আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
১.যে ব্যক্তি মাহরাম গায়রে মাহরাম মেনে চললো, নজরের হেফাজত করেছে।
২. যে ব্যক্তি মাহরাম গায়রে মাহরাম মেনে চললো না এবং রিলেশন করলো( শুধু মেসেজ বা কলে কথা) ,  ব্যাভিচার বা যিনায়(শারীরিক)লিপ্ত ছিলো না।

৩. যিনায়( শারীরিক মেলামেশা) লিপ্ত ছিলো এবং পরে তাওবা করলো।

৪. যিনায় লিপ্ত ছিলো, তওবা করলো না।
এই চার প্রকারের মধ্যে কাকে চরিত্রবান বলা যাবে? কে চরিত্রের হেফাজত করেছে?

1 Answer

0 votes
by (679,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চরিত্র ব্যাপক একটি জিনিষ। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাঁর সম্পর্কে বলেন,
وَإِنَّكَ لَعَلى خُلُقٍ عَظِيمٍ
“আর অবশ্যই আপনি সুমহান চরিত্রের অধিকারী।” (সূরা কলম: ৪) সুতরাং এ ক্ষেত্রে তিনিই হলেন সর্বোত্তম আদর্শ ও অনুকরণীয়। আল্লাহ তাআলা আরও বলেন,
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَة
“নিশ্চয় তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবনীতে রয়েছে সর্বোত্তম নমুনা বা আদর্শ।” (সূরা আহযাব: ২১)
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
أكملُ المؤمنين إيمانًا أحسنُهم خُلقًا
“মুমিনদের মাঝে পূর্ণ ইমানদার সেই ব্যক্তি যে তাদের মধ্যে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী।” [তিরমিযী, অধ্যায়: কিতাবুর রিযা, অনুচ্ছেদ: স্বামীর উপর স্ত্রীর অধিকার, সিলসিলা সাহীহা, হা/২৮৪।]

রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন,
إِنَّ الُمؤْمِنَ لَيُدْركُ بِحُسنِ خُلُقِه درَجةَ الصائمِ القَائمِ
“নিঃসন্দেহে মুমিন ব্যক্তি তার সর্বোত্তম চরিত্রের মাধ্যমে সিয়াম পালনকারী, রাত জেগে ইবাদত কারীর মর্যাদায় ভূষিত হয়”। [আবু দাউদ, অধ্যায়: কিতাবুল আদাব, অনুচ্ছেদ: উত্তম চরিত্র, সহীহ আল জামে, হা/ ১- ১৯৩২।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন,
مَا مِنْ شَيءٍ أَثْقَلُ في ميزَانِ المُؤمِنِ يَومَ القِيامة مِنْ حُسْنِ الخُلُقِ
“কিয়ামত দিবসে উত্তম চরিত্রের চাইতে ভারী কোন কিছু পাল্লায় রাখা হবে না।” [তিরমিযী, অধ্যায়: কিতাবুল বির ওয়াস সিলাহ, অনুচ্ছেদ: উত্তম চরিত্র, সহীহুল জামে, হাদিস নং- ২/ ৫৭২১।]

سُئِلَ رسولُ اللَّه ﷺ عَنْ أَكثرِ مَا يُدْخِلُ النَّاسَ الجَنَّةَ، قَالَ: تَقْوى اللَّهِ وَحُسْنُ الخُلُق
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে প্রশ্ন করা হল, সর্বাধিক কোন বিষয়টি মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যাবে? তিনি বললেন, “আল্লাহ ভীতি এবং উত্তম চরিত্র।” [তিরমিযী, অধ্যায়: কিতাবুল আদাব, অনুচ্ছেদ: উত্তম চরিত্র, ইবনে মাজাহ, অধ্যায়: কিতাবুয যুহুদ, অনুচ্ছেদ: পাপ কাজের আলোচনা ও সিলসিলা সাহীহা, হা/৯২৭]

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কুরআনের সমস্ত বিধিনিষেধকে মান্য করার নামই হল, উত্তম চরিত্র। সুতরাং ফরয বা হারাম বিধানকে লঙ্গন করলে চরিত্রের চরম অধপতন হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এবং মুস্তাহাব বা মাকরুহ বিধানকে লঙ্গন করলে চরিত্র যতসামান্য বিধানকে লঙ্গন করা বুঝাবে। সুতরাং প্রথম প্রকার ব্যতিত সবক'টিকেই চরিত্রের অধপতন  বিবেচনা করা হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...