
স্পর্শের করেছে। সহবাস তো করেনি!!
তাহলে ছেলের বউ এখন ছেলের মা হয়ে গেছে!!
আজব ফতোয়া!!
এটা এমন হয়ে গেলো, দোষ করলো একজন আর ফাঁসি হচ্ছে আরেকজনের। 
ভাই একটু মাথা খাটিয়ে উত্তর দিন।

by
ঠিকই আছে ভাই। যদিও মেয়েটির দোষ নেই কিন্তু সেই ঘরে মেয়েটির থাকাই উচিত না।
by
বুজলাম, মেয়েটি সেই ঘরে থাকা উচিত না। এখানে দোষ করছে বাপে, নির্দোষ পুত্রবধু ঘর ছাড়বে নিরাপত্তার বিষয়টি ভেবে, ছেলের দোষ কি এখানে? সে কেন বউ হারাবে?
by
ভাই শুধু এতটুকু ভাবলেই কি হবে? এটাতো কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। এর ফলে উভয়ের পরিবারের মধ্যে মারাত্মক কলহের জের সৃষ্টি হবে। পুত্রবধূ-শশুরের সম্পর্ক নষ্ট হবে। পুত্রবধূ নিজের মেয়ের মত। যে শশুর পুত্রবধূকে কামভাব নিয়ে স্পর্শ করে সে কেমন মানুষ হতে পারে ভেবে দেখেন। সে ভবিষ্যতে আরো খারাপ কিছু করতে পারে। আর এটা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কেও অত্যন্ত ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। আর সবচেয়ে বড় কথা আত্মমর্যাদা। এখানে মেয়েটি ও তার পরিবারের সম্মানে কেমন আঘাত লাগল তা একবার ভাবুন। মেয়েটিকে শশুর পণ্যের চোখে দেখল। যেই মেয়ে এই ঘটনার শিকার হলো তার ভিতরে কি চলছে? সবকিছু বিবেচনা করে এই বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়াটাই অধিক যুক্তিযত।
by
শ্বশুরের খারাপ স্পর্শের কারণে নির্দোষ মেয়েটি নিরাপত্তার ভয়ে ঘর ছাড়লো,,,, কিন্তু মেয়েটি কি অন্য আলাদা বাসায় থেকে একই স্বামী সাথে সংসার চালাতে পারবে?? 
by (590,190 points)
+1
ভাই যদি আকল বুদ্ধি দ্বারা শরীয়ত চলতো, তাহলে মুজার নীচের অংশকে মাসেহ করা হতো, মুজার উপরের অংশকে মাসেহ করা হতো না।

সুতরাং আপনার বিবেক মানুক আর নাই মানুক।এটাই ফিকহে হানাফির সিদ্ধান্ত।জাযাকুমুল্লাহ। 
by
তার মানে শরিয়ত মোতাবেক মেয়েটির স্বামীর সাথে তার সম্পর্ক হারাম হয়ে গেছে? 
by (590,190 points)
জ্বী,হারাম হয়ে গেছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...