ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইসলাম এ প্রচলিত পদ্ধতি সম্পর্কে কি বলে?
আসুন কিছুটা সময় ব্যয় করে এ সম্পর্কে কিছু শরয়ী বিধি-বিধান জেনে নেই।যাতে ইহকাল ও পরকালের সঠিক রাস্তা অর্জন করতে সহায়ক হয়।
বন্ধকের সংজ্ঞা বর্ণনা করতে যেয়ে আল্লামা হাসক্বফী রাহ বলেনঃ
(هُوَ) لُغَةً: حَبْسُ الشَّيْءِ.
وَشَرْعًا (حَبْسُ شَيْءٍ مَالِيٍّ) أَيْ جَعْلُهُ مَحْبُوسًا لِأَنَّ الْحَابِسَ هُوَ الْمُرْتَهِن(بِحَقٍّ يُمْكِنُ اسْتِيفَاؤُهُ)
তরজমাঃরেহেন(বন্ধক)এর শাব্দিক অর্থ কোনো কিছুকে বন্ধী করে রাখা।পারিভাষায় রেহেন বলা হয়,কোনো জিনিষকে হক্ব বা কোনো প্রাপ্তধনের মুকাবেলায় বন্ধী করে রাখা।যাতে পরিবর্তীতে তা দিয়ে নিজ প্রাপ্যকে উসূল করা যায়। (আদ-দুর্রুল মুখতার-৬/৪৭৭) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জমি বন্ধক নেয়ার পর সেই জমিতে বন্ধকদাতা ও বন্ধক গ্রহীতা কেউ-ই চাষাবাদ করতে পারবে না। অর্থাৎ এই জমি থেকে কেউই কোনো প্রকার ফায়দা গ্রহণ করতে পারবে না। এমনকি জমিকে ভাড়া হিসেবে গ্রহণ করে চাষাবাদ করাও জায়েয হবে না।
(২) জমি বন্ধক গ্রহিতা অর্থাৎ যিনি জমি গ্রহণ করে টাকা দিয়েছেন, উনাকে যতদিন জমির মালিক টাকা পরিশোধ করবে না, ততদিন এই জমি টাকা দাতার অধীনেই থাকবে।
(৩)
ঋণ গ্রহণ এবং পরিশোধ করতে যেয়ে যত টাকাই সার্ভিস চার্জ আসবে, সেই সার্ভিস চার্জ ঋণগ্রহীতাকেই বহন করতে হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/113315
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি কেউ অন্য কাউকে ৩০০০ টাকা ঋণ হিসেবে পাঠায়, ঋণগ্রহীতা ক্যাশ আউট করার পর ২৯৮০ টাকা পেলো।ফেরত দেওয়ার সময় তাকে ৩০০০ টাকা খরচসহ দিতে হবে।