আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (47 points)
(১)উস্তায একটা অনুরোধ এই প্রশ্নটাকে বেয়াদবি হিসেবে নিয়েন না।

আমি এইখানে https://ifatwa.info/122251/ প্রশ্ন করেছিলাম শিক্ষক ক্লাসে ঢুকলে দাঁড়ানো যাবে কি যাবে না এই বিষয়। প্রশ্নের উত্তরে যেই রেফারেন্স গুলো দেওয়া হয়েছে আর বাকি লেখাগুলো দেখে মনে হচ্ছে
বুঝানো হয়েছে যে: যদি ক্লাসে দাঁড়ানো ঐচ্ছিক হয় তাহলে সমস্যা নেই দাঁড়ালে তবে যদি না দাঁড়ানোর জন্য শাস্তি দেয় তাহলে দাঁড়ানো যাবে না ,আর দেখে মনে হচ্ছিল আপনি বুঝাতে চেয়েছেন যে যদি শাস্তি দেয় না দাঁড়ানোর জন্য তাহলে দাঁড়ানো যাবে না এটা আমি বুঝেছি (আমার বুঝার ভুল থাকতে পারে)।

তবে আমার প্রশ্ন হলো কিন্তু আমি যে দুইটা প্রশ্ন করেছি উপরে https://ifatwa.info/122251/ এখানে, সেখানে উত্তরে দেখা যাচ্ছে আপনি লিখেছেন যে দাঁড়ানো যাবে।
আমার প্রশ্ন হলো আমি কি দাঁড়াতে পারবো কারণ উপরের দলিল এবং আপনার লেখাগুলো দেখে মনে হচ্ছে আমার এই পরিস্থিতিতে আমি দাঁড়াতে পারবো না।

(২) যদি মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার জন্য বাবরি চুল না রাখা শর্ত হয় তাহলে ঐ প্রতিষ্ঠানে পড়ার জন্য বাবরি চুল কাটা যাবে?

(৩) কেউ যদি বাবরি চুলে রেগুলার তেল- শ্যাম্পু না দেয় এর কারণে যদি চুল দেখতে সুন্দর না লাগে অগোছালো লাগে তাহলেকি তার বাবরি রাখার চেয়ে না রাখা

 কল্যাণকর?

1 Answer

0 votes
by (647,220 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে  এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عَفَّانُ، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ لَمْ يَكُنْ شَخْصٌ أَحَبَّ إِلَيْهِمْ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَكَانُوا إِذَا رَأَوْهُ لَمْ يَقُومُوا لِمَا يَعْلَمُونَ مِنْ كَرَاهِيَتِهِ لِذَلِكَ

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সহাবায়ে কিরামের নিকট রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেয়ে অধিক প্রিয় ব্যক্তি আর কেউ ছিল না। কিন্তু তবুও তাদের অবস্থা এই ছিল যে, যখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আগমন করতে দেখতেন তার সম্মানার্থে তাঁরা দাঁড়াতেন না। কেননা তারা জানতেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা পছন্দ করেন না।
(তিরমিযী ২৭৫৪, সিলসিলাতুয্ য‘ঈফাহ্ ৩৪৬ নং হাদীসের আলোচনা দ্রঃ, আল আদাবুল মুফরাদ ৯৪৬, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৩৭৮৪, আহমাদ ১২৩৭০, মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৫৫৮৩, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৩৫৮।)
,
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ أَبِي الْعَنْبَسِ، عَنْ أَبِي الْعَدَبَّسِ، عَنْ أَبِي مَرْزُوقٍ، عَنْ أَبِي غَالِبٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتَوَكِّئًا عَلَى عَصًا فَقُمْنَا إِلَيْهِ فَقَالَ: لَا تَقُومُوا كَمَا تَقُومُ الْأَعَاجِمُ، يُعَظِّمُ بَعْضُهَا بَعْضًا 

আবূ উমামাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লাঠিতে ভর দিয়ে আমাদের নিকট আসলেন। আমরা তাঁর সম্মানে উঠে দাঁড়ালে তিনি বললেনঃ তোমরা দাঁড়াবে না, যেরূপ অনারবরা একে অপরকে সম্মান দেখানোর জন্য দাঁড়ায়।
(আবূ দাঊদ ৫২৩০, ইবনু মাজাহ ৩৮৩৬.মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৫৫৮১, মুসনাদে আহমাদ ২২১৮১, শু‘আবুল ঈমান ৮৯৩৭,) 
.
শিক্ষকের সম্মানার্থে দাড়ানো জায়েজ আছে,অনেকের মতে মুস্তাহাবও।

তবে শর্ত হলো শিক্ষকের মনে এই ব্যাপারে অহংকার না আসা এবং প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষকের পক্ষ থেকে না দাঁড়ানোর উপর শাস্তির বিধান না থাকা।      

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
দাঁড়ানো যাবে,হুবহু এমনটি উত্তর দেয়া হয়নি।

বরং উক্ত প্রশ্নের জবাবে যা লেখা হয়েছিলো তার সারমর্ম এই যে
প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে আপনি যদি দাঁড়ান, সেক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবে না।

(০২)
হ্যাঁ, যাবে।
কারন এতে শরীয়তের আবশ্যকীয় বিধান ত্যাগ করা হচ্ছেনা।
বা এমন কোনো বিধান ত্যাগ করা হচ্ছেনা,যেটি ত্যাগ করলে গুনাহ হয়।

(০৩)
উলামায়ে কেরামগণ এক্ষেত্রে বলেছেন যে এতে যদি তার চুল সুন্দর না দেখায়, এমন  অগোছালো হয় যে দেখতে পাগলদের ন্যায় লাগে,যেমনটি অনেক মাজারের ভন্ড পীর ও তার মুরিদরা রেখে থাকে, তাহলে এতে অনেকের মনের মধ্যে সুন্নতের প্রতি বিরূপ মন্তব্য আসতে পারে তাই তার জন্য ভাবে চুল না রাখাই ভালো।

তবে যদি পাগলদের ন্যায় এতোটা অগোছালো না হয়,সেক্ষেত্রে এমন বিধান নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...