(০১)
কোরআন-হাদীসের অধিকাংশ স্থানে ব্যবহৃত "সাবিলুল্লাহ"দ্বারা জিহাদ উদ্দেশ্য। তবে কিছু স্থানে অন্যান্য বিষয় যেমন হাজ্বী, ইলম অন্বেষণকারী ইত্যাদিও উদ্দেশ্য হয়ে থাকে।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০২)
সুরা বাইয়্যিনাহ এর ৬ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمُشْرِكِينَ فِي نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا أُولَئِكَ هُمْ شَرُّ الْبَرِيَّة
নিশ্চয় কিতাবীদের মধ্যে যারা কুফরী করেছে ও মুশরিকরা, জাহান্নামের আগুনে থাকবে স্থায়ীভাবে। ওরাই হল নিকৃষ্ট সৃষ্টি।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ- عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «يَلْقَى إِبْرَاهِيمُ أَبَاهُ آزَرَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَعَلَى وَجْهِ آزَرَ قَتَرَةٌ وَغَبَرَةٌ، فَيَقُولُ لَهُ إِبْرَاهِيمُ: أَلَمْ أَقُلْ لَكَ لَا تَعْصِنِي؟ فَيَقُولُ أَبُوهُ: فَالْيَوْمَ لَا أَعْصِيكَ. فَيَقُولُ إِبْرَاهِيمُ: يَا رَبِّ إِنَّكَ وَعَدْتَنِي أَنْ لَا تُخْزِيَنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ فَأَيُّ خِزْيٍ أَخْزَى مِنْ أَبِي الْأَبْعَد؟ِ فَيَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: إِنِّي حَرَّمْتُ الْجَنَّةَ عَلَى الْكَافِرِينَ، ثُمَّ يُقَالُ: يَا إِبْرَاهِيمُ مَا تَحْتَ رِجْلَيْكَ فَيَنْظُرُ فَإِذَا هُوَ بِذِيخٍ مُلْتَطِخٍ فَيُؤْخَذُ بِقَوَائِمِهِ فَيُلْقَى فِي النَّارِ » . ( خ ) صحيح
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কিয়ামতের দিন ইবরাহিম তার পিতা আযরের সাথে দেখা করবে, তার চেহারার ওপর থাকবে বিষণ্ণতা ও ধুলো-বালি (অবসাদ)। ইবরাহিম তাকে বলবে, আমি কি তোমাকে বলিনি আমার অবাধ্য হয়ো না? অতঃপর তার পিতা তাকে বলবে: আজ তোমার অবাধ্য হব না। অতঃপর ইবরাহিম বলবে: হে আমার রব, আপনি আমাকে ওয়াদা দিয়েছেন যেদিন উঠানো হবে আমাকে অসম্মান করবেন না, আমার পতিত পিতার অপমানের চেয়ে বড় অপমান কি! অতঃপর আল্লাহ বলবেন, নিশ্চয় আমি কাফেরদের ওপর জান্নাত হারাম করে দিয়েছি। অতঃপর বলা হবে, হে ইবরাহিম তোমার পায়ের নিচে কি? সে দেখবে তার পিতা আচমকা রক্ত-ময়লায় নিমজ্জিত হায়েনায় পরিণত হয়েছে, তখন তার পা পাকড়াও করে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে”। [বুখারি শরিফ] হাদিসটি সহিহ।
(০৩)
হাদীসটি হলো
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ أُمِّ سَلَمَةَ، حَدَّثَتْهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ حَدَّثَتْهَا قَالَتْ، كَانَتْ هِيَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَغْتَسِلاَنِ فِي الإِنَاءِ الْوَاحِدِ مِنَ الْجَنَابَةِ .
মুহাম্মাদ ইবনু আল মুসান্না (রহঃ) ..... উম্মু সালামাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একই পাত্রে অপবিত্রতার গোসল করতেন।
(মুসলিম শরীফ ৬২২.৩২৪ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬২৬, ইসলামিক সেন্টারঃ ৬৪১ বুখারী ৩২২, আহমাদ ২৬০২৬, ২৬১০৬, ২৬১৬৩, ২৬১৬৭; দারিমী ১০৪৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।)
,
ব্যাখ্যাঃ
এই হাদীসের উপর ভিত্তি করে ইসলামী স্কলারদের মত হলো স্বামী স্ত্রী একই পাত্র থেকে পানি নিয়ে গোসল করা জায়েজ আছে।
أن أوانيهم كانت صغارا
أي: نحو الصاع
বুঝা যায় যে তাদের পাত্র ছোট ছিলো। এক সা' সমপরিমাণ ।
(০৪)
হ্যাঁ কাফের হয়ে যাবে।
(০৫)
সুরা তাকবিরের ২৯ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ مَا تَشَآءُوۡنَ اِلَّاۤ اَنۡ یَّشَآءَ اللّٰهُ رَبُّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۲۹﴾
আর তোমরা ইচ্ছা করতে পার না, যদি না সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ ইচ্ছা করেন।
এই আয়াতের ব্যখ্যায় তাফসীরে জাকারিয়াতে এসেছেঃ
অর্থাৎ তোমরা সরল পথে চলতে চাইলে এবং আল্লাহর দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকতে চাইলেই থাকতে পারবে না। যতক্ষণ আল্লাহ ইচ্ছা না করবেন। সুতরাং তাঁর কাছেই তাওফীক কামনা করো। তবে এটা সত্য যে, কেউ যদি আল্লাহর পথে চলতে ইচ্ছে করে তবে আল্লাহ্ও তাকে সেদিকে চলতে সহযোগিতা করেন। মূলত আল্লাহর ইচ্ছা হওয়ার পরই বান্দার সে পথে চলার তাওফীক হয়। বান্দার ইচ্ছা আল্লাহর ইচ্ছা অনুসারেই হয়। তবে যদি ভাল কাজ হয় তাতে আল্লাহর সস্তুষ্টি থাকে, এটাকে বলা হয় ‘আল্লাহর শরীয়তগত ইচ্ছা’। পক্ষান্তরে খারাপ কাজ হলে আল্লাহর ইচ্ছায় সংঘটিত হলেও তাতে তাঁর সন্তুষ্টি থাকে না। এটাকে বলা হয় ‘আল্লাহর প্রাকৃতিক ইচ্ছা’। এ দু' ধরনের ইচ্ছার মধ্যে পার্থক্য না করার কারণে অতীতে ও বর্তমানে অনেক দল ও ফেরকার উদ্ভব ঘটেছে। [দেখুন: ইবন তাইমিয়্যাহ, আল-ইস্তেকামাহ: ১/৪৩৩; মিনহাজুস সুন্নাহ: ৩/১৬৪]
তাফসীরে আহসানুল বায়ানে উল্লেখ রয়েছেঃ
অর্থাৎ, তোমাদের ইচ্ছা আল্লাহর তওফীকের উপর নির্ভরশীল। যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের ইচ্ছায় আল্লাহ ইচ্ছা এবং তাঁর তওফীক শামিল না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা সরল পথ অবলম্বন করতে পারবে না। এটা সেই বিষয় যা إنك لا تهدي من أحببت অর্থাৎ, ‘তুমি যাকে ইচ্ছা কর, তাকে হিদায়াত করতে পার না।’(সূরা ক্বাস্বাস ৫৬ নং) প্রভৃতি আয়াতে বর্ণিত হয়েছে।
,
(০৬)
ট্রান্সজেন্ডার মানে এক লিঙ্গ থেকে আরেক লিঙ্গে রূপান্তর।
জানুনঃ
,
হিজড়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ