আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
22 views
in সালাত(Prayer) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম, উস্তাদ আশা করি আমার সবগুলির উত্তর দিবেন। আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, আর যখন কোন হাল না পাই তখনই প্রশ্ন করি। আশা করি ভালো আছেন।

উস্তাদ আমার এমনিতে ওয়াসওয়াসা আছে। এর মধ্যে মাঝে মধ্যে নামাযের আগে যখন ফ্রেস হইতে বাথরুমে যাই তখন বের হয়ে ভালো নামাজে রুকু সেজদার সময় মনেহয় পেশাব এসে পড়েছে। আবার কখনও আসে না। আপনাদের পরামর্শ মতে আমি প্রবল সন্দেহ হলেই সেই নামাজ আবার দোহরাই।
১/এখন জানতে চাই যদি প্রবল সন্দেহ হয় কিন্তু সেই নামাজ দোহরানোর সময় নাই। তাহলে আমি পরের ওয়াক্তে যদি নামাজটা পুনরায় আদায় করি তাহলে আগেরটা কি কাযা ধরা হবে? আর গুনাহ হবে?

২/ আরেকটা প্রশ্ন হচ্ছে মাঝেমধ্যে এমন হয় যে যদিও ফ্রেস হয়েই আসছি কিন্তু আমি জানি এখন সেজদায় গেলে পেটে চাপ পরে হালকা পেশাব আসতে পারে, পুরোপুরি মাজুর না কারণ কোনমতে নামাজটা পড়তে পারি যদি বেশি নড়াচড়া না করি সে অবস্থায় কি আমি ইশারায় সেজদা দিতে পারবো? তখন যদি ইশারায় না দেই আর আসলেই কিছু আসে তাহলে আমি আবার বাথরুমে যাই আর কাপড় পাল্টে আসলে এমন করতে করতে দেরি হয়ে যায়।

৩/ আপনারা আগে পরামর্শ দিয়েছিলেন নামাজের আগে বাথরুমে না যেতে কিন্তু আমি এভাবে দেখেছি, আমার নামাজের আগে বাথরুমে যেতেই হয় প্রতিবার। নাহলে ওযু করতে গেলে ঠান্ডা লাগে (আমার ঠান্ডা বেশি) আর আসলেই পেশাব ধরে যায়, সুতরাং সে অবস্থায় নামাজ পড়া আরো সন্দেহজনক হয়। যদি একবার পেশাব করে নেই এরপরে আলহামদুলিল্লাহ্ তেমন সন্দেহ হয়না, নামাজ পড়তে নিলে আবার সন্দেহ আসে আরকি। কিন্তু তখন আমি চিন্তা করি যে আল্লাহ্ দেখতেছেন আমি যেটা সুবিধা মনে হইছে, যেটা করলে নামাজ সহজ হবে মনে হইছে সেটাই করছি। আল্লাহ কবুল করবেন। এটা মনে করা যাবে? আর নাহয় আমি অনেক অসুস্থ হয়ে যাবো।
একসময় দিনরাত এক করে কাটায় দিতাম শুধু নামাজ সহি হওয়ার পিছনে সে হিসাবে এখন আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি, আমি চাই সবার মতো বিভিন্ন কাজে ব্যাস্ত থাকতে আর নামাজের সময় হলে দৌড় দিয়ে নামাজ পরে এসে পড়লাম, সেজন্য কোন সন্দেহ আসলেও মাথায় আসতে দেই না, সে হিসাবে যদি সন্দেহ না, আসলেই আল্লাহ না করুন কখনও কিছু বের হয় (পেশাব ইত্যাদি) আর আমি পাত্তা না দেই তাহলে কী সেই নামাজ হবে? কারণ নামাজের ব্যাপারে এতো চিন্তা মাথায় দিতে দিতে শয়তান নামাজটাকে আমার কাছে বোঝা বানাইতে চায়, কিন্তু আমি নামাজের সৌন্দর্য বুঝি, সে হিসাবে আমি কোন চিন্তা নিতে চাইনা, এটা কি গুনাহ হচ্ছে আমার? উল্লেখ্য যে আমি নামাজের জন্য অলরেডি অনেক পেরেশানি থাকি, চিন্তাও করি (উদাসীন না)
Jazaakumullahu Khairan

1 Answer

0 votes
by (679,110 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না।
যেমন ইতিপূর্বে একটি মূলনীতি আমরা উল্লেখ করেছি যে, আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ} 
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/293


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) রু'কু  সিজদার সময় প্রস্রাবের ফোটা এসেছে সন্দেহে নামাযকে কাযা বা দোহড়ানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা নাই। বরং এক্ষেত্রে নামায হয়েছে ধরে নিতে হবে।
(২) প্রশ্নের বিবরণমতে আপনি ইশারায় রু'কু সিজদা করতে পারবেন।
(৩) নামাজের পূর্বে প্রস্রাবে না যেতে আমরা প্রথমে পরামর্শ দিয়েছিলাম। যদি এক্ষেত্রে অসুবিধে মনে হয়, তাহলে নামাযের এতটুকু সময় পূর্বে প্রস্রাব সেরে নিবেন যে, যদি কাপড় ইত্যাদি পাল্টানোর প্রয়োজনীয়তা পড়ে, তা অনায়াসেই কাপড় পাল্টিয়ে নামাযে শরীক হতে পারেন। আল্লাহ আপনার সবকিছু সহজ করে দেউক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...