ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) রওজা শরীফে যেতে হলে যেহেতু মসজিদ অতিক্রম করে যেতে হয়, তাই হায়েয অবস্থায় রওজা শরীফে যাওয়া যাবে না। এবং মসজিদে নববীর বারান্দায় স্থাপিত ছাতার নিচেও যাওয়া যাবে না বা বসা যাবে না।
وفي سنن أبي داود:
"...حدثتني جسرة بنت دجاجة، قالت:سمعت عائشة تقول جاء رسول الله صلى الله عليه وسلم و وجوه بيوت أصحابه شارعة في المسجد، فقال: "وجهوا هذه البيوت عن المسجد" ثم دخل النبي صلى الله عليه وسلم ولم يصنع القوم شيئا رجاء أن تنزل فيهم رخصة، فخرج إليهم، فقال: "وجهوا هذه البيوت عن المسجد، فإني لا أحل المسجد لحائض ولا جنب."
( كتاب الطهارة، باب الجنب يدخل المسجد،ج:1ص:166، ط: دار الرسالة العالمية)
وفي الفتاوي الهندية:
"(ومنها) أنه يحرم عليهما وعلى الجنب الدخول في المسجد سواء كان للجلوس أو للعبور، هكذا في منية المصلي. وفي التهذيب: لاتدخل الحائض مسجدًا لجماعة. وفي الحجة: إلا إذا كان في المسجد ماء ولاتجد في غيره، وكذا الحكم إذا خاف الجنب أو الحائض سبعًا أو لصًّا أو بردًا فلا بأس بالمقام فيه، والأولى أن يتيمم تعظيمًا للمسجد، هكذا في التتارخانية".(ج:1،ص:38،ط:رشیدیہ)
(২) মুফতি মিনক গায়রে মুকাল্লিদ আলেম। তিনি কোনো মাযহাবের অনুসরণ করেন না। মাযহাব অনুসরণ কারী কারো জন্য উনাকে ফলো করা সঠিক হবে না।
(৩) যদি আপনি নিশ্চিত থাকেন যে, বেশিভাগ জেলেটিনই শুকর থেকে আসে, তাহলে এগুলো যেসব খাদ্যে ব্যবহার করা হবে, সেই খাবার জায়েয হবে না।
(৪) (ক) নফল রোযা রেখে ভঙ্গ করলে কাযা করা ওয়াজিব।
(খ) জ্বী, রাতে নফল রোযার নিয়ত করে ঘুমালে সেহরির সময় উঠতে না পারলও রোযা রাখা বিশুদ্ধ হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/8406
(৫) ফ্রিজে কুরবানির মাংস আত্মীয়দের মধ্যে কাউকে দেওয়ার নিয়তে রাখা হলে, পরে ওই মাংস তার কাছে পৌছানো সম্ভব না হলে, সেই মাংস নিজেরা খেতে পারবে। তবে উত্তম হল, দান করে দেওয়া।
(৬) ইস্তেহাযা অবস্থায় প্রত্যেক ওয়াক্তে অজু করে নামাজ পড়তে হবে। প্রবাহিত রক্ত কে বাধা দেয়ার জন্য যেই প্যাড বা কাপড় পরিধান করা হয়, সেই কাপড়কেও প্রত্যেক ওয়াক্তে পরিবর্তন করতে হবে। তবে যদি কাপড় পরিবর্তন করে দুই রাকাত নামায পড়াও সম্ভবপর না হয়, তাহলে তখন উক্ত কাপড় পরিহিত অবস্থায়ও নামায পড়া যাবে।
কারো যদি পুরোপুরি রক্ত না আসে, কফি কালারের স্রাব আসে, আর সে প্যাড ব্যাবহার করা হয়,যেখানে সামান্য স্রাব লেগে থাকে, আর উপরে বার বার টিস্যু দিয়ে ঐ টিস্যু ফেলে দেয়া হয়, তাহলেও নামায হবে।
(৭) সরকারি নিয়ম ফলো করা নাগরিকদের জন্য অতীব জরুরী। তাই এভাবে বোস্ট করা যাবে না।
(৮) তাহাজ্জুদ নামায পড়ে আল্লাহর কাছে দু'আ করতে হবে।
(৯) জ্বী, কুরআন রাখা যাবে, রহমতের ফেরেস্তা আসতে বাধা নেই। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1265
(১০) কেউ কূফরি কালাম করে যাদু করলে ,সেটাকে নষ্ট করার জন্য কবিরাজ দ্বারা কাজ করলে সেটা শিরক এর অন্তর্ভুক্ত হবে না। তবে কবিরাজকে কুফরি কালাম ব্যবহার না করার সতর্কবার্তা দিতে হবে।