জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَن عَمْرو بن الْعَاصِ قَالَ: «أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقلت ابْسُطْ يَمِينك فلأبايعك فَبسط يَمِينه قَالَ فَقَبَضْتُ يَدِي فَقَالَ مَا لَكَ يَا عَمْرُو قلت أردْت أَن أشْتَرط قَالَ تَشْتَرِطُ مَاذَا قُلْتُ أَنْ يُغْفَرَ لِي قَالَ أما علمت أَنَّ الْإِسْلَامَ يَهْدِمُ مَا كَانَ قَبْلَهُ وَأَنَّ الْهِجْرَةَ تَهْدِمُ مَا كَانَ قَبْلَهَا وَأَنَّ الْحَجَّ يهدم مَا كَانَ قبله» ؟
‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমাতে উপস্থিত হয়ে বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমার দিকে আপনার হাত প্রসারিত করে দিন আমি আপনার কাছে ইসলাম গ্রহণের বায়‘আত করব। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর হাত প্রসারিত করে দিলেন, কিন্তু আমি আমার হাত টেনে নিলাম। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) (অবাক হয়ে) বললেন, তোমার কি হলো হে ‘আমর! আমি বললাম, আমার কিছু শর্ত আছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, কি শর্ত? আমি বললাম, আমি চাই আমার (পূর্বের কৃত) গুনাহ যেন মাফ করে দেয়া হয়। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘আমর! তুমি কি জান না ‘ইসলাম গ্রহণ’ পূর্বেকার সকল গুনাহ বিনাশ করে দেয়। হিজরত সে সকল গুনাহ মাফ করে দেয় যা হিজরতের পূর্বে করা হয়েছে। এমনিভাবে হাজ্জ (হজ / হজ্জ)ও তার পূর্বের সকল গুনাহ মিটিয়ে দেয়?
(সহীহ : মুসলিম ১২১, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৫১৫, সহীহ আল জামি‘ ১৩২৯, সহীহ আত্ তারগীব ১০৯৭, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৮৯৯০)
ব্যাখ্যা: কোন অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করার ফলে তার পূর্বের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যায়। চাই তা আল্লাহর হক হোক অথবা বান্দার ওপর যুলম হোক। তা সগীরাহ্ গুনাহ হোক অথবা কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ হোক। তবে হিজরত এবং হাজ্জ (হজ/হজ্জ)- এ দু’টি কাজ সম্পাদনের ফলে আল্লাহ ও বান্দার মাঝে যে হক আছে তা মাফ হয় কিন্তু বান্দার হক মাফ হয় না। এর উপর ইজমা, অর্থাৎ- সকল উম্মাতের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত আছে।
আরো জানুনঃ-
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী কোনো মুরতাদ ব্যাক্তি যদি ইসলাম গ্রহন করতে চায়,
★তাহলে তাকে প্রথমেই কালেমায়ে শাহাদাত পড়তে হবে।
أشهد أن لا إله الا الله وأشهد أن محمدا عبده ورسوله
,
অর্থাৎ তাকে প বলতে হবে যে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ, মাবুদ নেই,আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তায়ালার বান্দা এবং তার রাসুল।
★অতঃপর ইসলাম ব্যতিত অন্য ধর্ম বাতিল বলে তাকে ফিরে আসতে হবে।
★অতঃপর তাকে তওবা করতে হবে যে আমার পূর্বের যাবতীয় কর্মকান্ড থেকে মহান আল্লাহর কাছে তওবা করিতেছি।
আমি লজ্জিত অনুতপ্ত, আমি আর কোনো দিন এহেন কাজ করিবোনা,এহেন বিশ্বাস স্থাপন করিবোনা।
(তারপর থেকে ইসলাম ধর্মের যাবতীয় বিধান তাকে মনেপ্রানে,কাজেকর্মে মানতে হবে।)
,
এর পর থেকে তাকে মুসলমান হিসেবে গন্য করা হবে।
(ফাতাওয়ায়ে খতমে নবুয়্যত ১/৩০০)
,
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছেঃ
واسلامه أي المرتد أن يأتي بكلمة الشهادة ويتبرأ عن الأديان كلها سوي الإسلام وأن يتبرأ عما انتقل إليه
.
যার সারমর্ম হলো প্রথমেই মুরতাদ ব্যাক্তিকে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করতে হবে,তারপর ইসলাম ধর্মকে অন্যান্য ধর্মের উপর প্রাধান্য দিতে হবে,তারপর তাকে পূর্বের মতবিশ্বাস,কাজকর্ম থেকে ফিরে আসতে হবে।
(ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ২/২৫৩ মাতবুয়ায়ে মাজিদাহ কোয়েটাহ)
الفقه الإسلامى و أدلته: (3153/4، ط: دار الفكر)
وأما الفسخ: فهو نقض العقد من أصله، أو منع استمراره، ولا يحتسب من عدد الطلاق، ويكون غالبا في العقد الفاسد أو غير اللازم.
সারমর্মঃ-
ফসখে নিকাহকে তালাকের সংখ্যার মধ্যে গণনা করা হবেনা।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি ঈমান নবায়ন করলেও বিবাহ নবায়ন করেনি,তাই এক্ষেত্রে শর্ত যুক্ত তালাকটি ধর্তব্য হবে না।
কেননা সেই মহিলাটি এখন আর তার স্ত্রী নযন,ঈমান ভঙ্গের দরুন তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ঐ মহিলাটির সাথে পুনরায় ঘর সংসার করতে চাইলে নতুন করে বিবাহ পরিয়ে নিতে হবে।