শরীয়তের বিধান অনুযায়ী মহিলাদের জামাত মাকরুহে তাহরিমি।
যদি কোথাও কেহ আদায় করে,তাহলে তাদের মহিলা ইমাম মাঝে দাড়াবে।
সামান্য সামনে দাড়াবে,যাতে তার পায়ের গোছা মুক্তাদিদের গোছার আগে হয়।
কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/২৪৮
যদি কোথাও মহিলারা জামাতের সাথে মহিলা ইমামের পিছনে নামায পড়ে তাহলে কতক আলেম বলেন, মহিলাদের নামায আদায় হয়ে যাবে। কারণ, রাসুলুল্লাহ ﷺ উম্মে ওরাকাকে তার ঘরের লোকদের ইমামতি করার অনুমতি দিয়েছেন। (আবু দাঊদ ৫৯১)
যদি তারা তা করে তবে ইমাম মাঝখানে দাঁড়াবেন; কারণ আয়িশা রাযি. তেমনটি করেছিলেন।
হযরত উম্মে হুমাইদ আস সাআদী রাযি. থেকে বর্ণিত, একবার তিনি রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর নিকট এসে আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি আপনার পিছনে নামাজ আদায় করতে চাই। নবী করীম ﷺ উত্তরে বললেন,
قَدْ عَلِمْتُ أَنَّكِ تُحِبِّينَ الصَّلاةَ مَعِي وَصَلاتُكِ فِي بَيْتِكِ خَيْرٌ لَكِ مِنْ صَلاتِكِ فِي حُجْرَتِكِ وَصَلاتُكِ فِي حُجْرَتِكِ خَيْرٌ مِنْ صَلاتِكِ فِي دَارِكِ وَصَلاتُكِ فِي دَارِكِ خَيْرٌ لَكِ مِنْ صَلاتِكِ فِي مَسْجِدِ قَوْمِكِ وَصَلاتُكِ فِي مَسْجِدِ قَوْمِكِ خَيْرٌ لَكِ مِنْ صَلاتِكِ فِي مَسْجِدِي قَالَ فَأَمَرَتْ فَبُنِيَ لَهَا مَسْجِدٌ فِي أَقْصَى شَيْءٍ مِنْ بَيْتِهَا وَأَظْلَمِهِ فَكَانَتْ تُصَلِّي فِيهِ حَتَّى لَقِيَتْ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ
‘আমি ভালো করেই জানি, তুমি আমার পিছনে নামাজ আদায় করতে চাও। কিন্তু তোমার জন্য তোমার রুমে নামাজ আদায় করা অন্য রুমে আদায় করার চেয়ে উত্তম। আর তোমার ঘরের কোনো রুমে আদায় করা বাড়িতে আদায় করার চেয়ে উত্তম। আর তোমার বাড়িতে নামাজ আদায় করা কওমের (এলাকার ) মসজিদে আদায় করার চেয়ে উত্তম। আর তোমার কওমের (এলাকার ) মসজিদে নামাজ আদায় করা আমার পিছনে নামাজ আদায় করার চেয়ে উত্তম। এরপর ঐ মহিলা তার অন্ধকার কুঠরিতে নামাজের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে নেয়। এবং মৃত্যু পর্যমত সেখানেই নামাজ আদায় করতে থাকে।’ (মুসনাদে আহমাদ ৩৭/৪৫)
عن أم سلمۃ رضي اللّٰہ عنہا عن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم قال: خیر مساجد النساء قعر بیوتہن۔ (مسند أحمد ۶؍۲۹۷، الترغیب والترہیب مکمل ۹۳ رقم: ۵۱۴)
সারমর্মঃ মহিলাদের জন্য নিজ রুমের এক কোনায় নামাজ পড়া উত্তম।
عن ریطۃ الحنفیۃ أن عائشۃ رضي اللّٰہ عنہا أمتہن، وقامت بینہن في صلاۃ مکتوبۃ۔ (رواہ عبد الرزاق في مصنفہ والدار قطني في سننہ ۱؍۴۰۴، نصب الرایۃ ۱؍۲۴۰، إعلاء السنن ۴؍۲۲۷ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
সারমর্মঃ
হযরত আয়েশা রাঃ মহিলাদের ইমামতি করেছিলেন,মহিলাদের মাঝে দাড়িয়েছিলেন,ফরজ নামাজে।
وکرہ جماعۃ النساء بواحدۃ منہن … فإن فعلن یجب أن یقفن الإمام وسطہن مع تقدم عقبہا۔ (شامي ۲؍۳۰۵ زکریا، الفتاوی الہندیۃ ۱؍۸۵ کوئٹہ، مراقي الفلاح علی ہامش الطحطاوي ۱۶۶ کراچی)
মহিলাদের জামাত মাকরুহ।
যদি কেহ আদায় করে,তাহলে ওয়াজিব হলো ইমাম কাতারের মাঝে দাড়াবে,শুধু পায়ের গোছা আগে বাড়িয়ে দিবে।
আরো জানুনঃ
এই ছুরতে যেহেতু নামাজে অন্যের তেলাওয়াত শুনে নামাজ পড়া হচ্ছে,যাহা মাসয়ালা গত দিক দিয়ে নামাজে বাহিরের লোকের লোকমা নেওয়া ন্যায়।