আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
16 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (29 points)
১)একজন ব্যাক্তি(১ম) আরেকজন ব্যক্তির (২য়)কাছে জমি বন্ধক দিতে চেয়েছে এই শর্তে
আপনি আমাদের জমিটা বন্ধক নিয়ে চাষ করেন এবং আমাদেরকে টাকা দিন।যতদিন টাকা ফেরত দিতে পারবো না ততদিন চাষ করবেন।

কিন্তু ২য় ব্যক্তি জমি চাষ করতে পারবে না তাই বললো আপনাকে টাকা দিবো এবং জমির আপনিই চাষ করেন।এখানে একটা শর্ত হচ্ছে জমিতে যা ফসল উৎপন্ন হবে তার ৪ ভাগের ৩ ভাগ জমির মালিক নিবে এবং ১ ভাগ যিনি টাকা দিছেন তাকে দিবে।যতদিন টাকা ফেরত  দিতে পারেনি ততদিন এরকম চলমন থাকবে।

এরকম কি করা যাবে?নাকি হারাম হবে?

বা অন্য কোনো উপায় আছে যেটার মাধ্যমে ১ম ব্যক্তিকে সাহায্য করা যাবে।

২)আমাদের দেশে জমি বন্ধক নিলে যিনি টাকা দিয়েছেন তিনি যতদিন জমির মালিক টাকা ফেরত দিতে পারেনি ততদিন ওটা ভোগ করে।এটা কি ঠিক?

৩)একজন আরেকজনকে টাকা ধার দিছে।যিনি ধার দিয়েছেন তিনি টাকাটা নগদ একাউন্টে পাঠিয়েছেন।এটা তোলার সময় ২০/৪০ টাকা খরচ হবে।ফেরত দেওয়ার সময় কিরকম ফেরত দিবে।যেমন ৩০০০ টাকা পাঠিয়েছে সে ২৯৮০ টাকা পেলো।ফেরত দেওয়ার সময় কি ২৯৮০ টাকা ফেরত দিবে যদি হাতে হাতে টাকা দেয়?আর মোবাইলে দিলে কি  ৩০০০দিবে?

1 Answer

0 votes
ago by (678,510 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইসলাম এ প্রচলিত পদ্ধতি সম্পর্কে কি বলে?
আসুন কিছুটা সময় ব্যয় করে এ সম্পর্কে কিছু শরয়ী বিধি-বিধান জেনে নেই।যাতে ইহকাল ও পরকালের সঠিক রাস্তা অর্জন করতে সহায়ক হয়।

বন্ধকের সংজ্ঞা বর্ণনা করতে যেয়ে আল্লামা হাসক্বফী রাহ বলেনঃ
(هُوَ) لُغَةً: حَبْسُ الشَّيْءِ. 
وَشَرْعًا (حَبْسُ شَيْءٍ مَالِيٍّ) أَيْ جَعْلُهُ مَحْبُوسًا لِأَنَّ الْحَابِسَ هُوَ الْمُرْتَهِن(بِحَقٍّ يُمْكِنُ اسْتِيفَاؤُهُ)
তরজমাঃরেহেন(বন্ধক)এর শাব্দিক অর্থ কোনো কিছুকে বন্ধী করে রাখা।পারিভাষায় রেহেন বলা হয়,কোনো জিনিষকে হক্ব বা কোনো প্রাপ্তধনের মুকাবেলায় বন্ধী করে রাখা।যাতে পরিবর্তীতে তা দিয়ে নিজ প্রাপ্যকে উসূল করা যায়। (আদ-দুর্রুল মুখতার-৬/৪৭৭) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জমি বন্ধক নেয়ার পর সেই জমিতে বন্ধকদাতা ও বন্ধক গ্রহীতা কেউ চাষাবাদ করতে পারবে না। অর্থাৎ এই জমি থেকে কেউই কোনো প্রকার ফায়দা গ্রহণ করতে পারবে না। এমনকি জমিকে ভাড়া হিসেবে গ্রহণ করে চাষাবাদ করাও জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

ago by
সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়নি।
উপরের লেখাটা পড়লাম আলহামদুলিল্লাহ।
বিকল্প বৈধ পদ্ধতিসমূহঃ

গবেষনা করলে বৈধতার অনেক পদ্ধতি বের হতে পারে, তবে সবচেয়ে সহজ ও সুন্দর পদ্ধতির একটা হচ্ছে যেমন

1. (১) উক্ত লেনদেনকে বৈধভাবে করতে চাইলে শুরু থেকেই বন্ধকি চুক্তি না করে ভাড়া বা লীজ চুক্তি করতে হবে। যার বিবরণ হল, জমির মালিক জমি ভাড়া দিবে। তার যত টাকা প্রয়োজন সেজন্য যত বছর ভাড়া দিতে হয় একত্রে তত বছরের জন্য ভাড়া দিবে। যেমন-এক বিঘা জমির বার্ষিক ভাড়া ৫ হাজার টাকা। মালিকের ২০ হাজার টাকা প্রয়োজন। তাহলে সে ৪ বছরের জন্য জমি ভাড়া দিবে। এক্ষেত্রে অগ্রিম ২০ হাজার টাকা নিয়ে নিবে। এক্ষেত্রে জমির ভাড়া স্থানীয় ভাড়া থেকে সামান্য কম বেশিও হতে পারে। এরপর ভাড়ার মেয়াদ শেষ হলে অর্থ দাতা জমি ফেরত দিবে, কিন্তু প্রদেয় টাকা ফেরত পাবে না। অবশ্য সময়ের আগে ফেরত দিলে যে কয়দিন ভাড়ায় ছিল সে পরিমাণ ভাড়া কর্তন করে অবশিষ্ট টাকা ভাড়াটিয়া ফেরত পাবে।

2. (২) বয় বিল ওয়াফাঃ অর্থ্যাৎ জমিকে প্রথমে বিক্রয় করা হবে। তারপর বিক্রেতা ক্রেতাকে বলবে যখন আমার কাছে টাকা হবে তখন আপনাকে উক্ত জমি বিক্রি করতে হবে। এবং তাকে বয়য়ে আমানতও বলা হয়ে থাকে। এভাবে হলে উক্ত লেনদেন বৈধ হবে। যেমন ফাতাওয়ায়ে কাযীখানে বর্ণিত আছে, যদিও তাতে এক আকদের মধ্য দ্বিতীয় আকদের শর্ত করা হচ্ছে কিন্তু মানুষের প্রয়োজনীয়তার প্রতি লক্ষ্য করে ফুকাহায়ে কেরাম তাতে বৈধতার ফতোয়া দিচ্ছেন।

প্রশ্ন:১)এখানের ১ম পদ্ধতিটাতে যিনি টাকা দিলেন এবং ভাড়া হিসেবে নিলেন তিনি কি নিজের ইচ্ছেমতো ব্যাবহার করতে পারবেন?তিনি যদি জমি চাষ করতে না পারেন তাহলে অন্য কোনো ব্যক্তিকে (সে   বন্ধনদাতাও হতে পারে কিন্তু তাকে বন্ধকদাতা হিসেবে নয় বরং ভাড়াটে ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করবে) কি  আবার চাষ করতে দিতে পারবেন.২য় উপায়ের ক্ষেত্রেও একই প্রশ্ন।কিনার পর নিজ ইচ্ছে মতো ব্যবহার করা যাবে কিনা।


আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...