আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
17 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহু উস্তাদ। আমার কয়েকটি প্রশ্ন রয়েছে।

১) আমার দিনের বেশিরভাগ সময় ক্লাস করতেই কেটে যায়! প্রায় ১০-১১ ঘণ্টা সময় ক্লাসে থাকি।তো ক্লাসে যখন বসে থাকি তখন যদি আমি জিকির করি, এটা কি জায়েয হবে? মানে আমি স্লাইড দেখতেছি, স্যারের কথা শুনতেছি, সাথে মুখে জিকির করতেছি। এটা কি আদবের খেলাফ হবে? এভাবে জিকির করা কি জায়েজ হবে? জানাবেন ইনশাআল্লাহ্।

২) উস্তাদ হাক্কুল্লাহ নিয়মিত পালনের চেষ্টা করলেও, হাক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক কোন না কোনভাবে নষ্ট হয়ই। দেখা যায় না চাইতেও গীবত, ঝগড়া, কথা বন্ধ থাকা, কটু কথা বলে ফেলা, পিছনে পিছনে কোনো ব্যক্তিকে নিয়ে হাসি তামাশা করা এমন হাজারো ভাবে বান্দার হক নষ্ট হয়। চেস্টা করেও নিজেকে বিরত রাখতে পারিনা। কারো সাথে কথা বলতে গেলেই স্বেচ্ছায় অনিচ্ছায় এসব হয়। মানুষের থেকে দূরেও থাকতে পারিনা যেহেতু আমি হোস্টেলে থাকি। কি করণীয় উস্তাদ? বান্দার হকের জন্য যদি জান্নাতে যেতে না পারি তাহলে কি করবো উস্তাদ? কিভাবে নিজেকে শুধরাতে পারি?

৩) আমরা তো জানি আল্লাহ্ বলেছেন আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। আমার বাবার বাড়ির আত্মীয়দের সাথে ছোটবেলা থেকেই কোন সম্পর্ক নেই আমার। দাদা এবং চাচা মারা গিয়েছেন (দাদা বেঁচে থাকতে সম্পর্ক ছিল) এবং এখন শুধু দুই ফুপু আছেন। আমার বাবার বাড়ির কারো সাথে আমার কখনই কথা হয় না। শুধু মাঝে মাঝে এক ফুফু বেড়াতে আসেন। এছাড়া আমি তাদের কাউকে চিনি না। চাচা, ফুপুদের সন্তানদের সাথেও কোনো যোগাযোগ নেই। এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি ওস্তাদ?

৪) আমার বাবা মা সবসময় ঝগড়া করেন। ছোট থেকেই উনাদের এভাবেই দেখে বড় হয়েছি। উনারা আমাকে কখনো ভালো কিছু শেখাননি। উনাদের ঝগড়া আর বাজে ব্যবহার দেখে দেখে আমার মধ্যেও এসব চলে এসেছে। আমিও সব ব্যাপারে এক চুলও ছাড় দিবো না এমন মনোভাব লালন করি। এসবের কারণে আমার বাবা মার কথা শুনলেই আমার ভালো লাগে না, তাদের প্রতি সম্মান ভালোবাসা আসে না। আমি বাবা মাকে সম্মান করার আল্লাহর হুকুম পালন করতে পারছি না। আমাকে পরামর্শ দিবেন উস্তাদ আমার কি করা উচিৎ।

1 Answer

–1 vote
by (676,920 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) যদি যিকির করার পাশাপাশি পড়াশোনাও করতে পারেন, পড়াশোনাতে এজন্য কোনো ব্যঘাত না ঘটে, তাহলে এভাবে যিকিরের পাশাপাশি পড়াশোনা করতে পারবেন। তবে ব্যঘাত ঘটলে যিকির সাময়িক বন্ধ রেখে পড়াশোনাতে মনযোগী হওয়া উচিত। পরবর্তীতে যিকির করে নিতে হবে।

(২) বান্দার হক যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। শতচেষ্টার পর মাঝেমধ্যে বান্দার হক নষ্ট হয়ে গেলে তখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিকট গীবতের সংবাদ না পৌছালে শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলেও হবে।

(৩) যথাসম্ভব আত্মীয়দের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। মৌখিক খোঁজখবর নিলেই যথেষ্ট হবে।

(৪) বাবা মাকে সম্মান করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। সর্বোচ্চ চেষ্টাকে অভ্যাহত রাখতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...