আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহু উস্তাদ। আমার কয়েকটি প্রশ্ন রয়েছে।
১) আমার দিনের বেশিরভাগ সময় ক্লাস করতেই কেটে যায়! প্রায় ১০-১১ ঘণ্টা সময় ক্লাসে থাকি।তো ক্লাসে যখন বসে থাকি তখন যদি আমি জিকির করি, এটা কি জায়েয হবে? মানে আমি স্লাইড দেখতেছি, স্যারের কথা শুনতেছি, সাথে মুখে জিকির করতেছি। এটা কি আদবের খেলাফ হবে? এভাবে জিকির করা কি জায়েজ হবে? জানাবেন ইনশাআল্লাহ্।
২) উস্তাদ হাক্কুল্লাহ নিয়মিত পালনের চেষ্টা করলেও, হাক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক কোন না কোনভাবে নষ্ট হয়ই। দেখা যায় না চাইতেও গীবত, ঝগড়া, কথা বন্ধ থাকা, কটু কথা বলে ফেলা, পিছনে পিছনে কোনো ব্যক্তিকে নিয়ে হাসি তামাশা করা এমন হাজারো ভাবে বান্দার হক নষ্ট হয়। চেস্টা করেও নিজেকে বিরত রাখতে পারিনা। কারো সাথে কথা বলতে গেলেই স্বেচ্ছায় অনিচ্ছায় এসব হয়। মানুষের থেকে দূরেও থাকতে পারিনা যেহেতু আমি হোস্টেলে থাকি। কি করণীয় উস্তাদ? বান্দার হকের জন্য যদি জান্নাতে যেতে না পারি তাহলে কি করবো উস্তাদ? কিভাবে নিজেকে শুধরাতে পারি?
৩) আমরা তো জানি আল্লাহ্ বলেছেন আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। আমার বাবার বাড়ির আত্মীয়দের সাথে ছোটবেলা থেকেই কোন সম্পর্ক নেই আমার। দাদা এবং চাচা মারা গিয়েছেন (দাদা বেঁচে থাকতে সম্পর্ক ছিল) এবং এখন শুধু দুই ফুপু আছেন। আমার বাবার বাড়ির কারো সাথে আমার কখনই কথা হয় না। শুধু মাঝে মাঝে এক ফুফু বেড়াতে আসেন। এছাড়া আমি তাদের কাউকে চিনি না। চাচা, ফুপুদের সন্তানদের সাথেও কোনো যোগাযোগ নেই। এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি ওস্তাদ?
৪) আমার বাবা মা সবসময় ঝগড়া করেন। ছোট থেকেই উনাদের এভাবেই দেখে বড় হয়েছি। উনারা আমাকে কখনো ভালো কিছু শেখাননি। উনাদের ঝগড়া আর বাজে ব্যবহার দেখে দেখে আমার মধ্যেও এসব চলে এসেছে। আমিও সব ব্যাপারে এক চুলও ছাড় দিবো না এমন মনোভাব লালন করি। এসবের কারণে আমার বাবা মার কথা শুনলেই আমার ভালো লাগে না, তাদের প্রতি সম্মান ভালোবাসা আসে না। আমি বাবা মাকে সম্মান করার আল্লাহর হুকুম পালন করতে পারছি না। আমাকে পরামর্শ দিবেন উস্তাদ আমার কি করা উচিৎ।