আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
21 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
পাত্র দ্বীনদার। হালাল-হারাম বেছে চলেন। বর্তমানে টিউশনি করেন।তার পিতা ব্যাংকের ড্রাইভার ছিলেন এবং সেই অর্থেই  বাড়ি করেছেন। ব্যাংকে জব হারাম এটা যতদিনে জেনেছেন ততদিনে রিটায়ারমেন্ট এর সময় হয়ে গেছে।এখন তিনি রিটায়ার্ড। পাত্রের ভাই ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাশ অফিসার পদে এখনও চাকরিরত যদিও জানেন ব্যাংক জব হারাম। পাত্রের ব্যাংকে চাকরির ইচ্ছা নেই।হালাল পথে থাকতে চান। টিউশনি করছেন।পাত্র দ্বীনের ব্যাপারে সচেতন।এমন পাত্রের কাছে বিয়ে দেয়া ঠিক হবে কিনা??

আর বাবার থেকে প্রাপ্ত অর্থ ও সম্পদ পাত্রের জন্য হালাল হবে কিনা??

1 Answer

0 votes
by (647,730 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

https://www.ifatwa.info/80061/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
সুদ হারাম।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,

اَلَّذِیْنَ یَاْكُلُوْنَ الرِّبٰوا لَا یَقُوْمُوْنَ اِلَّا كَمَا یَقُوْمُ الَّذِیْ یَتَخَبَّطُهُ الشَّیْطٰنُ مِنَ الْمَسِّ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَالُوْۤا اِنَّمَا الْبَیْعُ مِثْلُ الرِّبٰوا ۘ وَ اَحَلَّ اللهُ الْبَیْعَ وَ حَرَّمَ الرِّبٰوا  فَمَنْ جَآءَهٗ مَوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّهٖ فَانْتَهٰی فَلَهٗ مَا سَلَفَ  وَ اَمْرُهٗۤ اِلَی اللهِ  وَ مَنْ عَادَ فَاُولٰٓىِٕكَ اَصْحٰبُ النَّارِ هُمْ فِیْهَا خٰلِدُوْنَ.
যারা সুদ খায় তারা (কিয়ামতের দিন) সেই ব্যক্তির মতো দাঁড়াবে, যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে। এটা এজন্য যে, তারা বলে, ক্রয়-বিক্রয় তো সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। যার নিকট তার প্রতিপালকের উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, তবে অতীতে যা হয়েছে তা তারই। আর তার ব্যাপার আল্লাহর এখতিয়ারে। আর যারা পুনরায় করবে তারাই জাহান্নামের অধিবাসী হবে। সেখানে তারা হবে চিরস্থায়ী। -সূরা বাকারা (২) :

ব্যাংকে চাকুরী করা সর্বক্ষেত্রে হারাম নয়।বরং কিছু কিছু কিছু ক্ষেত্রে বৈধ রয়েছে।যদি ব্যাংকের এমন কোনো সেক্টরের কাজ হয়,যাতে  সুদী কাজে জড়িত হতে হয় না।যেমনঃ ড্রাইভার, ঝাড়ুদার, দারোয়ান, জায়েজ কারবারে বিনিয়োগ ইত্যাদি সেক্টর হয়,তাহলে যেহেতু এসবে সরাসরি সুদের সহায়তা নেই তাই এমন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ অবশ্যই রয়েছে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/398

পাত্রর বাবা যদি ব্যাংকের সূদী সেক্টরে চাকুরী করে,এবং ব্যাংকের টাকায় বাড়ী গাড়ী করা হয়,তাহলে এসব হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে।পাত্রর বাবার জন্য ওয়াজিব ঐ সমস্ত মাল সদকাহ করে দেয়া।বাবার মৃত্যুর পর পাত্র উক্ত মালের মালিক হবে না।কেননা হারামের মালের মালিক কেউ হয় না।বরং এগুলো সদকাহ করতে হয়।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ছেলের যদি আলাদা হালাল ইনকাম সোর্স থাকে,এবং সে আলাদা বাড়ীতে রাখার ওয়াদা করে,বাবার হারাম কোনো টাকা সংসারে খরচ করবে না বলে ওয়াদাবদ্ধ হয়,তাহলে এমন পাত্রের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে বাধা নয়। 

নতুবা এমন পাত্রের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হওয়াই উচিত।

হ্যাঁ, কারো হয়ে গেলে, তার জন্য ঐ পাত্রের বাড়ীতে থাকা খাওয়া নাজায়েয হবে না।তবে হারাম সম্পদ থাকার কারণে পাত্র গোনাহগার হবে।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4247

ব্যাংকের এমন কোনো সেক্টরের কাজ হয়,যাতে  সুদী কাজে জড়িত হতে হয় না।

যেমনঃ ড্রাইভার, ঝাড়ুদার, দারোয়ান, জায়েজ কারবারে বিনিয়োগ ইত্যাদি সেক্টর হয়,তাহলে যেহেতু এসবে সরাসরি সুদের সহায়তা নেই তাই এমন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ অবশ্যই রয়েছে।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত পাত্রের বাবা যেহেতু ব্যাংকের ড্রাইভার ছিলেন,তাই তার ইনকাম হালাল।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই পাত্রের সাথে বিবাহ বসা জায়েজ,তার বাবার ঐ বাড়িতে বসবাস জায়েজ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...