আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
16 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু

আমার এক আত্মীয়ের জমি বন্ধক আছে । তিনি আমাদের কাছে টাকা নিয়ে বন্ধকি জমি বের করতে চেয়েছেন। (আমরা নিজেরা চাষাবাদ করার জন্য কোনো উপযুক্ত পুরুষ নেই।) এরপর যদি তিনি নিজে চাষাবাদ করেন এবং এর থেকে যা লাভ আসবে তা দুইজনে সমান ভাগ করা হয় তাহলে কি সেটা জায়েজ হবে? আমাদের টাকা দিয়ে যেহেতু বন্ধকি জমি বের করেছেন তাই তিনি বলেছেন ঐ টাকা যদি কখনো আমাদের প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা ফেরত নিতে পারবো। এটা কি সঠিক হবে?

আবার যদি তিনি নিজে চাষাবাদ না করে কন্ট্রাক্ট দেন তাহলে কি জায়েজ হবে?

যদি উক্ত পদ্ধতি সঠিক না হয় তাহলে অনুগ্রহ করে সঠিক পদ্ধতি জানালে উপকৃত হবো ইন শা আল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (647,730 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/70462/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
বন্ধক রাখা হয় ঋণ আদায়ের নিশ্চয়তাস্বরূপ। এতে ঋণদাতা নিশ্চিত থাকেন যে ঋণ আদায় না করলেও বন্ধককৃত বস্তু থেকে আদায় করে নেওয়া যাবে। 

পবিত্র কোরআনেও এর নির্দেশ রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আর যদি তোমরা সফরে থাকো এবং কোনো লেখক না পাও, তাহলে হস্তান্তরিত বন্ধক রাখবে। আর যদি তোমরা একে অপরকে বিশ্বস্ত মনে করো, তবে যাকে বিশ্বস্ত মনে করা হয়, সে যেন স্বীয় আমানত আদায় করে এবং নিজ রব আল্লাহকে ভয় করে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৮৩)
,
বন্ধককৃত বস্তু বন্ধকগ্রহীতার কাছে আমানতস্বরূপ। 

★বন্ধকি জমি থেকে বন্ধকগ্রহীতার কোনো ফায়দা হাসিল করা নাজায়েজ ও হারাম। এমনকি বন্ধকদাতা এর অনুমতি দিলেও পারবে না। কারণ বন্ধকি জমি থেকে বন্ধকগ্রহীতা কোনো ধরনের ফায়দা উপভোগ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত, যা হারাম। (বাদায়েউস সানায়ে : ৬/১৪৬)

ইবনে সিরিন (রহ.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক লোক সাহাবি ইবনে মাসউদ (রা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করল, এক ব্যক্তি আমার কাছে একটি ঘোড়া বন্ধক রেখেছে, তা আমি আরোহণের কাজে ব্যবহার করেছি। ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, তুমি আরোহণের মাধ্যমে এর থেকে যে উপকার লাভ করেছ তা সুদ হিসেবে গণ্য হবে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস : ১৫০৭১)
,
বিখ্যাত তাবেয়ি ইমাম কাজি শুরাইহ (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সুদ পান করা কিভাবে হয়ে থাকে? তিনি বলেন, বন্ধকগ্রহীতা বন্ধকি গাভির দুধ পান করা সুদ পানের অন্তর্ভুক্ত। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস : ১৫০৬৯)
,
এক্ষেত্রে বৈধ পদ্ধতি সম্পর্কে জানুনঃ 

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত মাসয়ালা জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার সেই আত্মীয় আপনার থেকে এক্সে টাকা নিবেন! এই টাকা তিনি কিসের ভিত্তিতে নিবেন?

তিনি কি এই টাকা আপনার থেকে ঋণ হিসেবে নিবেন?

নাকি তিনি আপনার থেকে টাকা নিয়ে জমি তুলে নিয়ে আপনার কাছেই তাহা বন্ধক রাখবেন?

যদি তিনি আপনার থেকে করজ হিসেবে টাকাটি নেন বা আপনার কাছে জমিটি বন্ধক রাখবেন এই নিমিত্তে আপনার থেকে টাকা নেন, কোন ছুরতেই ওই জমি হতে কোন প্রকার উপকৃত হওয়া আপনার জন্য জায়েজ নেই।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই ঐ উপকৃত হওয়া আপনার জন্য জায়েজ নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...