আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
19 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
edited by
আমি একসময় কাউকে আল্লাহর জন্য ভালোবেসেছিলাম। অনেক ভালোবাসতাম, অনেক... আমার স্বপ্ন ছিল এই ভালোবাসার উসীলায় হাশরের ময়দানে আল্লাহর আরশের ছায়াতলে স্থান পাবো, আল্লাহ সাক্ষী আমার এ অনুভূতির।

আমি যে তাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি, এ কথাটা তাকে আমি অনেক বার বলেছি। তার প্রতি আমার ভালোবাসাকে নানাভাবে প্রকাশ করেছি, লুকিয়ে রাখি নি আমি।

কিন্তু একদিন, একদিন সে মানুষটা আমার এই ভালোবাসায় আঙুল তুলে। মিথ্যারোপ করে।

তাকে আমি চোখ বন্ধ করে বিশ্বাসও করতাম।

কিন্তু সেদিন সে আমার বিশ্বাসও ভাঙে।

আঘাত করে আত্মসম্মানেও।

আমি সেদিনের পর থেকে এখনও প্রায় প্রতিরাতে কাঁদি। আমি ঠিকমতো ঘুমাতেও পারি না রাতে।

আমার মন চাইতো এই দুনিয়াতে তার কাছাকাছি থাকার, কাউকে ভালোবাসলে মানুষ তো তার কাছাকাছি থাকতেই চাইবে, তাই না?

কিন্তু সেদিনের পর থেকে আমি এই দুনিয়াতে তার কাছাকাছি থাকা কী, তার ধারেকাছেও আর আসতে চাই না...

আমি এ আঘাতকে মেনে নিতে পারি নি আজও...

আল্লাহ জানেন এবং তিনি সাক্ষী, আমি সমস্ত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও এই ভালোবাসাকে রক্ষা করতে চেয়েছি। আল্লাহর আরশের ছায়াতলে স্থান পাওয়ার লোভে।

কিন্তু সে মানুষটার জন্য প্রতিনিয়ত আমার শান্তি নষ্ট হচ্ছে...

আমি এখন তার কাছে আর থাকতে চাই না...

এই মানুষটাকে আমি আর চাই না...

আমি কষ্ট পাচ্ছি প্রতিনিয়ত তার জন্য।

সে প্রতিনিয়ত আমায় কষ্ট দিচ্ছে...

আমি এখন কী করব?

আমি তো আল্লাহর আরশের ছায়াতলে একটা স্থান চাই...

বি:দ্র: সেও নারী, আর আমিও। সম্পর্কে বান্ধবী।
আমি অনেকদিন ধরে কষ্ট পাচ্ছি। আর সে সেটা দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। সে এখন কথা দিলে কথা রাখে না।  সেটায় সতর্ক করলে ব্লক করে দেয়। আবার অন্যান্য বিষয়ে উপদেশ দিলেও তা নিতে পারে না। কেমন ইগো নিয়ে পড়ে থাকে। কোনোকিছু বুঝাতে গেলেও মনে হয় যেন ইচ্ছা করে বুঝতে চায় না। তার সাথে থেকে আমার দ্বীনের কোনো উন্নতি বর্তমানে আমার চোখের পড়ছে না, বরং মানসিক শান্তি নষ্ট হচ্ছে।  আমার এখন করণীয় কী? আমি কাউকে বলতে পারছি না।

আল্লাহর জন্য ভালোবেসেছিলাম, এখন আমি যদি এসব কারণে সরে আসি, তাহলে কি আমার কথা থেকে সরে আসলাম? আর আল্লাহর জন্য বিচ্ছেদ বলতে আসলে কী বোঝায়?
আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর দিলে অনেক কৃতজ্ঞ থাকবো

1 Answer

0 votes
by (646,500 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

কোনো মুসলিমের সাথে তিন দিনের বেশি কথা বন্ধ রাখা জায়েজ নেই।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ السَّرْخَسِيُّ، أَنَّ أَبَا عَامِرٍ، أَخْبَرَهُم حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ هِلَالٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا يَحِلُّ لِمُؤْمِنٍ أَنْ يَهْجُرَ مُؤْمِنًا فَوْقَ ثَلَاثٍ، فَإِنْ مَرَّتْ بِهِ ثَلَاثٌ، فَلْيَلْقَهُ فَلْيُسَلِّمْ عَلَيْهِ، فَإِنْ رَدَّ عَلَيْهِ السَّلَامَ فَقَدِ اشْتَرَكَا فِي الْأَجْرِ، وَإِنْ لَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ فَقَدْ بَاءَ بِالْإِثْمِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো ঈমানদারের জন্য বৈধ নয়, সে কোনো ঈমানদারের সঙ্গে তিন দিনের বেশি সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন রাখবে। অতঃপর তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পর উভয়ে দেখা হলে একজন সালাম দিলে এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি তার সালামের উত্তর দিলে উভয়ই সালামের সাওয়াব পাবে। আর দ্বিতীয়জন সালামের উত্তর না দিলে গুনাহগার হবে। ইমাম আহমাদ এর বর্ণনায় রয়েছেঃ সালামদাতা সম্পর্কচ্ছেদের গুনাহ থেকে মুক্ত হবে।
(আবু দাউদ ৪৯১২)
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
"তার সাথে থেকে আমার দ্বীনের কোনো উন্নতি বর্তমানে আমার চোখের পড়ছে না, বরং মানসিক শান্তি নষ্ট হচ্ছে"

সুতরাং এখন আপনার করণীয় হলো তার থেকে দূরে থাকা। সর্বদা দূরত্ব বজায় রেখে চলা।

এক্ষেত্রে দেখা সাক্ষাৎ হলে কথা বলা বন্ধ রাখা যাবেনা। কমপক্ষে সালাম বিনিময় করবেন। 

আল্লাহর জন্যই কাহারো মুহাব্বত থেকে পৃথক হয়ে যাওয়ার অর্থ হলো,যেমন স্বামী স্ত্রীর মাঝে যদি তিন তালাকের দরুন বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে আল্লাহর জন্যই তাদের কথা বলা বন্ধ করা, দূরত্ব বজায় রাখা, এবং পৃথক হয়ে যাওয়া জরুরী।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
reshown ago by
হুজুর, দেখা তো হয় না তেমন একটা। তবে কল, মেসেজ এগুলোর ক্ষেত্রে কী করণীয়? 

আর তার সাথে যোগাযোগ ( মেসেজ, কল এর ক্ষেত্রে )  না রাখলে, বা খুবই রেয়ার যোগাযোগ হলে, তাহলে কি আল্লাহর জন্য ভালোবাসতাম, এটা শেষ হয়ে যাবে?

আর এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে আল্লাহর জন্য বিচ্ছেদ বিষয়টি কেমন যেহেতু এখানে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক না, বান্ধবীর সম্পর্ক আর উভয়েই মুসলিম। 

আর তাকে কি ফেসবুকে ব্লক করা যাবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...